ছোলা: ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যা আপনার সুস্থতা বাড়াবে
ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ছোলাতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আপনি নিয়মিত খেলে আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
আপনারা সবাই প্রায় নিয়মিত ছোলা খেয়ে থাকেন। কিন্তু ছোলা কীভাবে খেলে পুষ্টিউপাদান আরো বেশী পাবেন, এবং ছোলা নিয়মিত খাওয়ার পর আপনার কি কি উপকার হবে এবং কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের এই পোস্টটিতে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্র ঃ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
- ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
- ছোলার পুষ্টি উপাদান
- হাড় মজবুত রাখে
- হজমশক্তি বাড়ায়
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে
- ওজন কমাতে সহায়তা করে
- হৃদপিণ্ড সুস্থ্য রাখে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- উন্নত মানের প্রোটিন রয়েছে ছোলা তে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- মানসিক শান্তি প্রদান করে
- কীভাবে খাবেন ছোলা
- ছোলা কতটুকু খাওয়া উচিত
- ছোলা ভুনা খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
- লেখকের শেষকথাঃ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকের এই পোস্টে ছোলার যত প্রকার উপকারিতা রয়েছে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, হজমের শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও ছোলা ভিজিয়ে খেলে ছোলার পুষ্টিউপাদান আরো বৃদ্ধি পায়।
এটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন ছোলা অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই আপনারা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন ছোলা খেতে পারেন। তো চলুন জেনে আসি ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
ছোলার পুষ্টি উপাদান
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিউপাদান। নিচে পুষ্টিউপাদানের তালিকা দেওয়া হলোঃ
পুষ্টিউপাদান
- শক্তি ( ক্যালোরি ) = ২৬৭
- প্রোটিন (গ্রাম ) = ১৪.৪
- ফ্যাট(গ্রাম)=৪.২
- কার্বোহাইড্রেট (গ্রাম)=৪৪.৭
- ফাইবার (গ্রাম) =১২.৫
- ক্যালসিয়াম (মিলিগ্রাম)=৮০.৪
- আয়রন (মিলিগ্রাম) =৪.৭
- ম্যাগনেসিয়াম (মিলিগ্রাম)=৭৮.৭
- ফসফরাস (মিলিগ্রাম)=২৭৪
- পটাসিয়াম (মিলিগ্রাম) =৪৭৪
- জিঙ্ক (মিলিগ্রাম)=২.৫
- সেলেনিয়াম (মাইক্রোগ্রাম)=৬.১
- ভিটামিন সি ( মিলি গ্রাম )=২.১
- ভিটামিন ই ( মিলি গ্রাম ) =০.৬
- ভিটামিন k (মাইক্রোগ্রাম )=৬.৬
- কোলিন (মিলিগ্রাম )=৬৯.৭
- বিটা ক্যারোটিন ( মাইক্রোগ্রাম )= ২৬.২
হাড় মজবুত রাখে
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে
আইরন,ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লবণ যা আমাদের হাড়কে মজবুত
করে।আমরা যদি নিয়মিত ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে,আমাদের হাড় হবে মজবুত ও
সুন্দর।আমাদের হাড়ের কোনরকম সমস্যা হবে না যদি আমরা নিয়মিত ছোলা খাওয়ার অভ্যাস
গড়ে তুলি।
হজমশক্তি বাড়ায়
আমরা যদি নিয়মিত ছোলা খাই তাহলে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে কেনোনা,ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খাদ্যতন্ত্র এবং ফাইবার যা আমাদের হজমশক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে।এই খাদ্যতন্ত্র জলে দ্রবীভূত হয়ে জেলির মতো কাজ করে। এবং আমাদের খাদ্যনালীকে
পরিষ্কার করে।এছাড়াও আমাদের খাদ্যনালীতে ব্যাকটেরিয়া থাকলে ব্যাকটেরিয়া
দূর করে।
এজন্য আমারা যদি নিয়মিত ছোলা পান করি আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে পাশাপশি
ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যাবে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাশাপাশি রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ
প্রোটিন ।এই প্রোটিন আমাদের শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণ ভূমিকা পালন
করে। আর ছোলাতে উপস্থিত ফাইবার ছোলা খাওয়ার পর তা ধীরে
ধীরে হজম হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকে
যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
এজন্য আমরা যদি নিয়মিত ছোলা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের ব্লাড সুগার
সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে থাকবে পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে
যাওয়ার কারনে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই ব্লাড
সুগার এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ছোলা খেতে
পারেন।
ওজন কমাতে সহায়তা করে
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন যা আমাদের ক্ষুদা
কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা অনুভব হয় না।সবসময় পেট ভরা অনুভব
হয়। যার ফলে আমাদের অতিরিক্ত খেতে ইচ্ছা হয় না এবং খাবার কম খেলেও
কোন সমস্যা হয় না। এজন্য যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন
ছোলা খাওয়ার পর আপনার ক্ষুদা কম অনুভব হবে।
আর এভাবেই খাদ্য কম খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমে যেতে শুরু করবে। এভাবেই
ছোলা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হৃদপিণ্ড সুস্থ্য রাখে
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। খোলাতে উপস্থিত
পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ
রাখতে রক্তচাপ কম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এছাড়াও ছলাতে
উপস্থিত ফাইবার আমাদের রক্তের কোলেস্টরে পরিমাণ অনেক কমে নিয়ে
আসে।
যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদের নিয়মিত
ছোলা খাওয়া উচিত ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদপিন্ড থাকবে সুস্থ এবং
শরীরে অন্য রকমের এক এনার্জি অনুভূত হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ছোলাতে রয়েছে সেলেনিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন নামে দুটো
এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল কে সুস্থ রাখে এবং
তা সহজে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আমাদের শরীরে ক্যানসার
হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
মানসিক শান্তি প্রদান করে
ছোলা তে উপস্থিত খনিজ লবণ আমাদের মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখে।
যার ফলে আমাদের মন ভালো থাকে এবং একরকম শান্তি অভুভুত হয়। এজন্য মানসিক
শান্তি পাওয়ার জন্য হলেও ছোলা খাওয়া উচিত।
উন্নত মানের প্রোটিন রয়েছে ছোলা তে
এক কাপ পরিমাণে ছোলা তে রয়েছে ১৫ গ্রাম প্রোটিন । তাই যারা মাছ মাংস
পছন্দ করেন না তারা প্রোটিনের চাহিদা পুড়ন কোরতে ছোলা খেতে পারেন। এমন
অনেক মানুষ আছে যারা মাছ মাংস খেতে পছন্দ করেন না তারা খাদ্যতালিকায় ছোলা
রাখতে পারেন । যান আপনার শরীরৈ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য
করে । আপনা যদি রক্তচাপের কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার উচিত নিয়মিত
ছোলা খাওয়া । আপনারা যদি নিয়মিত ছোলা খান তাহলে আপনাদের শরীরের অনেক
সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি অনেক জটিল সমস্যা দূর করতে পারে এই ছোলা ।
চলাতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আয়রন কালসিয়াম ও ফসফরাস যা আমাদের
শরীরের অনেক রোগ নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
কীভাবে খাবেন ছোলা
- ছোলা যদি আমরা তেল মসলা দিয়ে রান্না করি তাহলে সেটা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত হবে না। ছোলা যদি আমরা কাঁচা অথবা সেদ্ধ করে খেতে পারি তাহলে আমরা সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে পাড়ি। প্রত্যেকটা খাবারের পুষ্টিগুনির্ভর করে তা আমরা কিভাবে খাচ্ছি তার উপরে। এজন্য আমরা ছোলার সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে তা সেদ্ধ করে অথবা কাঁচাই খেতে পারি এতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি পাওয়া যাবে।
- আমরা যখন ছোলা খাবো তা খাওয়ার আগে অবশ্যই ভিজিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করবে। ছোলা খাওয়ার আগে তা অন্তত অবশ্যই ছয় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ছোলা ভিজিয়ে রাখার ফলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও কেমিক্যাল সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই ছোলা খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখুন।
- আমরা যখন ছোলা ভুনা করি এর পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমাদের উচিত ছোলা সেদ্ধ করে খাওয়া। সেদ্ধ করে খেতে ভালো না লাগলে কীভাবে খাবেন ছোলার সঙ্গে আমরা টমেটো শশা চাট মসলা সামান্য অলিভ অয়েল কিংবা সয়াবিন তেল মিশিয়ে খেতে পারেন যা স্বাস্থ্যের জন্য হবে অনেক উপকারী এবং এতে পুষ্টিগুণ থাকবে ব্যাপক পরিমাণে।
ছোলা ভুনা খাওয়ার উপকারিতা
ছোলা ভুনা একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার, যা বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত। এটি ছোলার স্বাস্থ্যগুণের পাশাপাশি ভুনা করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত মসলা এবং তেল থেকে বাড়তি পুষ্টি ও স্বাদ যোগ করে। ছোলা ভুনা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে:
ছোলা ভুনা খাওয়ার উপকারিতা:
১. প্রোটিনের ভালো উৎস:
ছোলা প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা শরীরের কোষ গঠন, মাংসপেশি শক্তিশালী করা এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের খাদ্যতালিকায় মাংসের অভাব রয়েছে, তাদের জন্য ছোলা একটি উত্তম প্রোটিনের উৎস।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
ছোলায় ফাইবার ও প্রোটিন দুই-ই থাকে, যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা কমায়। ফলে ছোলা ভুনা ওজন কমানোর বা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে।
৩. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী:
ছোলায় থাকা ফাইবার, ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়াম হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪. পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো:
ছোলায় থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
৫. রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
ছোলা ধীরে ধীরে হজম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় না। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো খাবার, কারণ এটি ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ভালো উৎস:
ছোলায় থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, আয়রন এবং ভিটামিন বি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
ছোলায় থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বক ও দেহের বিভিন্ন কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সহায়ক।
৮. শক্তি বৃদ্ধি করে:
ছোলায় থাকা কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে হজম হয় এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে। এটি শরীরে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য।
সতর্কতা:
ছোলা ভুনা তৈরিতে তেল এবং মসলার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত হতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে। তাই তেল এবং মসলা পরিমিতভাবে ব্যবহার করা ভালো।ছোলা ভুনা সঠিকভাবে প্রস্তুত করে খেলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে, তবে তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম।
ছোলা কতটুকু খাওয়া উচিত
কোন খাবার যেমন অতিরিক্ত গ্রহণ করা সঠিক নয় তেমনি ছোলা অতিরিক্ত খাওয়া
ঠিক নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ ছোলা খেতে
পারবেন। এবং যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা দিনে কতটুকু ছোলা
খাবেন তা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে
তারা ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কেনোনা,
ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা কিডনির আরো অনেক জটিল সমস্যা
সৃষ্টি করতে পারে।
এবং আপনাদের পেটের ব্যথা থাকলেও ছোলা খাবেন না। আবারা আপনারা যখন কৌটাজাত
ছোলা খাবেন তার আগে অবশ্যই ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে কারণ এতে থাকতে
পারে বটুলিজম নামে এক ধরনের বিষক্রিয়া যা আমাদের দেহের জন্য
মারাত্মক ক্ষতিকর।
খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা যদি প্রতেকদিন কাচা ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালিপেটে কাচা ছোলা
খান তাহলে নানারকমের উপকার পাবেন ।
কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ঃ
- প্রোটিনের সমস্যা দূর হবে
- হজমের সমস্যা দূর হবে
- হার্ট থাকবে সুস্থ
- ওজন কমতে শুরু করবে
- কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকবে
- চূলকে করবে সুন্দর ও শক্তিশালী
- ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
- কমতে শুরু করবে ক্যান্সারের ঝুঁকি
- ত্বক হবে উজ্জ্বল
- অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করবে
- বার্ধক্যের ছাপ পরতে বাধা দিবে
- শরীরের অস্থির ভাব দূর করে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- শরীরে শক্তি বাড়ায়
- হাত পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া দূর করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
লেখকের শেষকথাঃ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে। ছোলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা
হয়েছে। আপনাদের যদি কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট
করুন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url