কাশ্মীরে ভ্রমণ করতে চান? ১০টি সহজ উপায় কম খরচে যাওয়ার
কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। কাশ্মীর এমন সুন্দর একটি জায়গা যা ভু স্বর্গ নামে পরিচিত। কাশ্মীরের রূপ এতই সৌন্দর্য যে মোঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীর কাশ্মীরকে তুলনা করেছেন স্বর্গের সাথে। যারা প্রকিতির অপরূপ সৌন্দর্য ভালবাসেন প্রকিতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাদের সবারই ইচ্ছা থাকে যে জীবনে একবার হলেও কাশ্মীর ভ্রমন করা।
কাশ্মীরের রূপ এত সুন্দর যে ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা প্রতিবছর ছুটে যান কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।কাশ্মীরে রয়েছে সবুজে ঘেরা বিশাল বড় বড় পাহাড় চূড়া তুষারের চাদরে ঘেরা উঁচু পর্বত। নানারকম অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ফুলের বাগান-অপরূপ সৌন্দর্য বিশিস্ট পাহাড়ি নদী। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায়।
পেইজ সূচীপত্রঃ কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায়
- কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায়
- কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান
- কাশ্মীর কখন যাবেন
- কাশ্মীর কিভাবে যাবেন
- কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ
- কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় থাকবেন
- কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় কি খাবেন
- কাশ্মীরে গিয়ে কি কি কেনাকাটা করবেন
- কাশ্মীর যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া
- কাশ্মীরে ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত পয়েন্ট
- কাশ্মীর কিসের জন্য বিখ্যাত
- বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ প্যাকেজ
- কলকাতা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া
- ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ
- ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া
- দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া
- শেষকথা ঃ কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার
কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায়
আপনারা অনেকেই জানতে চান কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায় সম্পর্কে। আজকে আমরা
আপনাদের জানাবো যে কীভাবে কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করবেন। কাস্মির এমন এক জায়গা
যেখানে ঘুরতে গেলে আপনারা বাহারি সব ফুলের বাগান, তুষারের চাদরে ঘেরা পাহাড়,
এবং সবুজে ঘেরা সব মাঠ দেখতে পারবেন।
আপনারা কম খরচে ভ্রমন করতে পারবেন কাশ্মীর। কম খরচে ভ্রমন করার জন্য আপনাকে
বেছে নিতে হবে রেলপথ। রেলে করে গেলে আপনাদের খরচ অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
কিন্তু কাশ্মীর ভ্রমন করার জন্য আপনাকে চলে যেতে হবে ভারতের শ্রীনগরে। এছাড়াও
খরচা কমিয়ে নিয়ে আসার আরো অনেক বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে---
কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান
কাশ্মীর এমন সুন্দর একটি স্থান যে কাশ্মীরের পুরোটাই স্বর্গরাজ্য হিসেবে
বিবেচিত করা হয়। কাশ্মীরে রয়েছে নানারকম উঁচু উঁচু পাহাড় চূড়া। আর এই
পাহাড়ের মাঝে আপনারা দেখতে পারবেন নানারকম সাদা বড়ফের খেলা।
কাশ্মীর রাজ্যের ভিতরে ঘোরার জন্য আর নানা রকম প্রকৃতির সৌন্দর্য
উপভোগ করার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। আর কাশ্মীর শহরের বাইরে অপেক্ষা করছে অন্য
রকম এক সৌন্দর্য যা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
কাশ্মীরের উল্লেখযোগ্য কিছু স্থানের নাম আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে উল্লেখ করা হলো ঃ
শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার হচ্ছে শ্রীনগর। শ্রীনগরে যাওয়া মাত্রই আপনার চোখে
পড়বে নানারকম পাহাড়ের চূড়ায় বড়ফের তুষার কণা যা দেখতে অপ্ররূপ সুন্দর। এছাড়াও
আপনারা শ্রীনগর এ গেলে দেখতে পারবেন এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল।
তাছাড়াও আপনারা শ্রীনগর গেলে দেখতে পারবেন মোঘল
গার্ডেন,এক ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।
এছাড়াও শ্রীনগরের আরেকটা আকর্ষণীয় দৃশ্য হচ্ছে লেক। আপনারা কাশ্মীর
গেলে নানারকম লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই লেকগুলোর মধ্যে অন্যতম
সুন্দর লেক হচ্ছে ডাল লেক ও নাগীন লেক। এছাড়াও কাশ্মীরের আরেকটা অন্যতম আকর্ষণ
হচ্ছে একটা ভাসমান শহর যা আরডাল লেকের উপরে অবস্থিত।
গুলমার্গঃ
গুলমার্গ এমন এক সৌন্দর্যে ঘেরা এক শহর যা সারাবছর ই বড়ফের চাদরে ঘেরা থাকে।এবং
এই গুলমার্গ শহর টি পুরোটাই সবুজে ঘেরা এক সুন্দর শহর।এই গুলমার্গ শহরটি
শ্রীনগর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।কাশ্মীরের গুলমার্গ এই শহর
টিতে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন গন্ডোলা, গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার,
আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারি চার্চ।
ইন্ডিয়ার শীতকালীন এক ক্রীড়াযজ্ঞের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত এই পাহাড়ি
অঞ্চলটি এশিয়ার অন্যতম সেরা স্কিয়িং স্পট।
পেহেলগামঃ
কাশ্মীর অন্যতম সুন্দর একটা শহর হচ্ছে পেহেলগাম। এই পেহেলগাম শহরটি শ্রীনগর
থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা শ্রীনগর থেকে ডাইরেক্ট ট্যাক্সি করে
যেতে পারবেন এই পেহেলগাম শহরটি্তে।আপনারা যদি জুলাই থেকে অক্টোবর
এর মাঝে পেহেলগাম শহরটি ভ্রমন করেন তাহলে আপনারা অনেক রকম
সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
জুলাই থেকে অক্টোবর এই সময়টিতে আপনারা পেহেলগাম শহরটিতে
ভ্রমন করলে রাস্তার দু পাশে আপেল বাগান দেখতে পারবেন। তাছাড়া যদি আরেকটু সময়
নিয়ে এই জায়গাটি ঘুরতে পারেন তাহলে আরো নানারকম সৌন্দর্য উপভোগ করতে
পারবেন।যেমনঃ লিদার নদী, বেতাব ভ্যালি, চান্দেরওয়ারি, আরু ভ্যালি, ধাবিয়ান,
কাশ্মীর ভ্যালী পয়েন্ট, কানিমার্গ।
আর আপনারা যদি ঘোরায় চরে ঘুরতে চান তাহলে আপনাদের পেহেলগাম শহরে আসতে হবে।
এছাড়াও এখানে মিনি সুইজারল্যান্ড নামে পরিচিত বাইসারানে ঘুরতে পারেন।
এখানকার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে অবশ্যই। এই পেহেলগাম এর বিপণীগুলোর
ঐতিহ্যবাহী কাশ্মীরি সামগ্রী পর্যটকদের মন কাড়ে।
সোনামার্গঃ
এই সোনামার্গ শহর টি কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এই
সোনামার্গ শহরে গেলে আপনারা নানারকম সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্নার সৌন্দর্য উপভোগ
করতে পারবেন।এই জায়গায় আরো রয়েছে থাজিয়ান হিমবাহ। এছাড়াও আরো রয়েছে সিন্ধু নদী
যা আপনার ভালো লাগবে অনেক।
এছাড়াও শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত কিছু সুন্দর জায়গা রয়েছে যা অনেক ভালো লাগবে
আপনাদের। শ্রীনগর থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটা মন্দির রয়েছে যা অন্যরকম
স্থাপত্য গড়ে ওঠে।তাছাড়াও যাদের মাছ ধরার শখ রয়েছে তাদের জন্য পারফেক্ট একটা শহর
হচ্ছে কোকেরনাগ।এই জায়গায় গেলে আপনাদের জন্য র্যেছে মাছ ধরার ব্যবস্থা।এছাড়াও
সেইখানে রয়েছে কাঠ বাদাম ও আপেল বাগানের সমাহার।
কাশ্মীর কখন যাবেন
কাশ্মীর কখন যাবেন এই ্প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। কাশ্মীর এমন সুন্দর
একটা জায়গা যে আপনি বছরের যেকোনো সময় কাশ্মীর ভ্রমন করতে পারবেন । কাশ্মীর
রূপে অন্যন্য একটা জায়গা যা যেকোনো মানুষের মন মুহুর্তের মধ্যে ভালো করে
দিবে। কাশ্মীরে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর কতগুলো জায়গা যার জন্য কাশ্মীরকে
ভু সর্গ নামে অভিহিত করা হয়।
তবে কিছু বিশেষ সময় কাশ্মীরের সৌন্দর্য আরো কয়েকগুনে বৃদ্ধি পায়। কাশ্মীর
ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্তব সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে মে মাস এই সময় টি। এই
সময় চারিদিক নানারকম ফুলে ভরা থাকে চারপাশ।বিশেষ করে টিউলিপ ফুল সবচেয়ে
বেশী দেখা যায় এই সময়ে কাশ্মীরে। কাশ্মীরে অনেক ফল চাষ করা হয় বিশেষ করে
আপনারা কাশ্মীর গেলে আপেলের বাগান দেখতে পারবেন।
আর চীনাবাদাম চাষ করা হয় প্রচুর কাশ্মীরে। আর আপনারা যদি শীতকালের সময়
কাশ্মীরে ভ্রমন করেন তাহলে চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ,সাথে স্নোফল দেখতে
পারবেন যা কাশ্মীর এর সৌন্দর্য আরো কয়েকগুনে বৃদ্ধি করে। আপনি যদি শীতকালে
কাশ্মীর ভ্রমন করেন তাহলে আপণি কাশ্মীরের সম্পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে
পারবেন। কারণ শীতকালে কাশ্মীর আরো বেশী সুন্দর রূপ ধারণ করেন।
আপনারা যারা বরফের রাজ্য ঘুরে আসতে চান তাদের জন্য পারফেক্ট সময় হচ্ছে ডিসেম্বর
থেকে ফেব্রুয়ারি মাস।কারণ এই সময় কাশ্মীরে প্রচুর বরফ পড়ে। এবং আপনি যদি
প্রকিতিপ্রেমি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে
মে মাস। কারণ এই এপ্রিল থেকে মে মাস কাশ্মীর পুরোটাই সবুজে ঘেরা
থাকে।
তাই আপনি যদি সবুজে ঘেরা কাশ্মীর এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে
আপনাকে এপ্রিল থেকে মে মাসে কাশ্মীর ভ্রমনে যেতে হবে।তবে আপনি যদি জুলাই
থেকে আগস্ট মাসে কাশ্মীরে ভ্রমন করতে চান তাহলে আপনি নানারকম সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারেন কারণ এই সময়ে কাশ্মীরে প্যাহেলগামে হিন্দু দেবতা শিবের গুহা
মন্দিরে অমরনাথ যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় টানা ৬২ দিন ধরে।
যার ফলে সেইসময় কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে যানজট হয়ে থাকে। ফলে আপনি ঘুরে তেমন
শান্তি পাবেন না। কিন্তু আপনারা যদি বর্ষার সময় কাশ্মীর ভ্রমন করেন তাহলে
আপনারা তখন কাশ্মীর এর সৌন্দর্য আরো সম্পুর্নভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। আমার
মতে বর্ষার সময় কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য একদম উপযুক্ত কারণ এই সময় অফ
সিজন তাই সবকিছুর দাম ও অনেক কম পাবেন।
কাশ্মীর কিভাবে যাবেন
কাশ্মীর আপনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই খুব সহজে যেতে পারবেন । কাশ্মীরি আপনি
ট্রেন বাস বা প্লেন যেকোনো ভাবেই যেতে পারবেন। আপনি যদি বিমানে করে
কাশ্মীর যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে ঢাকা থেকে দিল্লি যেতে
হবে তারপর দিল্লি থেকে শ্রীনগরে যেতে হবে।তারপর শ্রীনগর থেকে আপনি গাড়িতে
করে কাশ্মীর পোঁছাতে পারবেন ।
আবার আপনি যদি ট্রেনে করে কাশ্মীর যেতে জান তাহলে আপনাকে প্রথমে
ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যেতে হবে । ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার জন্য
আছে মৈএী এক্সপ্রেস। ট্রেনে করে কাশ্মীর যেতে হলে আপনাকে কলকাতা
পর্যন্ত যেতে হবে তারপর সেখান থেকে ৩৫- ৩৬ ঘন্টা সফর করে জম্বু পর্যন্ত
যেতে হবে । কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায় জেনে নিন--
কলকাতা থেকে জম্বু পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দুটি ট্রেন আছে একটি নাম হিমগিরি ও
আরেকটি নাম জম্বু তাওয়াই। সপ্তাহে তিন দিন এই হিমগিরি ট্রেন কলকাতা থেকে
জম্মুর উদ্দেশ্য রওনা দেয়।মঙ্গলবার শুক্রবার আর শনিবার এই তিন
দিন রাত ১১:৫০ মিনিট কলকাতা থেকে জম্মুর উদ্দেশ্য রওনা
দেয় এই ট্রেন হিমিগিরি।
আর তাওয়াই ট্রেন টি প্রায় প্রতিদিন যাতায়াত করে হাওড়া টু জম্বু
পর্যন্ত কিন্তু এটার একটা সমস্যা হচ্ছে এতে সময় অনেক বেশি
লাগে। সেই ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন তাড়াহুড়া না থাকে তাহলে আপনি ইমিগ্রেশন
যাতায়াত করতে পারেন এতে আপনি জার্নি করে অনেক মজা
পাবেন।জম্বু পর্যন্ত পৌঁছানোর পর আপনাকে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে হবে।
শ্রীনগর যেতে হলে আপনাকে ৮-১০ ঘণ্টা সফর শেষ করে তারপর যেতে হবে কাশ্মীর
।শ্রীনগর থেকে আপনি বাসে কিংবা জিপে করে কিংবা ট্যাক্সিতে
করে কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন ।আপনি যদি বাসে করে কাশ্মীর পর্যন্ত
যেতে চান তাহলে আপনাকে গ্রীন লাইন শ্যামলী বাস সোহাগ পরিবহনে কলকাতা
থেকে জম্বু পর্যন্ত যেতে হবে।
জম্বু থেকে তারপর আপনাকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। তারপর শ্রীনগর
থেকে আপনাকে কাশ্মীর পর্যন্ত যেতে হবে। তবে আপনি যদি চান তাহলে আপনি কলকাতা
থেকে জম্বু বা শ্রীনগরে বিমানে করেও যেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ টা একটু
বেশি হবে। এজন্য আপনারা ভ্রমন খরচ কমাতে পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ
কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্ট মনোযোগী হয়ে
পরুন। ভ্রমন খরচ সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপরে। আপণি যদি একটু ভালভাবে
বিমানে করে যেতে চান তাহলে আপনার খরচা একটুঁ বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে
ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপণি যদি খরচা একটু কমাতে চান তাহলে আপনাকে ট্রেন ভ্রমন বেছে
নিতে হবে।
এতে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক খরচা কেমন হবে।
ট্রেনে করে কলকাতা থেকে জম্বু পর্যন্ত ভাড়া পরবে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার
মতো । আর অন্যদিকে এসির ক্ষেত্রে ভালো করবে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মত। তবে
আপনারা যদি সাত আট জন মিলে গ্রুপ করে কাশ্মীর র্ঘুরতে যান তাহলে আপনাদের খরচ
অনেক কমে যাবে।
৭-৮ জন মিলে গ্রুপ করে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনাদের ভাড়া পড়বে জম্বু
থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। আপনারা যদি বিমানে করে কলকাতা
থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে চান সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকার
মতো। বাসে করে গেলে আপনাদের খরচটা অনেক কমে যাবে। বাসে গেলে জন প্রতি
১৭০০ থেকে ২০ হাজার টাকার মত খরচা হবে।
ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য। তবে আপনি যদি খরচা আরও কিছু কমাতে
চান সেক্ষেত্রে আপনাদের সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে যেতে হবে। সীমান্ত
পেরিয়ে কলকাতা পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে জম্বু পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর জম্বু
থেকে শ্রীনগর পৌঁছাতে হবে তারপর শ্রীনগর থেকে কাশ্মীর। তবে আপনি যদি থাকা
আর যাতায়াত খরচ একটু কমাতে পারেন--
তাহলে আপনি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে পুরো কাশ্মীর ঘুরে আসতে পারবেন
এবং সাথে কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন।
কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় থাকবেন
কাশ্মীরে থাকার জন্য আপনারা বেশ কিছু ভালো হোটেল পাবেন। সেক্ষেত্রে
আপনাদের ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ রুপির মত। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩২০ বা
১৯৮০ টাকার মধ্যেই। তবে শ্রীনগরের ডাল লেকের কাছাকাছি রিসোর্ট বা হোটেলগুলোতে
সাধারণ হোটেল বা রিসোর্টগুলোর চেয়ে অনেক বেশী হয়ে থাকে।
সাধারণ রিসোর্ট থেকে প্রায় ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে থাকে। যেমন-প্রিন্স অফ ভ্যালে,
ইয়ং মর্নিং স্টার, নিউজিল্যান্ড হাউস বোট এুলোতে ভাড়া প্রায় বেশী হয়ে
থাকে। কাশ্মীরে থাকার জন্য অনেক নামকরা হোটেল বা রিসোর্ট রয়েছে যেগুলোতে থাকতে
পাবেন এবং সেইখান থেকে অনেক সুন্দর প্রকিতির নানান্রকম আপরুপ সন্দর্জ উপভোগ
করা যায়।
এছাড়াও শ্রীনগরে থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে যা প্রাচীনাকেলে তৈ্রি করা হয়েছে
এবং সেই জায়গাগুলো আরো ভালভাবে মেরামত করে সগুল অনেক সুন্দর বানানো হয়েছে
যেগুলোতে আপণি খুব ভালোভাবে আপনার ভ্রমন আরো অনেক সুন্দর করতে পারবেন। এছারাও
ডাল লেক এবং নিগিন লেকে ব্রিটিশ দের দিয়ে তৈরি অনেক পুরনো হোটেল রয়েছে।
যেগুলোতে রয়েছে কাঠ দিয়ে বানানো নানারকম আসবাবপত্র এবং হাজগুলোর মধ্যে আপনারা
অনেক আরামে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এছাড়া ও এই রিসোর্টগুলতে আপনারা সবধরনের
সুযোগ সুবিধা পাবেন।এই রিসোর্টগুলোর প্রতিটি হাউজ বোর্ডে তিনটি করে বেডরুম আছে
একটি বসার ঘর একটা রান্নঘর আর একটা খাবার ঘর আছে ।
এবং এই রিসোর্টগুলতে শীতকালে রুম গরম করার জন্য হিটার এবং ইলেক্ট্রিক
কম্বলের ব্যবস্থা রয়েছে।এবং গরমকালের জন্য তো এসির সুবিধা রয়েছেই।
কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় কি খাবেন
কাশ্মীরে মশলা এবং রন্ধনশিল্পের কারণে অনেক সুনাম রয়েছে সেই প্রাচীনকাল
থেকে। এখানকার চাষ করা ফলগুলো অন্যোন্য জায়গার ফলের থেকে অনেক সুসাব্দু হয়ে
থাকে।এই পাহাড়ি ফল অন্যনো যেকোনো ফলের থেকে স্বাদ বেশী হবে। কাশ্মীরের বিখ্যাত
মাটন বিরিয়ানি যেকোনো ভোজনরসিকের একবার হলেও চোখে দেখতে চান।
ওজওয়ান, কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংস, পনির চামান, আলুর দম
এবং নাদরু ইয়াখনি এগুলো হচ্ছে কাশ্মীরের বিখ্যাত সব সুসাব্দু খাবার।
কাশ্মীরে গিয়ে আপনারা সকল তাজা সু সাব্দু সব ফল্মুল পাবেন যা খাওয়া মিস করবেন
না । এছাড়া কাশ্মীরে একটা চা পাওয়া যায় যা এলাচ, দারুচিনি, জাফরান এবং
বাদাম দিয়ে বানানো হয়ে থাকে। যে চায়ের নাম হল কাহভা।
এছাড়াও কাশ্মী্রে রফিক ক্যাফেটেরিয়া তে নামকরা কাবাব এবং কুলফি পাওয়া যায় যার
সাব্দ অন্যোন্য।কাশ্মীরের গুড় অনেক বিখ্যাত এবং এই গুড় দিয়ে একরকমের চা পাওয়া
যায় যা অনেক ভালো সাব্দের হয়ে থাকে। এছাড়াও কাশ্মী্রে্ মধ্যে অত্যন্ত
জনপ্রিয় খাবার হল “রোগঞ্জোশ” যা পাউরুটি রোল দিয়ে বানানো হয় এবং
যার ভিতরে মাংস এবং সবজি দিয়ে বানানো হয়ে থাকে।
এছাড়াও কাশ্মী্রের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হল “গোস্তাবা” এটা মাংসের
একপ্রকার আইটেম যা বিভিন্ন সিক্রেট সব মশলা দিয়ে তৈরি করা হয় । এবং অন্যন্য
জনপ্রিয় সব খাবার টেস্ট করার জন্য স্থানীয় সব রেস্তরাঁ তে যেতে পারেন সেইখানে
আপনারা ভারতীয়, চীনা, মুগলাই এবং কাশ্মীরি খাবার উপভোগ করতে
পারেন। কাশ্মীরি মিষ্টি রোগলা, ফিরনি এবং কাদা প্যানীর রুটি আপনারা খাওয়ার
পরে মিষ্টিমুখ করার জন্য খেতে পারেন ।
কাশ্মীরে গিয়ে কি কি কেনাকাটা করবেন
কাশ্মীরে কেনাকাটা করার অনেক জিনিসপত্র পাবেন আপনারা তাই কেনাকাটা করার
জন্য আপনারা জম্বুতে যেতে পারেন কারণ কাশ্মীরে মধ্যে সবচেয়ে কমদামে জম্বু
তে কেনাকাটা করা যায়। এছাড়াও আপনারা কাশ্মীরের জম্বুতে সবথেকে কমদামে সকল
ফলমূল বা ড্রাই ফুটস পাবেন। যা ওয়ানইক ভালো মানের হয়ে থাকে।
এছাড়াও জম্বুর রঘুনাথ টেম্পল কেনাকাটা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা যেগুলোতে আপণি
অনেক কম দামে সব কাস্মিরী জিনিস পাবেন। এছাড়াও আপনারা কাশ্মীরের
পশমিনা শাল কেনার ক্ষেত্রে সতকর্তা অবল্ম্বন করবেন কেনোনা এই পশমিনা
শাল এর দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে যার কারণে অনেক মানুষ আপনাকে কম দামে দেওয়ার কথা
বলে নকল যিনিস হাতে ধরিয়ে দিবেন।
এই পশমিনা শাল এর দাম সর্বনিম্ন হলেও ৩০০০রুপি। এছাড়াও আপনারা পেহেলগাম থেকে
মেয়েদের জন্য শপিং করতে পারেন। এইখানে আপনারা জুয়েলারি, ব্যাগ, কয়েন
বক্স ও শো-পিস পাবেন অনেক কম দামে। এবং কাশ্মীরের মশলার কথা আর নতুন করে কি
বলবো এখানকার নানারকম মশলা কিণতে পারেন আপনারা যা পৃথিবীর মধ্যে বিখ্যাত মশলা
।
কাশ্মীর যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া
কাশ্মীর যেতে হলে আপনাদের ইন্ডিয়ার ভিসা থাকতে হবে। এব্ং এর জন্য
আবেদনকারীর ছয় মাস মেয়াদী আনুমানিক প্রস্থান ছয় মাস বা তার বেশী থাকতে হবে। এবং
আপনার পাসপোর্ট বইয়ে সর্বনিম্ন দুই পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে। এই পাসপোর্ট এর সাথে
আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখতে পারেন। এবং আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের
দুই কপি ছবি লাগবে।
যা জেপিজি বা পি এন জি আকারে আপলোড করতে হবে। এবং আপনি কাশ্মীর গিয়ে কোথায়
থাকবেন তার একটা প্রমান দেখাতে হবে। এবং আপনারা যদি হোটেলে থাকেন তাহলে আপনারা
বুকিং এর কাগজ প্রিন্ট করে নিবেন। এবং আপনি কখন ভারতে প্রবেশ করবেন এবং কবে
আবার ভারত ত্যাগ করবেন তার একটা সময় আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।
এবং আপনারা যেভাবেই কাশ্মীর যাবেন না কেন হোক সেটা বাস বা প্লেন আপনাকে তার
টিকেট দেখাতে হবে। এবং আপনার কাস্মিরে ভ্রমণের জন্যপর্যাপ্ত টাকা আছে কিনা তার
একটা প্রমান আপনাকে দেখাতে হবে। এবং এইসব প্রকিয়া সম্পন্ন করার পরেই আপনি
কাস্মির যাওয়ার জন্য অনুমতি পাবেন।
কাশ্মীর কিসের জন্য বিখ্যাত
কাশ্মীর কিসের জন্য বিখ্যাত আপনারা অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা আপনাদের
সাথে আলচনা করবো যে কাশ্মীর কিসের জন্য বিখ্যাত। কাশ্মীর
তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বজুড়ে খুবই জনপ্রিয়। কেননা
কাশ্মীরে রয়েছে পাহাড়, নদী, উপত্যকা এবং হ্রদ ।
এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ডাল লেক, সোনমার্গ, পেহেলগাম এবং
গুলমার্গ খুবই বিখ্যাত।
এছাড়াও কাশ্মীরে এক ধরনের বিশেষ শাল পাওয়া যায় যা পশমের
তৈরি। এজন্য এটা বিশ্বজুড়ে প্রত্যেকের কাছে পরিচিত। এছাড় াও
কাশ্মীরে বিভিন্ন ধরনের মজাদার সুস্বাদু খাদ্য পাওয়া যায় রুেগান
যোশ, গুজার মটন, ডুম অওলিয়া এসব বিখ্যাত। এছারাও সংস্কৃতি ও
ঐতিহ্যর জন্য কাশ্মীর খুবই জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ প্যাকেজ
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ প্যাকেজ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ প্যাকেজ সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের সাথে
বিস্তারিত আলচনা করবো। আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে ভ্রমণ
প্যাকেজের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অনেক সুবিধা পেয়ে যাবেন। এই
প্যাকেজগুলোতে অন্তর্ভুক্ত থাকে:
এই প্যাকেজগুলোতে অন্তর্ভুক্ত থাকে ফ্লাইটের টিকিট যা প্রথমে ঢাকা থেকে
দিল্লি পর্যন্ত যাবে এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত।
এছারাও আপনারা এসব প্যাকেজে পেয়ে যাবেন থাকার সুবিধাসহ হাউজ বোর্ডে
থাকার সুযোগ। তাছাড়া আপনারা এ প্যাকেজে বিভিন্ন স্থানীয় পরিবহনে অনেক
সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনার সঙ্গে সবসময় একজন ভ্রমণ গাইড থাকবেন যিনি আপনাকে ঘুরতে
সাহায্য করবেন। তাছাড়াও আপনারা এই ভ্রমণ প্যাকেজে পেয়ে যাবেন জনপ্রিয়
কিছু স্থান যেমন পেহেলগাম, ডাল লেক, সোনমার্গ
ইত্যাদি স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার দারুন
সুযোগ। আপনারা এসব প্যাকেজে ৫ থেকে ৭ দিন ভ্রমণ করতে পারবেন।
আপনারা এসব ভ্রমণ প্যাকেজ বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ সংস্থা এবং বিভিন্ন
সোশ্যাল মিডিয়ায় পেয়ে যাবেন।
কলকাতা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া
কলকাতা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আমরা এখন
আপনাদের সাথে আলাপ আলচনা করবো কলকাতা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া সম্পর্কে।
কলকাতা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া সাধারণত ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় এ ভাড়া পরিবর্তন হতে পারে।
আপনারা যদি সময়মতো বিমান বুকিং দিতে পারেন তাহলে ভাড়া কম পেতে পারেন।
তাছারাও আপনারা বিভিন্ন এয়ারলাইন অফার সম্পর্কে খোঁজ রাখতে
পারেন।
ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ
ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ নির্ভর করবে আপনি কিভাবে ভ্রমণ
করবেন এবং সেখানে গিয়ে কি কি খাওয়া দাওয়া করবেন তার উপরে। আমরা এখন
আপনাদের একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ
সম্পর্কে।
আপনারা যদি বিমানে করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাদের ঢাকা থেকে দিল্লি
পর্যন্ত যাওয়ার জন্য খরচা হতে পারে সাত থেকে পনের হাজার টাকা। এছাড়াও
দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বিমানে করে যাওয়ার জন্য খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৭
হাজার টাকা। এছাড়াও সেখানে রাত্রিযাপনের জন্য খরচ হতে পারে ২ থেকে ১০
হাজার টাকা।
আর সেখানে গিয়ে ঘোরাফেরা করার জন্য প্রত্যেকদিন পরিবহন খরচ লাগতে পারে এক
থেকে দুই হাজার টাকা। এবং সেখানে প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া খরচ লাগতে
পারে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মতো। মোট কথা আপনারা যদি ৫ থেকে ৭ দিনের
জন্য বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ করেন তাহলে আপনাদের মোট খরচ হতে পারে ৪০
থেকে ৭০ হাজার টাকা।
ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া
ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া আপনারা অনেকেই জানেন না। আমরা এখন বিস্তারিত
আলচনা করবো যে ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া কত সে সম্পর্কে।
ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া:
জায়গা (KWD) | . বিমান ভাড়া |
---|---|
ঢাকা থেকে দিল্লি: | প্রায় ৭,০০০-১৫০০০ টাকা |
দিল্লি থেকে শ্রীনগর:: | প্রায় ৩,০০০-৭০০০ টাকা |
দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া
দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আমরা
এখন আপনাদের সাথে আলাপ আলচনা করবো যে দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া কত
সে সম্পর্কে। আপনার যদি দিল্লি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ট্রেনে করে আসতে
চান তাহলে তো সম্ভব না। কেননা শ্রীনগরে কোন রেলস্টেশন নেই।
আপনাকে দিল্লি থেকে জম্বু পর্যন্ত ট্রেনে করে আসতে হবে। এবং জম্মু থেকে
আপনাকে সড়কের পথে কাশ্মীর পর্যন্ত আসতে হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক
দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া সম্পর্কে। আপনারা যদি দিল্লি থেকে
জম্মু পর্যন্ত ট্রেনে করে আসতে চান তাহলে আপনাদের খরচ হতে পারে ৬০০ থেকে ১০০০
টাকা।
তাছাড়া আপনারা যদি এসি টেনে করে আসতে চান তাহলে আপনাদের ভালো কিছুটা বেশি
থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ভাড়া আসতে পারে ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা
পর্যন্ত। জম্বু থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য খরচ হতে পারে ২
থেকে ৩ হাজার টাকা এবং সময় লাগতে পারে ৩-৪ ঘন্টা।
কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট
- আপনারা যদি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কিছুদিন আগে থেকেই টিকিট কাটেন তাহলে আপনাদের খরচ কম লাগবে।
- শীতকালে কাশ্মীর গেলে অবশ্যই শীতের প্রস্তিতি নিবেন এবং বেশী করে শিতের কাপড় নিয়ে যাবেন।
- আপনারা কাশ্মীর গেলে অবশ্যই বেশী দিন থাকার প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন তাহলে পুরো কাশ্মীর ভালভাবে ঘুরতে পারবেন।
- কোনো জায়গায় ঘুরার আগে ভালভাবে বিশ্লেষন করবেন কারণ অনেক মানুষ আপনাদের নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- আপনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে আপনারা যদি সীমান্ত পার হয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করেন তাহলে আপনারা কলকাতাও দেখতে পারবেন এবং খরচ ও কম হবে।
- অনলাইনে রুপির রেট জেনে নিন।
- যেকোনো কিছু কেনার আগে দরদাম করতে ভুলবেন না। তা না হলে আপনার থেকে অনেক বেশী দাম নিবে।
- কোনো খাবার খাওয়ার আগে দেখেশুনে খাবেন কারন কাশ্মীরের খাবারে অনেক বেশী পরিমাণে মশলা থাকে।
- কাশ্মীরে রাত ৮ টার মধ্যেই সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয় । তাই কিছু কেনার থাকলে আগেই কেনাকাটা করুন ।
- ৫০০ টাকা ট্রাভেল টাস্ক সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে ভ্রমনের আগেই।
শেষকথাঃ কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার উপায়
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি কম খরচে কাশ্মীর ভ্রমন করার
উপায় সম্পর্কে। আপনাদের সুবিধার জন্য এই পোস্টে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে। আপনাদের কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে
পারেন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url