নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। নিমপাতা এমন এক ধরনের পাতা যাতে রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুনাগুন যার গুণাগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না । নিম গাছের প্রতিটি অংশ আমাদের মানবসমাজের জন্য অনেক উপকারি ।
নিমপাতা উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম গাছ একটি বহুবর্ষজীবী  ও চিরহরিৎ জাতীয় বৃক্ষ ।  নিমের সমস্ত অংশ আমাদের উপকার করে আসছে  নিমকে বলা হয় সমস্তপ্রকার রোগের মুক্তিদাতা । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্ক। 

পোস্ট সূচীপত্র ঃনিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই আপনারা যদি নিম পাতার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে চান এবং অপকারিতা গুলো পরিহার করতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন। 

নিম পাতার রয়েছে অদৃশ্য এক ক্ষমতা। যে ক্ষমতা দ্বারা নিমপাতা আমাদের দেহের বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। নিমপাতা খাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন ক্ষতস্থান নিরাময় হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই মহোষদ নিমপাতা। 

তাছাড়াও অনেকে চুলের যত্নে নিমপাতা ব্যবহার করে থাকেন। নিম পাতা চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়। তাছাড়া নিমপাতা মুখের ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া অনেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখার জন্য নিম পাতার রস খেয়ে থাকেন। তাছাড়াও নিমপাতা চর্ম রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। 

এছাড়াও নিম পাতার অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তাছাড়া নিম পাতা খাওয়ার ফলে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়। মুখে দুর্গন্ধ দূর হয় নিমপাতা চিবানর ফলে। এত এত উপকারের মধ্যেও নিমপাতা কিছু অপকার রয়েছে। যেসব মানুষের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা নিম পাতা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এবং যারা গর্ভবতী সন্তান নিতে চাচ্ছেন তারা নিম পাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। নিমপাতা ব্যবহার করলে গর্ভবতী মহিলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। 

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় ? খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি সাধন হয়ে থাকে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা আমাদের শরীরের অসংখ্য উপকার সাধন করে থাকে। খালি পেটে নিম পাতা খেলে নিচের উপকারগুলো হয়ে থাকে: 

  • রক্ত পরিষ্কার করে : নিম পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়। যার ফলে আমাদের শরীর এবং ত্বক সুস্থ থাকে। 
  • ত্বকের যত্ন: নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকার ফলে এটা আমাদের মুখের ব্রণ ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য মারাত্মক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। 
  • ইনফেকশন প্রতিরোধ: আমরা যদি নিয়মিত নিম পাতা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিম পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা কমে যায়। 
  • পাকস্থলী ভালো রাখে: আমরা যদি খালি পেটে নিমপাতা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে যার ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং পাকস্থলী থাকে সুস্থ। 

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। আমরা আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। যেভাবে আপনারা রস খেলে নিম পাতা সম্পন্ন উপকার পাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে;

নিম পাতার রস খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে চলা অনেক জরুরী। এর কারণ হচ্ছে নিম পাতা অনেক তেতো এবং আমাদের শরীরে শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করে। নিমপাতা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে সকাল বেলা। আপনারা যদি প্রত্যেকদিন সকালে নিয়মিত পরিমান অনুযায়ী পাঁচ থেকে দশটি নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন

তাহলে তা আপনারা অনেক উপকারে আসবে। দিনে একবার ৫ থেকে ১০ টি পাতা চিবিয়ে খেলেই আপনার শরীরে অনেক উপকার লক্ষণীয় হবে। প্রথমে আপনাকে পাঁচ থেকে দশটি তাজা পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপনাকে সেগুলো পিষতে হবে অথবা ব্যালেন্ডার এ ব্লাইন্ড করে রস বের করতে হবে। 

তাছাড়া আপনারা অল্প পরিমান পানি মিক্স করতে পারবেন। আপনারা যদি প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং শরীরের রক্তগুলো পরিষ্কার করবে। এবং তেতো ভাব দূর করার জন্য অল্প পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া এটা নিয়মিত সেবন করা উচিত নয়। 

আপনারা এটি এক সপ্তাহ খাওয়ার পর দুই তিন দিন বিরতি নেওয়া উচিত। 

নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা

নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। নিমপাতা দিয়ে গোসল করা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কেননা নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং আরো কিছু উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে ত্বকের সংক্রমণ অনেক কমে যায়। এটা দিয়ে গোসল করলে চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এছাড়াও নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে মুখের ব্রণ ও একজিমা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কারণ নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে আমাদের ত্বক জীবাণুক্ত থাকে এবং পরিষ্কার থাকে। 

তাছাড়াও মিম ভাড়া দিয়ে গোসল করলে শুষ্ক ও খসখসে ত্বক দূর হয়। এবং চুলকানিও ঘামাচি থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে নিমপাতা। যাদের অতিরিক্ত চুলকানি সমস্যা রয়েছে তারা নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে উপকার পেতে পারেন। তাছাড়া নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে শরীরে আরাম অনুভূতি হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়। 

নিম পাতা দিয়ে গোসল করার নিয়ম

  • প্রথমে আপনাকে এক লিটার পানিতে এক মুঠ ো নিম পাতা নিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। 
  • পানি যখন সবুজ রং ধারণ করবে তখন পানি ঠান্ডা হতে দিতে হবে। 
  • তারপর পানিকে ছেকে গোসলের পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। 
আপনারা যদি নিমপাতা দিয়ে গোসল করেন তাহলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক থাকবে সুস্থ এবং পরিষ্কার। 

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় । নিম পাতার বরি খাওয়ার রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা। নিম পাতা রয়েছে অসংখ্য ঔষধি উপাদান এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। এজন্য আপনাকে নিমপাতা প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং শুকানোর পর তা বড়ি বানিয়ে খেতে হবে। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো: 

নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা

  • রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে। 
  • ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • হজমের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করে। 
  • বিভিন্ন সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে। 
  • মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের সমস্যা, এবং মারির সমস্যা দূর করে। 

নিম পাতার বড়ি খাওয়ার

প্রতিদিন আপনারা ১ থেকে ২ টি নিম পাতার বড়ি খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনারা যদি দীর্ঘদিন নিম পাতার বড়ি খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া শুরু করতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণ নিমপাতা খাওয়া পরিহার করুন। 

নিম পাতার ব্যবহার

নিমপাতা আমদের জন্য কতটা উপকারি তা হয়তো আমরা প্রায় কমবেশি সবাই জানি কিন্তু ,এইটা কীভাবে ব্যবহার করলে সম্পুর্ন উপকার পাওয়া যাবে তা হয়তো অনেকেই জানে না । চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নিমপাতা ব্যবহার করলে সম্পুর্ন উপকার পাওয়া যাবে ? 

মুখের ব্রণ সম্পূর্ণ দূর করতে নিমপাতার কোন বিকল্প নেই । কিন্ত সেটা কিভাবে মুখে ব্যবহার করতে হবে তা হয়তো অনেকেই জানে না নিমপাতার ব্যবহার নানাভাবে করা যায় । মুখের যেকোনো সমস্যা দূর করতে নিমপাতা বেটে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে । তাছাড়া নিমের পাতার রস নিমের পাতা সিঁদ্ধ করে খাওয়া যায় ।
 
আরো পড়ুনঃ 

নিম পাতার উপকারিতা 

আমরা অনেকেই নিমপাতার উপকারিতা জানি না। নিমপাতা উপকার বলে শেষ করা যাবে না । এই পাতা আমাদের নানারকম সব ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।  নিচে নিম পাতার উপকারিতা বর্ণনা করা হল

মৌখিক স্বাস্থ্য : নিমের নির্যাসে অত্যন্ত শক্তিশালী বীজবারক যৌগিক থাকে যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে । এবং এটি ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় মাড়ির যেকোনো রোগ দূর করতে সহায়তা করে তাছাড়া নিমের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল নির্যাস টুথপেস্ট, মাউথওয়াশ ইত্যাদি তৈরিতে জরুরী উপাদান হিসাবে কাজ করে ।

ত্বকের জন্য: নিমের তেল শুষ্ক  ত্বক থেকে পরিত্রান পেতে সাহায্য করে । তাছাড়াও ,শরীরে চুলকানি নিরাময়ে নিম সাহায্য করে থাকে।  নিম তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ মাত্রায় থাকায় এটি সু্যের অতিরিক্ত তাপ  অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের হাত থেকে অতি সহজেই মুক্তি পেতে সাহায্য করে এবং এটি ত্বকের সুরক্ষা করতে অতীব কার্যকর ভূমিকা পালন করে এই নিমপাতা । 

ফোলা ভাব কমানোর ক্ষেত্রে: নিমপাতা মুখের ফোলাভাব দূর করতেও সাহায্য করে ।  ভারতীয় আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসামতে,নিম গাছের প্রত্যক টি অংশ মুখের ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে । 

উকুনের সমস্যায় সমাধান হিসেবে ঃ নিম সম্পূর্ণরুপে উকুন দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলের উপকারের কথা বললে নিমপাতার কোন বিকল্প নাই । নিমপাতা ব্যবহারে চুলের যেকোনো সমস্যা সহজেই দূর করা সম্ভব । 

আলসারের জন্য নিমপাতা ঃ নিমে শক্তিশালী গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভের বৈশিষ্ট্য আছে যা আলসারের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে দূর করতে পারে । 

পেটের সমস্যা দূর করে ঃ নিমপাতা পেটের যেকোনো সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করে থাকেন নিমপাতা চাবাইলেই সমস্যা দূর হয়ে যাবে যাবে । 

হজমের সমস্যা দূর করে ঃ নিমপাতা হজমের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করে থাকেন । এই পাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ । 

চুলের উপকারে নিমপাতা 

নিমপাতা যে অনেক গুনসম্পন্নক ও অনেক উপকারী তা হয়তো আমরা সকলেই জানি নিমের কোন জবাব নেই এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে । মুখের রুচি কমে গেলেও জিভে সাব্দ ফেরাতে এই নিমের জবাব নেই ।  নিমের সাহায্যে চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব তাছাড়া চুলের যে কোন সমস্যা দূর করতে পারে এই ওব্যার্থ নিম । তো চলুন জেনে নেয়া যাক নিম কীভাবে চুলের উপকার করে 

খুশকির সমস্যা দূর করতে নিম - আমরা নারী পুরুষ উভয়ই কমবেশি সকলেই খুশকির সমস্যার সম্মুখীন হন । শীতকালে এবং বর্ষাকালে এই সমস্যা আরো সবচেয়ে বেশী দেখা যায়।  আর খুশকির সমস্যা দেখা দিলে চুল ঝরে পরতে শুরু করে মনের ভেতর অস্বস্তি কাজ করে সবসময় নিমের মধ্যে বিদ্যামান অ্যান্টি -ফাঙ্গাল  খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকানির সমস্যা দূর করে ইচিং । 

চুলের বৃদ্ধি_ চুল বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে এই মহৌষধ নিম। নিমের মধ্যে বিদ্যামান থাকা ভিটামিন ই , ফ্যাটি এসিড এবং আরো অন্যনো উপাদান চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে । যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায় এবং আরো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই নিম । 

চুলের রুক্ষতা দূর করে- চুলের রুক্ষতা দূর করে চুল্‌কে মোলায়েম করতে সাহাযো করে এই নিম নিমপাতা ব্যবহারে চুল নরম হয় এবং উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ চুল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে । 

অকাল্পক্কতা - প্রায় কমবেশি সবারই কম বয়সেই চুল পেকে যায় এই সমস্যা দূর করতে নিমের কোন বিকল্প নাই নিমের মধ্যে বিদ্যামান থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এই চুল পাকার সমস্যা দূর করে । 

ক্ষতস্থান নিরাময়ে নিমপাতা

অনেক সময় আমরা কোনো সময় কোনো জায়গায় কেটে গেলে সেখানে আমরা নিমপাতার রস ব্যবহার করি ২০১৩ সালে করা গবেষণায় দেখা গে্ছে যে নিমের রস কোনো কাটা জায়গায় মালিশ করলে ত্বকের্র ক্ষত নিরাময় হয় অনেক তাড়াতাড়ি ত্বকে ছত্রাকের আক্রমণে হওয়া যেকোনো সমস্যা দূর করতে নিম সাহায্য করে । ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করতে সাহাযো করে এই ওব্যার্থ নিম । 

ত্বকের ইনফেকশন দূর করে নিম পাতা

নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় এটি ত্বকের ইনফেকশন সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এর জন্য প্রথমে নিমপাতা সিদ্ধ করে নিতে হবে।  তারপর পানি ছেঁকে রস গোসলের পানীর সাথে মিশাতে হবে।  প্রতেকদিন এই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের ইনফেকশন দূর হয় । 

নিম পাতার ব্যবহার, উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্রণ দূর করতে নিমপাতার ব্যবহার 

ব্রণ দূর করতে নিমপাতা চেয়ে কার্যকরি উপাদান আর কিছুই হতে পারে না । ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। নিম পাতা এগুলো সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম পাতা সেদ্ধ করে সে পানিতে একটি তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখটা মুছে ফেলুন তাহলেই কিছুদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই মুখের ব্রণ দূর হবে তাছাড়া মুখের তৈলাক্ত ভাবের কারণে মুখে ব্রন হয় এই তৈলাক্ত ভাব দূর করতে শসা বা টক দই ব্যবহার করতে পারেন । 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে নিমপাতা  

নিমপাতা ডায়াবেটিকস ্নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে । মানুষ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে আসছে।  কোনো উদ্ভিদের রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা থাকলেই তাকে ভেষজ উদ্ভিদ বলা হয় । সুস্থ জীবনযাপন বজায় রাখতে নিমের বিকল্প কিছু নাই বললেই চলে কেননা

আমাদের জীবনের যেকোনো সমস্যা দূর করতে নিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ঔষধি গাছ হিসেবে নিমের ডাল, পাতা, রস খুবই উপকারী।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম খুবই উপকারি এক বস্তু ।  নিমপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এক কাপ নিমপাতায় ৩৫ গ্রাম ক্যালরি থাকে ।  তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করতে চাইলে প্রত্যেকদিন সকালে খালিপেটে ২০-৩০ টি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন ।

নিমপাতা ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ যে একটানা তিনমাস একচামচ করে নিমের রস পান করলে ডায়াবেটিস ভালো হয়। এছাড়া নিমপাতার রস পান করলে ইনসুলিন নেওয়ার প্রবনতা অনেকাংশে কমে যায়। 

নিমপাতার রস খাওয়ার উপকারিতা 

গবেষণায় দেখা গেছে নিমের রসে এস মিটানস, ই ফ্যাকালিস এবং এস অরিয়াসের মতো উপাদানগুলি রয়েছে যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে এবং শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহাযো করে । নিমপাতার উপকার সম্পর্কে নর্তুন করে কিছুই বলার নাই এই গাছের প্রত্যেক উপাদান আমাদের জন্য অনেক উপকারি এর রস প্রতেকদিন পান করলে যেকোনো রোগ নিরাময় করা সম্ভব । তাই প্রতেকদিন নিয়মিত নিমের রস পান করুন এবং সুস্থ থাকুন ।
 

চর্মরোগে নিমপাতার ব্যবহার

চর্মরোগে একটি মারাতঙ্ক রোগ । বর্ষাকালে চর্মরোগ বেশী হয় । বর্ষাকালে পরিবেশ আদ্র থাকার কারণে এই চর্মরোগ খুব সহজেই ছরিয়ে যায়।  চর্মরোগ থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকতে হবে, হাত, পা বারবার ভেজানো থেকে বিরত থাকুন । কেননা এতে চুলকানির সমস্যা আরো বেশী হবে ০-২০ গ্রাম নিমের ছাল এবং নিমের বীজ নিম পাতার সঙ্গে পিষে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন।

তারপর যেখানে আপনার সমস্যা সেখানে এই পেস্ট লাগান দেখবেন অনেক আরাম পাবেন।  এর জন্য পুরনো নিম গাছের শুকনো ছাল তুলে মিহি গুঁড়ো তৈরি করতে হবে । তারপর ৩ গ্রাম পাউডার এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং তারপর সকালে এর মধ্যে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এই জল ব্যবহার করলে চর্মরোগে উপশম পাওয়া যায়। এবং চরর্মরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।

নিম পাতার ব্যবহার, উপকারিতা ও অপকারিতা

নিমের অপকারিতা

নিমের এতো এতো উপকারি দিক থাকা সত্তেও এর কিছু অপকারিতাও আছে চলুন জেনে আসি নিমের অপকারিতা কারো যদি লিভার বা  কিডনির সমস্যা থাকে তারা অবশ্যই নিমপাতা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। তা না হলে দেখা যাবে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়ে গেছে । আবার ত্বকে নিমপাতা ব্যবহার করার পর অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে নিমপাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ।

চিকিৎসকরা বলছেন,নিমপাতা সবক্ষেত্রে উপকারি হলেও গর্ভবতী নারী বা বিবাহিত পুরুষ যারা সন্তান নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এটি ব্যবহার না করাই উত্তম কেনোনা নিমপাতা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে তাই গর্ভবতী নারীরা নিমপাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন । 

শেষকথা ঃ নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে

নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। নিম একটি মহৌষধ যা যেকোনো রোগ নিরাময়ে সাহাযো করে চুলের সমস্যা ত্বকের যেকোনো সমস্যা অ্যালার্জির সমস্যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মুখের রুচি বাড়াতে উকুণের সমস্যা আরো নানাবিধ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই নিম। 

 তাই আপনারা যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার যেকোনো রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।আশা করা যায় নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url