কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করার উপায়
কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ কীভাবে করবেন জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা
সাজেক ভ্যালি কীভাবে কম খরচে ঘুরে আসবেন বিস্তারিত আলোচনা করবো। সাজেক ভ্যালি
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর একটা জায়গা। সুন্দর সুন্দর পাহাড় মেঘ যাদের
টানে তারাই সবচেয়ে বেশী যায় এই সাজেক ভ্যালিতে।
এই জায়গায় গেলে আপনি অনেক সুন্দর পাহাড় ও মেঘ দেখতে পারবেন। সাজেক
ভ্যালি এই জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ভিডিও উচ্চতায় অবস্থিত । মেঘের রাজ্য বলা হয় এই সাজেক ভ্যালিকে। তাই ভ্রমন পিপাসু
মানুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সাজেক ভ্যালি। তো চলুন জেনে
আসি কম খরচে সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পেইজ সূচীপত্র ঃকম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
- কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
- সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
- সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত
- সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে কি কি দেখবেন
- সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়
- সাজেক ভ্যালিতে কীভাবে যাবেন
- সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে কোথায় থাকবেন
- সাজেকের কিছু রিসোর্ট এর তথ্য
- সাজেক যেতে কত টাকা লাগে
- রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক ভ্রমণ
- ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
- চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
- চট্রগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
- সাজেক ভ্রমণ টিপস
- সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত
- শেষকথাঃ কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
কম খরচে সাজেক ভ্রমণ
সাজেক খুবই সুন্দর একটা জায়গা। বর্তমান সময়ে সকল ভ্রমন পিপাসুদের পছন্দের
একটা জায়গা এই সাজেক ভ্যালি।আপনারা সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে উপভোগ করতে পারবেন
মেঘ এবং পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। তাই আপনারা যারা কম
খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করতে চান তারা আজকের এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে
থাকুন।
সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। সর্বউত্তরের মিজোরাম
সীমান্তে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি। সাজেক খুবই সুন্দর একটা জায়গা। আপনারা অনেক
কম খরচে সাজেক ভ্রমন করতে পারবেন। সাজেক ভ্যালির উওরে হচ্ছে ত্রিপুরা এবং
সাজেক অবস্থিত দীঘিনালা উপজেলায়। সাজেকের মোট আয়তন হচ্ছে ৭০২
বর্গমাইল।
এছাড়াও সাজেকে এক বিজিবি কাম্প রয়েছে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু জায়গায়
অবস্থিত। যা সাজেক ভ্রমন করা মানুষদের নিরাপত্তার জন্য।
সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট গন্তব্য
স্থান স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। এই সাজেক ভালি সমদ্র থেকে 1800 ফিট
উচ্চতায় অবস্থিত। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে সাজেক৭৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর ৪০
কিলোমিতার দূরে অবস্থিত দীঘিনালা।বাংলার র্ভূস্বর্গ বলে অভিহিত করেন অনেকেই
এই মেঘের রাজ্য সাজেক কে।
সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। কিন্তু আপনি যদি সাজেক যেতে চান তাহলে আপনাকে
খাগড়াছড়ি জেলা দিয়ে সাজেক যেতে হবে । এখানকার প্রকিতি যখন ইচ্ছা তার রং
পরিবর্তন করেন। দিনের বেলায় আপনি প্রকৃতির নানারকম রূপ দেখতে পারবেন যার
অসীম সৌন্দর্য আপনাকে এক আলাদা অনুভূতি প্রদান করবে।
সাজেক ভ্যালিতে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হচ্ছে সবুজ ঘেরা উঁচু উঁচু পাহাড় ,
মেঘে ঢাকা আকাশ যা দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন
হচ্ছে সাজেক যার আয়তন হল ৭০২ বর্গমাইল। সাজেক এর উওরে হচ্ছে ভারতের
ত্রিপুরা রাজ্য।এবং সাজেক ভ্যালির পুর্বে হচ্ছে ভারতের মিজোরাম।সাজেক
ভ্যালির দক্ষিনে রাঙামাটির লংগদু।
সাজেক যাওয়ার সময় আপনাকে দীঘিনালা আর্মি ক্যাম্প পার হয়ে ১০ নং বাঘাইহাট
পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর সাজেক প্রবেশ করতে হবে।টাইগার
টিলা আর্মি পোস্ট ও মাসালং বাজার এর পরে আপনাদের সামনে পড়বে সাজেকের প্রথম
গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা প্রায় ১৭২০ ফুট।রুইলুই পারাতে এমন কিছু জনগোষ্ঠী
বসবাস করেন যাদের নাম হল লুসাই।
এছাড়া সাজেক ভ্যালিতে পাংকুয়া ও ত্রিপুরারা জনগোষ্ঠীরাও বসবাস করেন। সাজেক
এর বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সবচেয়ে সবচেয়ে দায়িত্বশীল বিজিবি ক্যাম্প। তাছাড়া
সাজেক এর বিজিবি ক্যাম্পে হেলিপ্যাড রয়েছে যা আর বাংলাদেশের তেমন কোথাও
নেই। এছাড়াও সাজেক থেকে ২ -৩ ঘন্টার রাস্তা পাড়ি দিয়ে দেখে আসতে পারেন একটা
সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা যার নাম কমলক।
এজন্য সাজেক ভ্যালি কম খরচে ভ্রমন করুন এবং উপভোগ করুন বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য।
এছাড়াও কমলক এর আশেপাশে আরো কিছু মোহমুগ্ধকর ঝর্ণা রয়েছে যার নাম পিদাম তৈষা
এবং আরেকটি ঝর্ণা হল সিকাম তৈষা ঝর্ণা। এগুলো ঝর্ণা কমলক এর খুবই
কাছেই অবস্থিত তাই আপনি যদি কমলক ঝর্ণা দেখতে যান তাহলে এই
দুইটি ঝর্ণা দেখতে পারেন।
সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে কি কি দেখবেন
সাজেক বালি এমন একটি জায়গা যেখানে গিয়ে আপনি সাদা তুলোর মত মেঘ দেখতে
পারবেন চারপাশে মনোরম সবুজ পাহাড়ে ঘেরা উচু উঁচু পাহাড় যেগুলোর সৌন্দর্য
আপনাকে মুগ্ধ করবেই।সাজেক ভ্যালি এমন একটি জায়গা যেখানে গিয়ে আপনি একই দিনে
প্রকৃতির নানা রকম রূপ দেখতে পারবেন। কখনো কখনো খুব গরম অনুভূত হবে
আবার হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে আবার হতে পারে কখনো চোখের পলকেই দেখবেন
মেঘের ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে আপনার চারপাশ। এক পাহাড় থেকে আরেক
পাহাড়ে মেঘের উরাউরির খেলা দেখতে সাজেক ভ্যালি একদম আদর্শ জায়গা। সাজেক
ভ্রমনে আসা ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে কংলাক
পাহাড়।
সাজেক ভ্যালির একদম শেষ গ্রাম কংলাক পাড়া। এই এলাকা থেকে আপনি
ভারতের সুন্দর লুশাই পাহাড় দেখতে পারবেন। দিন হোক কিংবা রাত সাজেকের
সৌন্দর্য সবসময় আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাজেকে গেলে আপনি অবশ্যই ভোরের
সূর্যোদয় দেখা মিস করবেন না। সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে আপনি মেঘের
আর সূর্যোদয়ের আলোর খেলা দেখতে পারবেন সকালবেলা সূর্যোদয়ের সময়।
ভোরের সূর্যোদয় উপভোগ করার জন্য আপনাকে খুব ভোরে উঠে চলে যেতে হবে
হ্যালিপ্যাডে। সকাল সকাল উঠে হ্যালিপ্যাডে যাওয়ার কারণ হলো এখান
থেকে সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয় আপনি উপভোগ করতে পারবেন। আর সন্ধ্যার দিকে
আপনি যেকোনো উঁচু পাহাড় বা উঁচু জায়গা থেকে সূর্যাস্তের রঙিন রূপ
আপনাকে বিমোহিত করবেই।
আর রাতের দিকে আকাশের দিকে তাকালেই লক্ষ লক্ষ তারা আপনার মন ভালো করে দিবে
নিমেষের মধ্যে।রাতের দিকে যদি আকাশ পরিস্কার থাকে তাহলে আপনি দেখতে পাবেন
মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথের। সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান হচ্ছে কংলাক পাহাড়।
কংলাক পাহাড় এর উপরে উঠে আপনি পুরো সাজেকের সৌন্দর্য এক নজরে দেখে নিতে
পারবেন।
এই কংলাক পাহাড়ের উপরে উঠে সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে
আপনাকে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট এর মত ট্রেকিং করতে হবে। এই পাহাড় ভ্রমণের আদর্শ
সময় হচ্ছে বিকাল বেলা। কিংবা আপনি যদি এ পাহাড়ের উপরে উঠে
সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে আপনি তা করতে পারবেন। কেনোনা
এই কংলাক পাহাড়ের উপর থেকে খুব ভালোভাবে সূর্যোদয় দেখা যায়।
সূর্যাস্তের পর সাজেক এক অন্যরকম রূপ ধারণ করে সন্ধ্যার পর পরপরই আকাশ
ভরা নক্ষত্র দেখা যায় সেখানে। ভোরবেলা হচ্ছে সাজেক
ভ্যালিতে মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করার উপযুক্ত সময়। আপনি যদি খুব
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে না পারেন তাহলে আপনি সাজেকের অনেক সৌন্দর্য মিস করে
ফেলবেন।
আরো পড়ুন ঃ
সাজেক ভ্যালিতে ভোর পাঁচটা থেকে ভোর সাতটা পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ও
ফ্রেশ মেঘ দেখতে পারবেন ।অনেকে শুধু মেঘের গায়ে সূর্যোদয় দেখার জন্যই
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করে থাকেন। সাজেক ভ্যালি থেকে ফেরার পথে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখতে
পারবেন আপনার হাতে সময় থাকলে সে জায়গাগুলো দেখে আসতে পারেন।
সাজেক ভ্যালির সুন্দর অন্যতম কিছু জায়গা হল দীঘিনালা বনবিহার, ঝুলন্ত
ব্রিজ ,হাজাছড়া ঝর্ণা ।এছাড়া ও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর
জায়গা রয়েছে এই সাজেক ভ্যালিতে। সাজেকের আদিবাসীরা অনেক সহজ
সরল হয়ে থাকে আপনার হাতে সময় থাকলে আপনার আশেপাশের এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে
পারেন।
সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়
সাজেক ভ্যালি এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি ব্ছরের যেকোনো সময় যেকোনো দিন আপনি
সাজেক ভ্রমন করতে পারবেন । এইখানে প্রকৃতি একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে । তাই
আপনি যখনই সাজেক ভ্রমন করেন না কেন সাজেকের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই
। তবে সাজেক ভ্রমনের একদম উপযুক্ত সময় হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ হতে নভেম্বর
মাস পর্যন্ত।
সাজেক ভ্যালি এমন একটা অপরূপ সুন্দর জায়গা যে আপনি বর্ষার সময় সাজেক ভ্রমনে
গেলে আপনি বড় বড় সবুজে ঘেরা পাহাড়ের গায়ে মেঘের খেলা দেখতে পারবেন । আপনি যদি
এই জুলাই থেকে নভেম্বর এর মধ্যে সাজেক ভ্যালি ভ্রমন করেন তাহলে আপনি আকাশে
নানারকম মেঘের খেলা দেখতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি শীতকালে সাজেক ভ্রমন করেন তাহলে আপনি পাহাড়ের উপর দিয়ে নানারকম
মেঘের খেলা দেখতে পারবেন । সাজেক যে কতোটা সুন্দর একটা এলাকা তা আপনি
সাজেক ভ্রমন না করলে কখনোই বুঝতে বা উপলব্ধি করতে পারবেন না । তবে আপনি যদি
জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে সাজেক ভ্যালি ভ্রমন করেন সাজেকের মোহমুগ্ধকর
দৃশ্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
সাজেক ভ্যালিতে কীভাবে যাবেন
সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। কিন্ত সাজেক যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো ও সহজ পথ
হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার বুড়িমারি উপজেলা দিয়ে। তাই আপনি বাংলাদেশের
যে প্রান্তেই থাকেন না কেন সাজেক যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে খাগড়াছড়ি
জেলায় আসতে হবে। আপনি যদি ঢাকা থেকে সাজেক যেতে চান---
তাহলে আপনি খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য অনেক ভালো ভালো এসি এবং নন এসি বাস পাবেন।
যেগুলোতে আপনি খুব সহজেই খাগড়াছড়ি পর্যন্ত আসতে পারবেন। খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য
আপনি হানিফ এন্টারপ্রাইজ, দেশ ট্রাভেলস, শ্যামলি, ঈগল, শান্তি পরিবহণ
ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস ইত্যাদি গাড়ি পাবেন খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য।
এসব নন এসি বাসে করে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িম পর্যন্ত যেতে ভাড়া লাগবে ৭০০-৮৫০
টাকা। আর আপনি যদি এসি বাসে করে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে চান তাহলে আপনি অনেক
ভালো ভালো বাস পাবেন যেমন- ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস, রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট, হানিফ
এন্টারপ্রাইজ, দেশ ট্রাভেলস, শ্যমলি ইকনো সার্ভিস ইত্যাদির মতো ভালো বাস পাবেন।
এসি বাসে করে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আপনাকে ভাড়া দিতে হবে ১০০০-১৬৫০
টাকায়। আর আপনি যদি খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে চান তাহলে আপনাকে রাত ১০ টার
আগেই কাউন্টারে আসতে হবে কারণ এইসব বাসগুলো খাগড়াছড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য রাত ১০
টার দিকে রওনা হয়।এছাড়াও একটা গাড়ি আছে শান্তি পরিবহণ যাসরাসরি খাগড়াছড়ি জেলার
দীঘিনালা পর্যন্ত যায় ।
এবং এই শান্তি পরিবহণ করে দীঘিনালা পর্যন্ত যেতে ভাড়া দিতে হবে ৭০০ টাকার
আশেপাশে। খাগড়াছড়ি যাওয়ার শেষ বাস রওনা দেয় রাত ১১ টার সময়। আপনি যদি ঢাকা থেকে
খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বাস এ যেতে চান তাকলে খাগড়াছড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য
গাবতলি,কলাবাগান,ফকিরাপুল,ও আরামবাগ থেকে এসব বাস রওনা দেয়।
তবে আপনি যদি কোন সরকারি ছুটির দিন বা বৃহস্পতি বা শুক্রবারে সাজেক যেতে চান
তাহলে আমি পরামর্শ দিব আপণি এক দুইদিন আগে থেকেই টিকেট কেটে রাখবেন। তা না হলে
আপনাকে নানারকম জটিলতার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
খাগড়াছড়ি থেকে জিপে সাজেক ভ্যালি
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি প্রায় ৭০ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার
জন্য আপনি কোনো লোকাল বা শেয়ার্ড জীপ পাবেন না। এজন্য আপনাদের জিপ
রিজার্ভ করতে হবে । এক্ষেত্রে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার জন্য আপনি মাহেন্দ্র বা
চান্দের গাড়িতে করে সাজেক পর্যন্ত যেতে পারবেন।
আপনারা যদি একটি জিপ ভাড়া করেন তাহলে আপনারা একটি জিপে ১২ জন যেতে পারবেন
কিন্তু আপনাকে সাজেক যাওয়া আসা ঘুরাঘুরির জন্য জিপ ভাড়া দিতে হবে ১০ থেকে ১২
হাজার টাকা আপনারা যদি তিন চারজন বন্ধুরা মিলে সাজেক ঘুরতে যান তাহলে আপনারা
অন্য মানুষদের সাথে জিপ শেয়ার করতে পারেন।
আরো পড়ুন ঃ
আর যদি আপনারা জিপ শেয়ার করার জন্য মানুষ না পান তাহলে আপনারা জিপ মালিক সমিতির
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন তারা আপনাকে অন্য কোনো গ্রুপে জয়েন করিয়ে দিবেন।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার জন্য অন্যতম একটা বেশী খরচ হচ্ছে এই জিপ খরচ। এছাড়াও
আপনি খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সি এন জি রিজার্ভ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে আগেই ভাড়া ঠিক করে নিতে হবে। আপনি কোথায় কোথায় ঘুরবেন
কোন কোন স্পট ঘুরবেন তা তাদের খুলে বলবেন তারপর ভাড়া ঠিক করে নিবেন। এক্ষেত্রে
আপনার সাজেক ভ্যালি পর্যন্ত আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। এছাড়াও
আপনারা যদি সংখ্যায় কম হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে নিতে
পারেন।
এতে আপনাদের যাওয়ার সময় অনেক কম লাগবে।এছাড়াও আপনারা চাইলে চট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে সরাসরি দীঘিনালার বাসে ও
উঠতে পারেন। আপনারা দীঘিনালা থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য দীঘিনালা থেকে সাজেক এর
জিপ পাবেন। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টার
মতো।
দীঘিনালার পরে একটা আর্মি ক্যাম্প পার হতে হয় সাজেক যাওয়ার জন্য।
আপনি যদি সকাল ৯-৩০ মিনিট বা দুপুর ২-৩০ মিনিটে আর্মি ক্যাম্পে উপস্থিত হতে
না পারেন তাহলে আপনাকে তার পরের দিন সাজেক যাওয়ার জন্য রওনা হতে হবে। কেনোনা
আর্মি স্কট বাদে কোনো গাড়িকে সাজেক যাওয়ার জন্য কোনরকম পারমিশন দেওয়া হয় না।
আবার আপনি যদি দীঘিনালা থেকে একাই কোনো গাড়ি বা সি এন জি রিজার্ভ করেন তাহলে
আপনাকে অনেক টাকা ভাড়া দিতে হবে।
সাজেক এর রাস্তার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। রাস্তার প্রতিটি বাঁকে আপনি
নতুন নতুন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সাজেক যাওয়ার পথে জিপ জার্নি আপনার
জিবনের স্মরণীয় একটা জার্নি হয়ে উঠবে। আপনার সাজেক যাওয়ার পথ কোনদিক দিয়ে শেষ
হয়ে যাবে তা আপনি বুঝতেই পারবেন না।
সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে কোথায় থাকবেন
সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে আপনি থাকার জন্য অসংখ্য রিসোর্ট ও হোটেল
পাবেন। এগুলোতে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী থাকতে
পারবেন। সাজেকের রিসোর্টও হোটেলের একটা রুম নিতে ১৫০০ টাকা থাকে ১৫ হাজার
টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি সিজেন টাইম বা শুক্র
শনিবারে রুম নিতে চান
তাহলে আপনাকে সপ্তাহখানেক আগেই রুম বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে আপনি
ভাল রুম নাও পেতে পারেন । কারণ ছুটির দিনগুলোতে এসব হোটেল বা রিসোর্ট খালি
থাকে না বললেই চলে।সপ্তাহখানেক আগে আপনি যদি না রাখেন তাহলে ভালো
রুম পাবার সম্ভাবনা খুব কম। আর আপনি যদি আপনার বাজেট অনুযায়ী অনেক
কম বাজেটে রাত্রিযাপন করতে চান তাহলে আপনি আদিবাসী কলেজগুলোতে থাকতে
পারেন।
এগুলোতে আপনি খুব কম টাকায় থাকতে পারবেন।এছাড়া বর্তমানে আরো নতুন নতুন
রিসোর্ট বা কটেজ তৈরি হয়েছে। আপনি সাজেক ভ্যালির যে হোটেলে রিসোর্ট
এ উঠেন না কেন আপনি প্রায় সব হোটেল থেকেই সাজেকের সবুজ সুন্দর ভিউ
উপভোগ করতে পারবেন। রিসোর্ট বাছায়ের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই রিসোর্টের কোয়ালিটি
কে প্রাধান্য দিবেন।
কেননা রিসোর্ট এর কোয়ালিটি খারাপ হলে আপনি থেকে তেমন কোন মজা পাবেন
না। আবার রিসোর্ট এর অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কিছু রিসোর্ট আছে
যেগুলো সাজেকের বাইরে আবার কিছু কিছু আছে মূল পয়েন্টের খুবই কাছে অবস্থিত। তাই
আপনি হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে মূল পয়েন্টের কাছে রুম নেওয়ার চেষ্টা
করবেন।তাই রিসোর্ট বা হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে লোকেশন কে প্রাধান্য দিন খরচ
একটু বেশি হলে সমস্যা নাই।
সাজেকের কিছু রিসোর্ট এর তথ্য
কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ এ আপনাদের থাকার জন্য কিছু হোটেল এবং রিসোর্ট
সাজেস্ট করা হলো আপনারা এইসব রিসোর্ট এবং কটেজ এ অনেক কম খরচে থাকতে
পারবেন।
রিসোর্ট রুংরাং
সাজেকের সবচেয়ে ভালো রিসোর্ট গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রিসোর্ট রুংরাং। এই
রিসোর্ট এর বারান্দা থেকে আপনি অসংখ্য সুন্দর ভিউ দেখতে পাবেন। এই রিসোর্ট এর
বারান্দা থেকে আপনি নানারকম মেঘ ও সবুজে ঘেরা পাহাড়ের সাড়ি দেখতে পারবেন। এই
রিসোর্ট এর ওয়াশরুম অনেক সুন্দর হয়ে থাকে সাজেকের মধ্যে অন্যতম।
এই রিসোর্ট রিসোর্ট রুংরাং এ সর্বমোট ৮ টি রুম রয়েছে। আপনি যদি এই রিসোর্টে
শুক্রবারের জন্য ভাড়া নেন তাহলে আপনাকে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো রুম ভাড়া
দেওয়া লাগতে পারে । আর শুক্রবার বাদে দিয়ে যদি কোন রুম বুকিং দিতে চান তাহলে
১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মত লাগবে।রুংরাংয়ের বুকিং নাম্বার ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭,
01632698158, এবং এই রিসোর্টটির ফেসবুক পেইজ হচ্ছে resort rung rang ।
রুন্ময় রিসোর্ট
রুন্ময় রিসোর্টে মোট ৫ টি রুম রয়েছে। প্রতি রুমে সর্বোচ্চ দুইজন থাকতে পারবেন
তবে এক্সট্রা ৪০০ টাকা দিলে অতিরিক্ত একটি বেড নিতে পারবেন। এই রিসোর্ট এর নিচ
তলার ভাড়া ৪৫০০ টাকা এবং উপরের রুমের ভাড়া পাঁচ হাজার টাকার মত। রুন্ময়
রিসোর্ট বুকিংয়ের জন্য ফোন করতে পারেন 0186547688 নাম্বারে।
সাজেক রিসোর্ট
এই সাজেক রিসোর্ট টি একজন আর্মি পরিচালনা করেন। এইখানে এসি আর নন-এসি দুই ধরনের
রুম পেয়ে যাবেন আপনারা ।সাজেক রিসোর্ট এ থাকার জন্য আপনার ১০-১২ হাজার
টাকার মতো লাগবে। সাজেক রিসোর্টের একটা সুবিধা হল এই রিসোর্ট এর রয়েছে নিজস্ব
রেস্টুরেন্ট। সেনাবাহিনী বা প্রথম সারির সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এখানে
ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে।
রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01859-025694, 01847-070395 অথবা
01769-302370 নাম্বারে।
মেঘ মাচাং
সাজেকের অন্যতম একটা রিসোর্ট হচ্ছে এই মেঘ মাচাং রিসোর্ট। আপনি যদি সাজেকের
সবচেয়ে সুন্দর প্রকিতির ভিউ নিতে চান তাহলে আপনারা মেঘ নাচাং রিসোর্ট এ উঠতে
হবে। এই রিসোর্ট এ মোট পাঁচটি রুম রয়েছে। এবং এই মেঘ মাচাং রিসোর্ট রুম ভাড়া
২৫০০ টাকা থাকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আপনি যদি মেঘ মাচাং রিসোর্ট এ রুম
বুকিং দিতে চান তাহলে ০১৮২২১৬৮৮৭৭ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট
সাজেকের অন্যতম সুন্দর একটা রিসোর্ট হচ্ছে এই মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট । আপনারা চাইওলে
এই রিসোর্ট এ রুম নীিতেপারেন । এই রিসোর্ট এ রুম নিতে হলে আপনাকে আগে থেকেই রুম
বুকিং দিতে হবে কারন এই মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট এ রুমের সংখ্যা মাত্র ৪ টি। এই
মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট এ রুম ভাড়া পড়বে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।
জুমঘর রিসোর্ট
এই রিসোর্ট টি সাজেকের ভালো রিসোর্ট গুলোর মধ্যে একটা। এই জুমঘর রিসোর্ট এর রুম
ভাড়া পড়বে২-৩ হাজার টাকা। এই জুমঘর রিসোর্ট এ রুম বুকিং করতে যোগাযোগ করুন
০১৮৮৪১০৮০৬০ এই নাম্বারে।
কম বাজেটের কিছু রিসোর্ট
আপনি যদি কম বাজেটের মধ্যে সাজেক ভ্রমণ সম্পন্ন করতে যান তাহলে আপনার
বাজেট খরচা কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কম বাজেটের রিসোর্ট এ
থাকা। কম বাজেটে রিসোর্ট এ থাকলে আপনার ভ্রমন খরচ অনেক কমে
যাবে। যারা যারা কম বাজেটের মধ্যে ফ্রেন্ডলি ভ্রমন সম্পন্ন করতে চান তারা
এই রিসোর্ট গুলো দেখতে পারেন।
আলো রিসোর্ট
কম বাজেটে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো রিসোর্ট হচ্ছে এই আলো রিসোর্ট। কিন্তু
এই রিসোর্টগুলোর একটা সমস্যা হচ্ছে আপনি এই রিসোর্ট গুলো থেকে তেমন
কোনো ভিউ দেখতে পারবেন না । এই আলো রিসোর্ট এ রুমের সংখ্যা ৬ টি। এই রিসোর্ট এ
রুম ভাড়া পরবে প্রতিরাতের জন্য ৮০০-১৫০০ টাকা। এই রিসোর্ট এ রুম নিতে চাইলে
০১৮৪১০০০৬৪৫ এই নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।
হাফং তংঃ
এটাও সাজেকের কম বাজেটের একটা রিসোর্ট। এই হাফং তং রিসোর্ট এ রুমের্
সংখ্যা ৬ টি এবং এই হাফং তং রিসোর্ট এ রুম ভাড়া পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা। রুম
বুকিং দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭ নাম্বারে।
পাহাড়িকা রিসোর্ট
এই রিসোর্ট কম বাজেটের ভালো একটা রিসোর্ট। এই পাহাড়িকা রিসোর্ট এর রুম প্রায় ১২
টি এবং রুম ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। বুকিং করতে যোগাযোগ ০১৮৭১৭৭১৭৭৭ এই
নাম্বারে।
আদিবাসী ঘর
আপনি চাইলে এখানকার আদিবাসীদের করে থাকতে পারেন। আদিবাসীদের ঘরে থাকতে হলে
আপনাকে টাকা গুনতে হবে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় জনপ্রতি। তবে আপনি যদি ফ্যামিলি নিয়ে
থাকতে চান আদিবাসীদের ঘরে তবে তা না করাই ভালো হবে। তবে বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই
আদিবাসীদের ঘরে থাকা যায়।
সাজেক যেতে কত টাকা লাগে
আপনারা অনেকেই কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চান। সাজেক
ভ্যালিতে ভ্রমণের খরচ কেমন হবে সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার
উপরে।তবে ভ্রমনের সময় সাজেক গাড়িতে খরচ কিছুটা বেশি হয়। আপনি যদি
গ্রুপ করে নিজেরা মিলে যেতে পারেন তাহলে খরচ অনেক কমে
যাবে।তারপরেও সাজেক ভ্রমন সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়া যাক--
আপনাদের জিপ ভাড়া পড়বে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো। আপনি কোথায় কোথায়
ঘুরবেন কোন কোন স্পট ঘুরে দেখবেন তার উপর নির্ভর করবে জিপ
ভাড়া।আপনারা এক জিপে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ জন বসতে
পারবেন। এছাড়াও প্রত্যেক বেলায় আপনার খাবার জন্য খরচ
হবে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্পটে এন্ট্রি ফি বা বিভিন্ন কার পার্কিং
ফি ইত্যাদি চার্জ বাবদ জনপ্রতি খরচ হবে ১৫০ টাকার মতো। আর কটেজ
ভাড়া পড়বে মাথা কিছু ৫০০ টাকার মতো। আপনি যদি বর্ষা
মৌসুমে সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমন করতে যান তাহলে আপনার খরচ অনেক কমে
যাবে। এবং বর্ষা মৌসুমে ভ্রমণ করলে আপনি নানারকম মেঘের সৌন্দর্য
উপভোগ করতে পারবেন।
রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক ভ্রমণ
রাঙ্গামাটি থেকে আপনি উভয় পথেই বাগাইছড়ি পর্যন্ত যেতে পারবেন।
রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৭-৩০ মিনিট ও ১০-৩০
মিনিটে । আর এসব লঞ্চে করে যেতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার
মত।এবং জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা।এছাড়াও রাঙ্গামাটি বাস
টার্মিনাল থেকে সকাল ৮ টা ৯ টায় সাজেকের উদ্দেশ্যে বাস রওনা দেয়।
জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ২০০ টাকার মত। বাঘাইছড়ি পর্যন্ত
যেতে সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার মত।এছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে
আপনি সরাসরি বাঘাইছাড়ি পর্যন্ত যেতে পারবেন। বাঘাইছড়ি থেকে আপনি
জিএফ অথর মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে নিয়ে সাজেক গাড়ি পর্যন্ত যেতে
পারবেন। এতে আপনাদের ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ৩০০ টাকা।
ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
আপনারা অনেকেই ঢাকা থেকে সাজেক কতো কিলোমিটার তা জানতে চান। ঢাকা থেকে
সাজেক প্রায় ৩৬২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা ঢাকা থেকে খুব সহজেই সাজেক
যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে অনেক বাস প্রতেকদিন সাজেক এর উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
আপনারা এসব বাসে করে খুব সহজেই সাজেক পর্যন্ত যেতে পারবেন।
প্রতেকদিন ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য শ্যামলী, এনা,
দেশ ট্রাভেলস বাস সাজেক এর উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ঢাকা থেকে সাজেক
যাওয়ার জন্য বাস ভাড়া নন- এসি বাসে ৭০০ টাকা এবং এসি বাসে ১১০০-১২০০ টাকা
লাগবে। বিভিন্ন সময় এ ভাড়া পড়িবর্তন হতে পারে।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যেতে চান তাহলে
আপনাকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সাজেক যেতে হবে। আপনি যদি
বাসায় যেতে চান তাহলে চট্টগ্রাম কদমতলী থেকে বাসে উঠতে পারেন ।চট্টগ্রাম
থেকে বিআরটিসির মোট চারটি বাস সাজেকের উদ্দেশ্যে চলাচল করে।এইসব বাসে যাওয়ার
জন্য আপনার ভাড়া লাগবে ২০০ টাকা।
এছাড়াও আপনি যদি অক্সিজেন মোড় থেকে বাসে উঠতে চান তাহলে আপনাকে শান্তি
পরিবহনের বাসে উঠতে হবে। এইখান থেকে প্রতি ১ ঘণ্টা পর পর বাস রওনা হয় ।
শান্তি পরিবহণে আপণি ভ্রমন করলে ভাড়া দিতে হবে ২০০ টাকার আশেপাশে।আর বাসে করে
আপনার খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা।
চট্রগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার এই বিষয় অনেকেই জানতে চান। চট্টগ্রাম
থেকে সাজেক প্রায় ১৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা চট্টগ্রাম থেকে
সাজেক যাওয়ার জন্য দীঘিনালা থেকে খুব সহজেই সাজেক যাওয়ার জন্য বাস
পেয়ে যাবেন। চট্টগ্রাম থেকে সাজেক পর্যন্ত যেতে আপনার ঘরটা হতে পারে ২০০
থেকে ২৫০ টাকা।
সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত
সাজেক পাহাড়ে ঘেরা এক সুন্দর মনোমুগ্ধকর জায়গা।যারা যারা মেঘ এবং
পাহাড় দেখতে অনেক পছন্দ করেন তাদের ভ্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে
সাজেক ভ্যালি।সাজেক এ রয়েছে অনেক বড় বড় সব
পাহাড়। সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম হচ্ছে কংলাক
পাহাড় যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
কম খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস
- সাজেক ভ্যালিতে সিমের নেটওয়ার্ক একটু ঝামেলা করে। কিন্তু রবি ,এয়ারটেল, সিমে নেটওয়ার্ক ভালো পায় । তাই এই রবি এয়ারটেল সিম সাথে রাখুন।
- সাজেক ভ্যালি সব জায়গায় বিদ্যুত নেই। এজন্য সাথে করে আপনি পাওয়ার বাঙ্ক নিয়ে যেতে পারেন।
- সাজেক যাওয়ার সময় আপনি নানারমক আঁকাবাকা উঁচু নিচু পথ দেখতে পারবে কিন্তু এই পথগুলো অনেক বিপদজনক। তাই জিপের ছাদে ভ্রমন করবেন না ।
- কোনো আদিবাসীদের ছবি তুলতে হলে প্রথমে তাদের থেকে অনুমতি নিতে হবে । তা না হলে ঝামেলায় পড়তে পারেন।
- আপনি যদি সিজনে বা শুক্র বা শনিবার সাজেক ভ্রমন করতে চান তাহলে আগে থেকেই রুম বুকিং দিবেন । তা না হলে রুম পাবেন না।
- আদিবাসী মানুষদের সাথে ভালো আচরন করুন।
- যাওয়ার পথে অনেক জায়গায় আপনার কিছু তথ্য জমা দেওয়া লাগতে পারে তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিতে ভুলবেন না।
- আপনারা যদি দুই তিন দিনের জন্য সাজেক যান তাহলে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঠিক করুন। ফিরে আসার সময় অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করুন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url