ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারীতা

আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।  

ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ উপকারিতা

এখন বাংলাদেশেই প্রচুর পরিমানে ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে। ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক উপকারী গুণাগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

পেইজ সূচীপত্র ঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই পোস্ট এ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন অনেক উপকারী একটা ফল। এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করার পাশাপাশি আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

ড্রাগন ফলের পরিচিতি

ড্রাগন ফল খুবই উপকারি একটা ফল। ভিয়েতনামের জাতীয় ফল এই ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল দেখতে ড্রাগনের পিঠের মত এবং ড্রাগন গাছ দেখতে ক্যাকটাসের গাছের মতো। এই ড্রাগন ফল টি  উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকায়। এই ড্রাগন ফল টি মালয়েশিয়ায় ড্রাগন ফল এবং থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক এছাড়াও ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন নামে পরিচিত এই ফল। 

এই ফল দেখতে অনেকরকম হতে পারে তবে আমাদের দেশে এই ফল টা শুধু লাল কালারের দেখা যায়। হায়লোসেরিয়াস আনডেটাস হচ্ছে এই ডার্গন ফলের উদ্ভিদতাত্তিক নাম। 

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ডার্গন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক উপকারিতা হয়ে থাকে। এই ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নানারোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ড্রাগন ফল। 

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
  •  কোলেস্ট্রোরেল কমায়
  •  হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
  •  ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
  • হজমে সহায়ক
  • বয়সের চাপ দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
  •  রক্ত চলাচল বজায় রাখে।
  •  চুলপড়া প্রতিরোধ করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে 

আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে এই ড্রাগন ফল। এই ফল আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতেকদিন একটা করে ড্রাগন ফল খায় তাদের কোলেস্টেরল মাত্রা ৪.৪% কমেছে। 

এবং যারা যারা দিনে ২টা করে ড্রাগন ফল খেয়েছে তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কমেছে ৯.৪%। তাই আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন। 

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। ড্রাগন ফল খেলে যেমন শরীরে কোলেস্টের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে তেমনি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়। ডাবল ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার ফলে তা আমাদের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত ড্রাগন  ফল খাবার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

এজন্য আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং হৃদপিন্ডের সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই থেকে তিনটি ড্রাগন  ফল খেতে পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে ড্রাগন ফল 

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের ওজন কমাতে বা সঠিক ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। ড্রাগন  ফলের ৮০ শতাংশই পানি দিয়ে ভরপুর। এবং এই ড্রাগন  ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আপনার অন্ত্রের গতিবিধিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

ক্যান্সারের প্রতিরোধে 

ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যারোটিন নামক এক উপাদান যা আমাদের শরীরে থাকা যেকোনো ধরনের টিউমারকে ধ্বংস করতে পারে। এবং এই ড্রাগন ফলে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর হয়। তাই আমাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত।ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ। আর ড্রাগন ফলে আঁশ থাকার কারণে এই ফল খেলে রক্তে শর্করা পরিমাণ স্থিতিশীল রাখে। আপনারা যদি আপনাদের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল যুক্ত করতে পারেন ।

তাহলে ডায়াবেটিস থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। এই ফল খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস তো নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পাশাপাশি আপনার ইনসুলিন নেওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে আসবে। তাই ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো মরণব্যাধি রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ড্রাগন ফল গ্রহণ করতে পারেন।এছাড়াও গর্ভবতী মায়েরা এই ফল খেতে পারবেন ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আপনার গর্ভে থাকা বাচ্চাটি থাকবে সুস্থ এবং সুন্দর।

রক্ত চলাচল সঠিকভাবে বজায় রাখতে

এখন সারা বিশ্বে পুষ্টি জনিত যে সমস্যা দেখা দেয় তা হল আয়রনের ঘাটতি। বিশেষ করে মহিলাদের এ সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।  মাছ মাংস ডিম ছোলা বাদাম এসব খাবার থাকে আমরা আয়রন গ্রহণ করে থাকি। এবং মাত্র কিছু পরিমাণ ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে এর মধ্যে একটা ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল। প্রতি 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.৯ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে

 যা দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রার ১০% এর বেশি। আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে আইরন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা আমাদের শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে লোহিত রক্তকণিকাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে পরিচালনা করবে। 

হজমে সহায়ক

নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ এই ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ যা আমাদের হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই ফল গ্রহন করার ফলে আমাদের পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। এজন্য হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ড্রাগন ফল গ্রহন করুন। 

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে

ডার্গন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, এবং ফাইবার থাকার ফলে এই ফল আমাদের শরীরের অনেক উপকার সাধন করে থাকেন। একটা পাকা ড্রাগন ফলে থাকে ৭ গ্রাম ফাইবার। যা আমাদের শরীরে অনেক ভেজাল প্রদার্থ বের করে দেয় যার ফলে আমাদের শরীর থাকে সুস্থ। এবং এই ড্রাগন ফল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । 

তাই যারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তারা খাদ্যতালিকায় ড্রাগন ফল যোগ করতে পারেন

 চুলপড়া প্রতিরোধ করে।

চুল পড়া সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। আয়রন এ ঘাটতি অভাবে যেসব সমস্যা হয় তা ড্রাগন ফল খুব সহজেই সমাধান করতে পারে যেমন অত্যাধিক ক্লান্তি কোন জিনিসে মনোযোগ না বসা,মাথাব্যথা, হাতে, পায়ে ঠান্ডা অনুভূতি নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নিন

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম


ড্রাগন ফল এখন বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। ফলে বাজারে খুব সহজেই এই ড্রাগন ফল পাওয়া যায় এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আপনারা যদি নিয়মিত এই ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। তবে এই ড্রাগন ফল কিভাবে খেলে উপকারিতা অনেক বেশী পাওয়া যাবে তা জেনে আসি ঃ 

আপনারা ড্রাগন ফল নানাভাবে খেতে পারবেন। আপনারা চাইলে এই ফলটি জুস করে খেতে পারেন কিন্তু এজন্য আপনাকে প্রথমে খোসা ফেলে দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিতে হবে। তারপর চাইলে সেটাতে সালাত এড করতে পারেন। আর আপনার যদি চান তাহলে সাধারণ ফলের মতো কেটে খেতে পারেন। তবে আপনারা এটা কখনোই সবজির মত রান্না করে খাবেন না। 

রান্না করে খাওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। 

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

ডাবল ফল হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পাগল করে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন । ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে চোখের যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা


  • ড্রাগন ফলের লাল এবং সাদা অংশ ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে
  • প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট রয়েছে ড্রাগন ফলে যা আমাদের সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • ড্রাগন ফল সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রী ফলে আপনারা এই ড্রাগন ফলকে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন।
  • ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • আমাদের শরীরের জন্য যেসব উপাদান ক্ষতিকর তা দূর করতে সাহায্য করে এই ড্রাগন ফল।
  • ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যার ফলে এই ফল খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এই ড্রাগন ফল
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ড্রাগন ফল। যার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুকি কমে যায়
  • ড্রাগন ফল খাবার ফলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুড়ি কমে যায়
  • ড্রাগন ফলের বীজে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অনেক উপকারী। 

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

সব ফলেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু পরিমাণ অপকারিতা রয়েছে

 ড্রাগন ফলের অপকারিতা
  • অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে এলার্জির সম্ভাবনা থাকে
  • অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে হাইপোটেনশন হতে পারে। যার ফলে আপনি যদি পরিবারের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে নিম্নচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা


ড্রাগন ফল যেমন আমাদের অনেক রকম স্বার্থের উপকার করে তেমনি ড্রাগন ফলের খোসাও আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তাই আজকে আমরা জানবো যে ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা কি কি।আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার আর কখনো ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দিবেন না। তাই বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 


ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে এ ফলটি আমাদের নানা ধরনের রোগ কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তেমনি ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুরপরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি,ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬, গ্লুটামিন,থায়ামিন, নয়াসিন যা ব্যবহারে আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যা সহজেই দূর করা সম্ভব।

প্রথমে দুই তিনটি ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর এই খোসাগুলোকে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিতে হবে। তারপর দুই গ্লাস দুই মগ গরম পানির মধ্যে ভালোভাবে এ খোসাগুলোকে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর খোসা গুলোকে ফেলে দিয়ে পানি গুলো ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। এবং পানি গুলোকে ভালোভাবে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

এ পানির সাথে আপনারা লবণ অথবা লেবুর রস মেশাতে পারেন এতে খেতে সুস্বাদু লাগবে। এই রস আপনারা নিয়মিত খেলে আপনাদের ওজন কমতে শুরু করবে এবং আরো নানারকম সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং ত্বককে সুন্দর করতে ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করা যায়। 

এজন্য আপনাকে দাগন ফলটি চারভাগে কাটতে হবে তারপর চার ভাগের একভাগ নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপরে পেস্ট এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর রস ভালোভাবে মিক্স করতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবং তার কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। 

নিয়মিত এই মিশ্রণটি মুখে লাগালে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক হালকা গোলাপী রং চলে আসবে এবং মুখের কোন দাগ ছোপ থাকলে তা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। এজন্য মুখের সমস্যা দূর করতে আপনারা ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। 

এছাড়াও আপনারা হার্টের সমস্যা দূর করতে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে জুস বানিয়ে তা খেতে পারেন এতে খুব সহজেই হার্টের সমস্যা দূর করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা যদি ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে জুস বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার কিডনির কোন সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে এবং কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও

এই জুস নিয়মিত পান করলে আলসার এর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাছাড়াও আপনারা চুলের যত্নে ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকলে তা দুর হয়ে যাবে এবং চুল হবে শক্ত  ও সিল্কি। এছাড়াও এই জুস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও নিরাময় করা সম্ভব। 

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি এবং ফোলেট  যা গর্ভাবস্থায় আপনাকে শক্তি প্রদান করবে এবং নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে তা আপনার হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। 

এবং ডায়াবেটিসের ঝুকি কমাতে সাহায্য করবে। নানা রকম কিডনির সমস্যা দূর করতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে এই ড্রাগন ফল। তাছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এই ড্রাগন ফল। 

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি কি 

  • ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থের সমৃদ্ধ উৎস
  • শক্তি প্রদেয়কারী কার্বোহাইড্রেট
  • সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাধার সৃষ্টি করে
  • কোষ্ঠকাঠিণ্য থেকে মুক্তি দেয়
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
  • হাড়ের বিকাশে সহায়তা করে
  • জন্ম ত্রুটিগুলি রোধ করে
  • প্রাক-এক্ল্যাম্পসিয়া প্রতিরোধ করে

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ালে কি উপকার হয়

ড্রাগন ফল রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও নানা রকম শক্তির উৎস। যা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অনেক মারাত্মক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়। দাগ পড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও প্রয়োজনে পুষ্টি। এ ফল খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের রক্ত চলাচল অনেক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও ড্রাগন ফল প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকার কারণে,

এটা বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার হাড় হবে শক্ত ও মজবুত। এছাড়াও দাগন ফলে রয়েছে প্রচুর এন্টি এক্সিডেন্ট। যা আপনার শিশুর কোষ গুলোকে রক্ষা করে এবং দেহের ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে নিয়ে আসে। ড্রাগন ফলে থাকা এন্টি এক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলে যে সব পুষ্টি উপাদান থাকে।

তা বয়স্ক শিশুদের হার্টের সমস্যা সমাধান করে ও হাটের উন্নতি করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে হাড়ের বৃদ্ধি  ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় । ড্রাগন ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এবং স্কার্ভি জাতীয় সমস্যা প্রতিরোধ করে এই ড্রাগন ফল। 

ড্রাগন ফলে ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি আমাদের চোখ এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং এটি দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ লৌহ বা আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে থাকা ফসফরাস সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম শিশুটির সংবেদনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি করে। 

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে এটা আপনার শিশুর ত্বকের গঠন ও কোমলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর ফলে এমন কিছু উপাদান আছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সম্পন্ন দূর করতে পারে। তাছাড়াও সন্তানের সুস্থ চলাচল বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সাবধানতা 

আপনার শিশুর এলার্জি থাকলে তাকে ফল খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে এসিডের সমস্যা হতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ উপকারিতা


ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

অন্যান্য ফলের মতো ড্রাগন ফল যখন ইচ্ছা তখনই খেতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে ভালো ফলটি ধুয়ে নিতে হবে । তারপর খোসা গুলো কে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এছাড়াও আপনারা ড্রাগন ফলের জুস করেও খেতে পারবেন । এই ড্রাগন ফল রান্না করে খাওয়া যাবে না রান্নার খেলে সমস্ত পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় । আর আপনারা যদি ড্রাগন ফল রাতে খেতে পারেন তাহলে ঘুম ভালো হবে।

শেষকথাঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা 

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী একটা ফল । এই ফল খাওয়ার ফলে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । এবং এই ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান চা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর পুষ্টি ঘাটতি থাকলে তারপর হয়ে যাবে। 

এ ফল সকলের জন্যই ভালো ও উপকারী।গর্ভাবস্থায় এ ফল খেতে পারেন আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে 
এবং আপনাদের ছোট বাচ্চাকে এ ফল নিয়মিত খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং নানা রকম জটিল রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবে। তাই নিজের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং মাড়াত্ঙ্ক রোগের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত খেতে পারেন ড্রাগন ফল। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url