শসা খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আজকের এই পোস্ট এ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। শসা অনেক উপকারি একটা খাবার ।এতে রয়েছে অনেক রোগ প্রতিরোধকারি ক্ষমতা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে ।
শসা আমাদের শরিরের টক্সিনের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসে। যার ফলে শরিরের সব বিশাক্ত সব
প্রদার্থ দূর হয় । এছাড়াও অনেক উপকারি গুণ রয়েছে এই শসাতে। তো চলুন জেনে নেওয়া
যাক শসা খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি।
পেঁজ সূচীপত্র ঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা
- শসা খাওয়ার উপকারিতাশসা খাওয়ার উপকারিতা
- শসা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- শসা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- ওজন কমাতে শসা
- শসা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
- চুল ও নখ সতেজ করে শসা
- ক্যানসার প্রতিরোধে শসা
- শসা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- শসা শরীরের পানীর ঘাট্তি পূর্ণ করে
- মাথাব্যথার সমস্যা দূর করে
- ইউরিক অ্যাসিড কমায় শসা
- ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
- শসার অপকারিতা
- লেখকের শেষকথাঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এজন্য আমরা শসা খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো। শসা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে, শসা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে, শসা আমাদের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শসা। এছাড়াও শসার আরো উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পোস্ট পড়তে থাকুন।
শসা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান বিদ্যামান আছে যা আমাদের শরিরের রক্তচাপ সম্পূর্ণ
নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে । এর মধ্যে বিদ্যামান থাকা পটাসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম
এবং ফাইবার বিদ্যামান যা আমাদের মানবদেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । গবেষণায় দেখা গেছে যে যাদের
রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত শসার রস খাওয়ার নিয়মতি পান করার ফলে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রনে আসে । এজন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করার জন্য নিয়মিত শসা পান করুন ।
আরো পড়ুনঃ
শসা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
নিয়মিত শসা পান করলে শরিরের বিষাক্ত পর্দাথ দূর হয়।শসায় রেপসিন নামক অ্যানজাইম
প্রদাথ বিদ্যামান আছে যা হজমের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।এজন্য
আপনাদের যদি হজমের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত শসা
খান ।
ওজন কমাতে শসা
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি বিদ্যামান যা ওজন কমাতে সাহায্য করে । ওজন কমানোর জন্য
আদর্শ একটি বিষয় হল শসা । শসায় বিদ্যামান থাকা পানি আমাদের শরিরের কোষগুলোকে
হাইড্রেটই করে এবং এটি পেট পরিপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে । ফলে অতিরিক্ত কোনো
কিছু খেতে ইচ্ছা করে না । এক কাঁপ শসায় ১৬ ক্যালরি বিদ্যামান্ ।
যার ফলে নিয়মিত শসা খেলে শরিরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব । এছারাও ১০০ গ্রাম
শসাতে পানির পরিমাণ থাকে ৯৪ গ্রাম যা ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে
শসা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
রূপচর্চা করার জন্য অনেকেই শসা ব্যবহার করে থাকেন । শসায় এমন কিছু উপকারী
প্রদাথ বিদ্যামান আছে যা শরীরের জন্য বেশ দরকারি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও
কার্যকর। শসায় বিদ্যামান থাকা থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর
করে ।
শসা এবং চোখে সতেজ ভাব নইয়ে আসতে সাহায্য করে এই শসা । এছারাও চোখের নিচের
কালো দাগ এবং চোখের ফোলা ভাব দূর করতে শসার দুই টুকরো চোখের উপরে দিয়ে ৪-৫
মিনিট রাখলেই সশায় বিদ্যামান থাকা ভিটামিন সি এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করবে।এছাড়াও অনিদ্রা, কাজের চাপ, চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে শসা একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।
চুল ও নখ সতেজ করে শসা
শসার মধ্যে বিদ্দামান থাকা খনিজ সিলিকা যা চুল ও নখকে শক্তিশালী ও সতেজ করতে
সাহায্য করে থাকে। এছারাও শসাতে বিদ্দামান থাকা সালফার ও সিলিকা প্রদাথ চুলের
বৃদ্ধি ও চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। শসাতে উপস্তিথ সালফার এবং
পটাশিয়াম চুল পরা রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্যে করে।
প্রতিদিন শসার রস দিয়ে চুল ধুলে চুল শক্ত হয় এবং সশার রসে রয়েছে সিলিকন,
সোডিয়াম,কালসিয়াম ও সালফার রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে চুল পরা রোধ করতে
সাহায্য করে ।
ক্যানসার প্রতিরোধে শসা
শসায় এমন কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান বিদ্দামান আছে যা জরায়ু,স্তন, এবং বিভিন্ন
স্থানে কান্সারের ঝুকি কমায়। এতে রয়েছে সিকাইলোরিসিরেসিনোল,ল্যারিসিরেসিনোল
ও পিনোরেসিনোল যা শরিরের প্রতিরোধী শক্তিকে বৃদ্ধি করে । এবং এগুলো তে যে
আয়ুর্বেদিক উপাদান।বিদ্দামানা আছে তা কান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য
করে ।
শসা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শসাতে ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৩ ভাগ পানি বিদ্যামান থাকে । শসাতে বিদ্যমান থাকা
ডায়াটেরি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে । এছারাও শসায় থাকে
প্রযাপ্ত সরবিটাল যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কাজ করে। এবং এতে ফাইবার থাকার
কারনে হজমের সমস্যা দূর হয় ।
শসা শরীরের পানীর ঘাট্তি পূর্ণ করে
শসার ৯০% উপাদান পানি। এতে এই পানি বিদ্দমান থাকার কারণে এই যিনিস খাওয়ার
পর শরিরের পানিশূন্যতা দূর হয় । এছাড়া শসায় যে পানি থাকে তা আমাদের শরিরের
বিষাক্ত প্রদার্থ ও বর্জ্য দূর করে। এজন্য সুস্থ থাকতে হলে বেশী বেশী পানি
পান করুন। এবং পানীর পাশাপাশি বেশী করে শসা খান এতে শরীরের পানিশূন্যতা দূর
হবে এবং শরীর থাকবে সুস্থ।
মাথাব্যথার সমস্যা দূর করে
শসায় বিদ্যামান প্রচুর প্ররিমা্নে ভিটামিন বি যা মাথা পরিষ্কার রাখতে
সাহায্য করে । এজন্য প্রতিদিন ঘুমানোর আগে কিছু পরিমাণ শসা খেলে ঘুম
ভালো হবে , ঘুম থেকে উঠার পর মাথা হালকা লাগে , মেজমেজ করা শরির ফ্রেশ লাগে
।
ইউরিক অ্যাসিড কমায় শসা
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা বিদ্যামান যা যা মানব্দেহের ইউরিক এসিড কমাতে
সাহায্য করে । যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তাদের জন্য দারুণ
উপকারি একটি খাবার হল শসা । শসায় এমন কিছু উপাদান বিদ্দমান আছে যা আমাদের
শরিরের বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য যেসব ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশীরভাগই রয়েছে
শসাতে । এতে বিদ্যামান ভিটামিন এ , ভিটামিন বি ভিটামিন সি আমাদের শরিরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরিরের শক্তি বৃদ্ধি করে ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
শসাতে বিদ্যামান থাকা সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল
এই আয়ুর্বেদিক গুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে ।
সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল এই তিনটি উপাদান
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শসার অপকারিতা
শসার অনেক অনেক উপকারের মধ্যেও কিছু অপকারিতাও আছে । কেও যদি মনে করে যে
শুধু শসা খেয়েই ওজন কমানো যায় তাহলে এইটা সম্পুর্ন ভুল কেনোনা শসাতে রয়েছে
৯০% পানি এবং শসা হচ্ছে একটি লো ক্যালরি যুক্ত একটি ফল । কেও যদি ওজন
কমানোর জন্য যখ্ন ক্ষুধা লাগে তখ্ন শসা খায় তাহলে তার শরিরে পুষ্টি
উপাদানের ঘাট্তি দেখা দিবে।
ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পরবে যার ফলে কাজ করার শক্তি পাবেন না , এছাড়াও
রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে । এইজন্য এইরকম চিন্তাভাবনা থাকলে তা পরিহার
করতে হবে ।
লেখকের শেষকথাঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
শসা খেলে কি কি উপকার হয় এবং কি কি সমস্যা হতে পারে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে আজকের এই পোস্টে। আপনাদের যদি কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় আমাদের
সাথে যোগাযগ করতে পারেন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url