রূপচর্চার জন্য ভিটামিন ই: ৭টি সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম আমরা অনেকেই জানি না। রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের জন্য ছোট ছোট সবুজ বা কমলা কালারের ক্যাপসুল প্রায় সব রকমের ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। চুলের সমস্যা বা ত্বকের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক কার্যকরী।
এজন্য আপনি যদি রূপচর্চার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাহলে আপনারা পাবেন মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক, আর মাথা ভর্তি চুল। কিন্তু আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি নানারকম জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম।
পেইজ সূচিপত্র ঃরূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
- রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
- রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল কীভাবে ব্যবহার করবেন
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম কত
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা এবং অপকারিতা
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি উপকার হয়
- উপসংহারঃ রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম অনেকেই সঠিকভাবে জানেন
না। এজন্য আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কিভাবে ব্যবহার করবেন সে উপায়।ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনারা মুখে ব্যবহার
করার মাধ্যমে আপনার সৌন্দর্যকে আরো অনেক বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আপনার মুখ যদি তৈলাক্ত না হয় তাহলে আপনারা তেলের সাথে ভিটামিন ই
ক্যাপসুলের নির্যাস বের করে মিশ্রণ করার মাধ্যমে আপনার
মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা হলুদের সাথে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল এর নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে উপকার পেতে
পারেন। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল আরো অনেকভাবে মুখে ব্যবহার
করা যায়।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ই-ক্যাপ (E-Cap) হলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি সাপ্লিমেন্ট, যা সাধারণত ত্বক, চুল, এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। তবে, সঠিক মাত্রায় সেবন করা জরুরি, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ই-ক্যাপের উপকারিতা:
১. ত্বকের যত্ন: ভিটামিন ই ত্বককে সুস্থ ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা ও বয়সজনিত দাগ কমাতে সহায়ক।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক: ভিটামিন ই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪. চুলের জন্য উপকারী: চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চুল পড়া রোধে ভিটামিন ই সাহায্য করতে পারে। এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
৫. প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
আঁচিল ও দাগ কমাতে: ত্বকের দাগ, পোড়া বা ক্ষত স্থানে ভিটামিন ই ব্যবহার করলে তা দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে।
ই-ক্যাপের অপকারিতা (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া):
১. অতিরিক্ত সেবনে রক্ত পাতলা হওয়ার ঝুঁকি: অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবনে রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা হ্রাস পায়, যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২. হৃদরোগের ঝুঁকি: দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ই সেবনে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে, যারা আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি সমস্যাজনক হতে পারে।
৩. মাথাব্যথা ও দুর্বলতা: অনেক সময় অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবনে মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
৪. নাজুক হাড়: অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবন করলে শরীরের ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা হাড়কে দুর্বল করে তুলতে পারে।
৫. চুলকানি ও ত্বকের সমস্যা: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ বা ভিটামিন ই যুক্ত প্রসাধনী পণ্য ব্যবহারের ফলে চুলকানি বা ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
৬. পেটের সমস্যা: বেশি ভিটামিন ই সেবন করলে পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, এবং পেট ব্যথা হতে পারে।
সঠিক ব্যবহারের উপায়:
ই-ক্যাপ বা ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট সঠিক মাত্রায় সেবন করা উচিত। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক ১৫ মি.গ্রা. ভিটামিন ই যথেষ্ট। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা সবসময় উত্তম।
ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে বা ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনি অন্য কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে চুলের নানা সমস্যা দূর করা যায়। এজন্য
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা প্রথমে জানতে হবে। ভিটামিন
ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আপনি যদি তা না জানেন তাহলে তা আপনার
কোন কাজে আসবে না।এজন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা
প্রথমে জানতে হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় চুলের খুশকির সমস্যা
দূর হয়। চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আপনার চুলের
জেল্লা ফিরে পেতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কার্যকরী একটি উপায়। ভিটামিন ই
ক্যাপসুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ফ্রি-ব়্যাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য
করে।
চুলের যেকোনো সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন ই
ক্যাপসুল।ড্যামেজ চুলকে মসৃণ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই ভালো
কাজ করে থাকে। ২০১০ সালে কয়েকজনের উপর ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রয়োগ করে
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। তারপর যাদের চুলের সমস্যা ছিল তাদের
সেসব সমস্যা দূর হতে থাকে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে চুল অনেক দ্রুত লম্বা
হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ফলে তুই অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকমতো হয় এর ফলে চুলের
বৃদ্ধি হয় খুবই দ্রুত। এছাড়াও চুলের ফ্রিজি চুলের সমস্যা দূর করতে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণকরতে ভূমিকা পালন করে থাকে।
চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুইভাবে ব্যবহার করা যায়
প্রথম পদ্ধতি-
চুলের সমস্যা হেয়ার মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করুন।প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্র নিন।
তারপর পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিতে হবে। তারপর তাতে দুটি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নির্যাস বের করে অ্যালোভেরার সাথে ভালো করে মিশিয়ে
নিন। আপনার চুল যদি অনেক ঘন ও লম্বা হয় তাহলে আপনি তিনটি ভিটামিন ই
ক্যাপসুল এর নির্যাস নিতে পারেন।
এ দুটি উপকরণ ভালো করে মেশানোর পর তা আপনার চুলে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট
অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে গোসল করে নিবেন। এইভাবে কিছুদিন নিয়মিত
ব্যবহার করলে আপনার চুল হবে অনেক লম্বা , শক্ত,সিল্কি, আর অনেক সুন্দর ।
দ্বিতীয় পদ্ধতি-
প্রথমে নারকেল তেল নিতে হবে তারপর তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর
নির্যাস বের করে ভালো করে তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এজন্য আপনারা
কেরিয়ার তেল,আমন্ড অয়েল বা নারিকেল তেল যেকোনো কিছু ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর
এই তেল এর মিশ্রণ মাথায় লাগিয়ে 30 থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে
ভালোভাবে গোসল করে নিন।
আপনার যদি আগে থেকেই চুলের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম প্রায় সবাই জানতে চায়। আজকের এই
পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে রূপচর্চা করার জন্য ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের অনেক কাজে
লাগে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেমন আমরা ভিটামিনের অভাবে গ্রহণ করে থাকি
পাশাপাশি---
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা চুলের
যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মুখে ব্রণের সমস্যা
দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন
রূপচর্চার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। জেনে
নেওয়া যাক রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানতে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে
থাকে। এছাড়াও চুলের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা অনেক। এতো উপকারিতার মাঝেও এর কিছু
ক্ষতিকর দিক রয়েছে।তো চলুন তাহলে জেনে আসি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের
ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে ক্ষতি হয়
এবং রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম----
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি শরীরে ব্যবহারে ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা
দিতে পারে।যাদের ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ তারা যদি সরাসরি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে তাহলে দেখা দিতে পারে নানা রকম
সমস্যা। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ব্যবহার করলে এলার্জির
সমস্যা , ত্বকে দেখা দিতে পারে রাস , ফুরফুরির মতো নানারকম জটিল অসুখ
।
আর আপনি যদি আপনার ত্বকেকে ভালো রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে
থাকেন তাহলে আপনারা দই মধু কিংবা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তারপর তা মুখে ব্যবহার
করতে পারেন এটা আপনার ত্বকেকে করবে আরো বেশী উজ্জল , আরো বেশী সুন্দর
। কিংবা আপনার যদি ব্রণের সমস্যা দূর করতে ত্বকে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকেন
তাহলে আপনি পেঁপের সঙ্গে মধু লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মিশ্রণ মুখে
লাগাতে পারেন।এতে আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে আর মুখে কোন কালচে দাগ
থাকলে তার সমস্যাও দূর হবে।এজন্য আপনাকে এই মিশ্রণটি 10 থেকে 12 দিন
নিয়মিত মুখে লাগাতে হবে । এতে আপনার মুখের ব্রনের সমস্যা দূর হবে আর মুখ হবে
অনেক উজ্জল।
আরো পড়ুন ঃ শসা খেলে কি উপকার হয়
এছাড়াও আপনি যদি অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকেন
তাহলে আপনার এলার্জি জনিত যে কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য যাদের
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার
করবেন না। এছাড়াও আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যাধিক পরিমাণে ব্যবহার
করে থাকেন বা সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল কীভাবে ব্যবহার করবেন
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম আমরা অনেকে জানিনা।
রূপচর্চার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো
করে তার রস নিতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভারি আকারের হওয়ার কারণে
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। তাই চলুন জেনে আসি
কীভাবে রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহার করবেন সে নিয়ম---
ভিটামিন ই স্কিন সিরাম-
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি যদি তোকে ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি
ভিটামিন ই স্কিন সিরাম এর মতোই রেজাল্ট পাবেন। যাদের ত্বক
একটু ড্রাই এবং নরমাল তারা ভিটামিন ই এর নির্যাস ফোটা ফোটা হাতে
লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন।আর যাদের ত্বক একটু তৈলাক্ত ধরনের তারা এক
ফটোতে দুই হাতে নিয়ে হালকা একটু ঘসতে হবে ।
তারপর আর দুটো পাঁচ সেকেন্ড মুখের উপর দিয়ে রাখুন।আপনার সিরাম লাগানোর
কাজ শেষ।আপনি যদি এভাবে প্রতিদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার
আর অন্য কোন নাইট ক্রিম বা সিরাম আলাদা করে ব্যবহারের দরকার পড়বে না।আর এই
টিপস থেকে সবচেয়ে বেশি উপকারী হবেন যাদের বয়স একটু বেশি তারা।
কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এইভাবে ব্যবহারে ফলে আপনার ত্বকের ফাইন লাইন দূর
হবে।
ভিটামিন ই হেয়ার সিরাম-
আপনার যদি চুল পড়া সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি পড়া বন্ধ
করতে ভিটামিন ই হেয়ার সিরাম খুবই কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে
। আপনার চুলের যে কোন সমস্যা দূর করতে দুই তিনটি ক্যাপসুল এর নির্যাস বের
করে একটা পাত্রে নিয়ে আপনার চুলে লাগিয়ে নিন।তারপর সারারাত ঐভাবে
রেখে দিন সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে নিন।
আর যদি আপনি মনে করেন এই উপায় টি কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি নারকেল তেলের সাথে
একটা বা দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর রস মিশিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন । এইটা
আপনার চুলে লাগানোর কিছুক্ষণ পর ভালো করে শ্যাম্পু করে গোসল করে নিন । এইভাবে ৪-৫
দিন ব্যবহার করলে আপনি নিজেই বুজতে পারবেন যে আপনার চুলের কি কি উপকার হয়েছে
।
ভিটামিন ই নাইট ক্রিম-
আপনার পছন্দের যেকোনো নাইট ক্রিম নিন। তারপরেই এই ক্রিমের সাথে দুই থেকে
তিনটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নির্যাস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই
ক্রিমগুলো আপনি যতদিন ব্যবহার করবেন আপনি ততদিনী ভিটামিন ই এর গুনাবলী পেতে
থাকবেন।এছাড়াও আপনি যদি আপনার শরীরে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করতে চান তাহলে
আপনার বডি লোশনের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দুই থেকে
তিনটার নির্যাস বডি লোশনের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে
নিন। এভাবে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কনুই আর হাঁটুর যেকোনো কালো দাগ দূর করতে
আপনার শরীরে যদি দীর্ঘদিনের ইস্কিন ড্যামেজের কোন কালো দাগ থাকে তাহলে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের যেকোন কালো দাগ খুব সহজে
দূর করতে পারবেন।আপনার শরীরের যে স্থানে কালো দাগ গুলো আছে সেই স্থানে
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল লাগান। দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর দেখতে পারবেন আপনার
সেই শরীরের দীর্ঘদিনের কালো দাগটি আর নেই। এছাড়াও শরীরের যে কোন সমস্যা দূর
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
মসৃণ, গোলাপি ঠোঁট পেতে-
ভিটামিন ক্যাপসুল এর তেল হাতে পায়ে লাগিয়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকবে সেটুকু থেকে এক
ফোঁটা তেল নিয়ে আপনার ঠোটের উপর লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে আপনি খুব সহজেই
কালো ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আপনার পছন্দের
ভ্যাসলিনের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের রস মিশিয়ে সেটা রেগুলার ব্যবহার করলে
আপনার ঠোঁট হবে অনেক মসৃণ।
আপনার ঠোঁটে যদি কালো দাগ থাকে সেই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন ভিটামিন
ই ক্যাপসুল ব্যবহারের মাধ্যমে।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে
এখন প্রায় অনেকের চোখের নিচেই কালো দাগ দেখা যায়। এবং এই সমস্যা দূর করতে
অনেকেই বাদামের তেল ব্যবহার করে থাকেন। আপনি যদি বাদামের তেলের সাথে ভিটামিন
ই ক্যাপসুল এর নির্যাস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে খুব কম
সময়ে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে।
যেকোনো দাগ দূর করতে বা ব্রন দূর করতে
আপনার তোকে যদি অনেক পুরনো কাটা দাগ অথবা ব্রনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে
আপনি সেই দাগ দূর করতে এক দুই ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল লাগিয়ে রাখতে
পারেন । আস্তে আস্তে আপনার পুরনো দাগ গুলো হালকা হতে শুরু করবে। এ ধরনের দাগ দূর
করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই কার্যকরী ।
আরো পড়ুন ঃ নিম পাতার ব্যবহার, উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া ব্রনের দাগ দূর করতে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস
আপনার ব্রনের উপর লাগিয়ে রাখুন । এইভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ব্রনের
সমস্যা দূর হয়ে যাবে ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় অনেকেই জানেন না। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল
খেলে আপনি নানারকমের উপকার পাবেন। চিকিৎসকরা বলেন যে মানবশরীরের জন্য ভিটামিন ই
এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করেন তাহলে
আপনার জিবনে নানারকমের পরিবর্তন দেখতে পারেবন আপনি নিজেই।
আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে । আপনি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে
ব্লহুগুনে। আর নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করলে আপনার ত্বকের নানারকম
বলিরেখার সমস্যা দূর হবে । আপনার ত্বকের টান পড়ার সমস্যা থাকলেও ভিটামিই ই
ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও আপনার ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। আপনার চুলের যেকোনো সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে । ব্রনের সমস্যা সমাধানেও খুবই কার্যকর এই ভিটামিন ই। আপনি যদি
নিয়মিত ভিটামিন ই সেবন করেন তাহলে আপনার চুল পরার সমস্যা থাকলে তা খুবই সহজে দূর
করতে পারবেন ।
তাছাড়া ভিটামিন ই আপনার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ভিটামিন ই ব্যবহার
করলে আপনার হাড়ের সমস্যা দূর করবে । এছাড়াও আপনাদের কারো যদি বন্ধত্বের সমস্যা থেকে
থাকে তাহলে তা রোধ করতে আপনাকে সাহায্য করবে ই ক্যাপ। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত
ভিটামিন ই সেবন করেন তাহলে আপনার শরিরের কোষগুলো খুবই ধীরে ধীরে ক্ষয় হবে ।
যার ফলে আপনাকে দেখতে অন্যদের তুলনায় বেশী আকর্ষণীয় দেখা যাবে। এছাড়াও ভিটামিন
ই নিয়মিত সেবন করলে আপনার যদি কোনো কিডনির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার সমাধান ও
পাবেন ভিটামিন ই খেলে। এছাড়াও ভিটামিন ই আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।আপনার
যদি চর্মরোগ বা অ্যালঝাইমার্স রোগ দূর করতে সাহায্য করবে এই ভিটামিন ই ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম কত
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের অনেক উপকারে আসে । তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম
জেনে রাখা জুরুরি। এই ভিটামিন ই ৪০০ ক্যাপসুল এর দাম প্রতি পিস পড়বে ৭
টাকা করে । আর আপনি যদি এক পাতা নিতে চান তাহলে তার দাম পড়বে ১০৫ টাকা।
এছারাও এর দাম জায়গাভেদে কমবেশি হতে পারে
এছাড়াও আপনি যদি আরেক রকমের ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিতে চান তাহলে আপনি E
Cap 200 নিতে পারেন । এটা সবুজ কালারের হয়ে থাকে । আর আপনি যদি সবুজ কালারের
ই ক্যাপ নিতে চান তাহলে তার দাম পড়বে প্রতি পিস ৫ টাকা করে আর যদি এক পাতা
নেন তাহলে তার দাম আসবে ৭৫ টাকা ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা এবং অপকারিতা
ই ক্যাপ হল ভিটামিন ই এর একধরনের একটা ক্যাপসুল। যা আমাদের নানারকম উপকারে
আসে।এইটা মুখেও ব্যবহার করা যায় এবং ত্বকে বাহ্যিকভাবে এটা
ব্যবহার করা যায়। এই ই ক্যাপের গুণাবলী বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের শরীরে
কোর্সগুলো কে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ই।
সব ধরনের ওষুধে যেরকম উপকারিতা রয়েছে অপকারিত রয়েছে তেমন ই ক্যাপেও রয়েছে
উপকারিতা অপকারিতা তবে আপনি যদি এইটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার
করেন তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। এখন আমি আপনাদের জানাবো
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ত্বকের যত্ন : ভিটামিন ই ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা যেকোনো কালো দাগ , ব্রনের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই খুবই ভালো কাজ করে। এছাড়াও ভিটামিন ই ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করেন এবং আপনার ত্বককে নরম করে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে
চুলের যত্ন:
ভিটামিন ই চুলের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে। আপনার চুলের গোড়া শক্ত করবেএবং
আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকে তা দূর করবে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
এছাড়াও ভিটামিন ই আপনার চূলকে ঘন করবে এবং চূলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: ভিটামিন ই আপনার ক্যানসার দূর করতে সাহায্য করবে । যেগুলো ক্ষতিকর পদার্থ আপনার শরিরের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে এই কোষগুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন ই। এজন্য ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিন ভিটামিন ই সেবন করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন ই আপানাদের
শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও ভিটামিন ই যেকোনো সংক্রামক হতে
আপনাদের রক্ষা করবে । এছাড়াও ভিটামিন ই ঠান্ডা , জ্বর আর কাশির মতো আসুখ থেকেও
রক্ষা করবে আপনাদের।
হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা: আপনার যদি
হৃৎপিণ্ডের কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ভিটামিন ই বেশী বেশী সেবন করবেন ।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
ভিটামিন ই আপনাদের হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করে । এছাড়াও ভিটামিন ই সেবনের
ফলে এটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং আপনার হৃৎরোগের ঝুঁকি
কমাবে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী: ভিটামিন ই
ব্যবহারের কারণে এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায় এবং গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য
ভালো রাখবে । ভিটামিন ই ব্যবহারে গর্ভবতী মায়েদের যেকোনো ঝুঁকি থেকে রক্ষা
করবে।
বয়সের ছাপ দূর করতে: বয়স বাড়ার সাথে সাথে
মানুষের শরীরে নানা ধরনের বয়সের ছাপ দেখা দেয়। যেমন ত্বক কুঁচ্কে যাওয়া
বলিরেখা দেখা দেওয়া, এক্ষেত্রে ই ক্যাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আপনি যদি নিয়মিত আপনার কুঁচকে যাওয়া জায়গায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন
তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং বলিরেখা দূর হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা
পেট খারাপ: ই ক্যাপ আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার পেট খারাপ, বমি বমি ভাব কিংবা ডায়ারিয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
মাথাব্যথা: অতিরিক্ত ই ক্যাপ সেবনের ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার
কারণ হতে পারে।
রক্ত পাতলা হওয়া: ই ক্যাপ এমন এক ধরনের ওষধ যা রক্ত পাতলা
হওয়ার ওষধ এর সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। তাই যারা এই রক্ত পাতলা
করার জন্য মেডিসিন নিয়ে থাকেন তারা এই ভিটামিন ই সেব্নের আগে ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই ক্যাপ
আপনার শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল সেবনের ফলে আপনার শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও
চুলকানি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ঝুঁকিঃ ই ক্যাপ সব
ক্ষেত্রে উপকারী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অপকারও করে ফেলতে পারে এজন্য
কোন গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ই ক্যাপ সেবনের আগে ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া জরুরি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি উপকার হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি উপকার হয় আপনারা অনেকেই জানতে চান। ভিটামিন ই
ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে যা যা উপকার হয় তা হলো---
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল হাড়ের সমস্যা দূর করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বক সুন্দর করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দাগ দূর করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল গজাতে সাহায্য করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল রোঁদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল বার্ধক্যের প্রভাব কমায়
উপসংহারঃ রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এটি আমাদের
জীবনে যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । এটি ব্যবহারে পাওয়া
যায় না ওরকম সুযোগ-সুবিধা ও উপকার। কিরে আর্টিকেল টির মাধ্যমে আমি
আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে নানা রকম
অসুখ বিসুখ দূর করা যায়।
এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল রূপচর্চায় সাহায্য করে, চুলের সমস্যা সমাধান করে
,হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ,এলার্জি সমস্যা দূর করে, চুল পড়া রোধে সাহায্য করে
,ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যেকোনো ব্রণের দাগ দূর করতে পারে এ ভিটামিন ই
ক্যাপসুল।
এজন্য আপনাদের যে কোন সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে
পারেন । কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এটা ব্যবহারের উপযোগী না। যারা
রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন তারা অবশ্যই ভিটামিন ই
ক্যাপসুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এছাড়াও যাদের এলার্জি
সমস্যার চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
এছাড়াও যাদের ঠোঁট কালো হয়ে থাকে তারা ঠোট গোলাপি করার
জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া যাদের
দাড়ি বের হচ্ছে না তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নারিকেল
তেলের সাথে মিক্স করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভিটামিন
ই ক্যাপসুল কিছুদিন ব্যবহার করার পর দারি দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url