স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য কলার ১০টি উপকারিতা ও সতর্কতা
কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। কলা একটা সহজলভ্য ফল। কলা একটা পুষ্টিকর খাদ্য এবং কলা একটা সুস্বাদু ফল।
আপনাদের শরীরের পুষ্টিচাহিদা পুরন এবং কালসিয়াম পটাশিয়াম এর ঘাট্তি পূরণ করতে নিয়মিত কলা খেতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছু।
পেইজ সূচীপত্র ঃ কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
- কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
- কলা আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
- শরীরে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে কলা
- অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায় কলা
- মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে কলা
- ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে কলা
- কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে কলা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে কলা
- হজমের সমস্যা দূর করে কলা
- তারুণ্য ধরে রাখে কলা
- ওজন বাড়াতে কলা
- মাঝারি কলার পুষ্টিগুণ
- বিচি কলার উপকারিতা
- খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
- কলা খাওয়ার সঠিক সময়
- দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
- কলার অপকারিতা
- বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
- লেখকের শেষকথাঃ কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হোক সেটা কাঁচা
অথবা পাকা। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি
উপাদান। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে কলা। তাই আমাদের শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত কলা
খেতে পারেন।
আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করবো কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়, কলা
খেলে কি কি রোগ প্রতিরোধ করা যায় , এবং কলা অতিরিক্ত খেলে আমাদের কি কি
সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আপনারা যদি কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান বিস্তারিত পোস্ট টি মনোযোগ
সহকারে পড়তে থাকুন।
কলা আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
কলা খুবই উপকারী একটা ফল। কলাতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিউপাদান যা আমাদের শরীরকে
নানারকম রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা
আমাদের শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরিরে গ্লুকোজের
পরিমাণকে স্বাভাবিক রাখে যার ফলে নানারকম মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়
আমাদের শরীর।
শরীরে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যার কারণে কলা খাওয়ার পর পেট ভরা লাগে এর
ফলে অতিরিক্ত কোনো খাবার খেতে ইচ্ছে হয় না । যার ফলে আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন
কমে যায় । এবং কলা খাওয়ার পরে আমাদের শরীরের এনার্জি অনেক বেড়ে যায় এবং আমাদের
শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। এজন্য যাদের ওজন বেশী তারা ওজন কমাতে নিয়মিত কলা খেতে
পারেন।
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায় কলা
ফলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য
করে।কলাতে উপস্থিত আয়রন আমাদের আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি
করে যার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত উপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলাতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক
রাখে।
অ্যানিমিয়া রোগ হলে আমাদের শরীরে ক্লান্তি ভাব আসে এবং শরীর অনেক দুর্বল
হয়ে পড়ে যার ফলে আমরা কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারি না। যাদের এই অ্যানিমিয়া বা
রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কলা খেলে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি
পাবেন।
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন যার ফলে কলা খাওয়ার পড়ে
আমাদের মানুষিক চাপ দূর হয় এবং শরীরে একধরনের এনার্জি চলে আসে । যার ফলে আমরা
কলা খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং নানারকম নার্ভের কার্যকারিতা
বৃদ্ধি করে এবং আলাদা এক শান্তি অনুভূত হয়। এজন্য চাপমুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত
কলা খেতে পারেন।
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে কলা
নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং
কলাতে উপস্থিত নানারকম উপাদান যেমন, আয়রন, ভিটামিন বি৬ ভিটামিন সি আমাদের
শরীরকে সুস্থ রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এবং ভিটামিনের অভাবে যেসব রোগ হয়ে
থাকে তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কলা। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে
এবং সুস্থ কোষ উৎপাদন করতে
যা যা অবশ্যক তার সবকিছু কলাতে বিদ্যামান। তাই আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে কলার
ভূমিকা ব্যাপক । এজন্য সুস্থ জিবনযাপন করতে প্রতেকদিন অন্তত ২ টি কলা খেতে
পারেন।
কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম।পটাশিয়াম আমাদের কিডনির যে
কোনো সমস্যা দূর করতে পারে এবং কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।কলাতে
উপস্থিত পটাশিয়াম আমাদের কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কিডনির যেকোনো
সমস্যা দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে কলা ।নিয়মিত কলা
খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা সঠিক রাখা যায়।
যার ফলে কিডনির কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এজন্য কিডনির সমস্যা
দূর করতে নিয়মিত কলা খেতে পারেন এতে আপনার কিডনি থাকবে সুস্থ এবং কিডনি
রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রাকৃতিক শর্করা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট
এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহয্য করে
এবং আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। আমাদের রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ কমে
গেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
আপনারা কলা খেতে পারেন।
এবং আপনাদের এমন কিছু খাবার খেতে হবে যাতে ব্লাড সুগার কমে যায়। নিয়মিত
কলা খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ সঠিক থাকে। এজন্য কলা
খেলে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রনে ।
হজমের সমস্যা দূর করে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করে। কলাতে অসংখ্য পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের যেকোনো
রোগ খুব সহজেই নিরাময় করতে পারে এবং কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে
এটা আমাদের শক্তি অনেক বৃদ্ধি করে। এবং যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা
কলা খাওয়ার পরে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তারুণ্য ধরে রাখে কলা
কলা অনেক উপকারে একটা ফল এবং সুস্বাদু। এবং কলাতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি
উপাদান যা আমাদের অনেক রোগের হাত থেকে রোক্কা করে এবং কলাতে আছে প্রচুর
পরিমানে ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। কলা খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকের কোষে পানির পরিমাণ
বৃদ্ধি পায়।
আর এই ত্বকের কোষে পানি দেওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের লাবণ্যতা ঠিক
থাকে। যার কারণে দেখতে সুন্দর এবং আকর্ষণীয়
লাগে। এছাড়াও কলাতে উপস্থিত ভিটামিন ই আমাদের যৌবনকে বৃদ্ধি করে যার
ফলে আমাদের দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ম্যাগনেসিয়াম যা ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বককে নানা
রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
ওজন বাড়াতে কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের ওজন
বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কলাতে রয়েছে ভিটামিন
বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক ভিটামন ও খনিজের ভাণ্ডার যা
আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং এবং কলা খাওয়ার
ফলে আমাদের মুখের রুচি বৃদ্ধি পায় এবং নানা রকম হজমের সমস্যা দূর
হয়ে যায়।
যার ফলে আমরা বেশি করে খাদ্য খেতে পারি। এবং নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে
কলাতে উপস্থিত নানা রকম ভিটামিন ক্যালরি আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে। তাছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার কলাতে থাকার
কারণে তা আমাদের নানা রকম ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে কলা।
মাঝারি কলার পুষ্টিগুণ
- ভিটামিন এ -২৫.০ আই.ইউ
- ভিটামিন বি -৬০.৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি -৯.০ মিলিগ্রাম
- আয়রন -০.৩ মিলিগ্রাম
- রিবোপ্লাভিন -০.১ মিলিগ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ -০.৩ মিলিগ্রাম
- নায়াসিন -০.৮ মিলিগ্রাম
- ফোলেট -২৫.০ মাইক্রগ্রাম
- আঁশ -৩.০ গ্রাম
- পটাশিয়াম -৪৫০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম -৩৪.০ মিলিগ্রাম
- এছাড়াও,মিনারেল
- ফাইবার
- খনিজ পদার্থ
- ক্যালোরি
বিচি কলার উপকারিতা
বিচি কলা অনেক উপকারী একটা ফল। এই কলা আমাদের শরীরে নানা রকম রোগ
প্রতিরোধ করতে পারে। তো চলুন জেনে আসি বিচি কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া
যায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- জ্বরের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করতে পারে
- ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান করে
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে
- কিডনির সমস্যা দূর করে
- কৃমি জনিত সমস্যা দূর করে
খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও
পটাশিয়াম। আপনি যদি খালি পেটে কলা খান তাহলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে
পারে। কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার কারণে আপনি যদি খালি
পেটে কলা খান তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই খালি পেটে শুধু কলা না
খেয়ে কলার সাথে রুটি তারপর আপেল পাউরুটি কেক এগুলোর সাথে খেতে পারেন।
তাহলে অনেক উপকার পেতে পারেন। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার
হচ্ছে সকালের খাবার।আপনারা যদি সকালে পেট ভরে খেতে পারেন তাহলে সারাদিন
অনেক ভালো যাবে। কারণ সকালের খাবার খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ
করতে সাহায্য করে। তাই সকালে শুধু খালি পেটে কলা খাওয়া যাবে না কলারসাথে
আপনারা আরো নানারকম খাবার খেতে পারেন।
এছাড়াও সকালে খালি পেটে কলা খেলে কলাতে উপস্থিত সুগার আপনার শরীরের নানা
রকম ক্ষতি করতে পারে। এজন্য সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
কলা অনেক উপকারী একটা ফল। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন ইত্যাদি তাই আপনি যদি সকালে কলা খেতে পারেন
তাহলে সারাদিন আপনি শরীরে অনেক এনার্জি পাবেন।কিন্তু খালি পেটে একদম কলা
খাবেন না কলার সাথে রুটি কেক ইত্যাদি খেতে পারেন। সকালে কলা খাওয়ার কারণে
অনেক বেশি উপকার পাবেন।
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
কলা অনেক উপকারে একটা ফল। কলাতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি
উপাদান। এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা অতিরিক্ত
খাওয়ার পরে আমাদের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমাদের জানতে হবে দিনে
কয়টি কলা খাওয়া উচিত
- একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ৪-৫ টা কলা খেতে পারবেন।
- শিশুদের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ ৩টা কলা উচিত।
তবে কলা খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই কলাতে ফরমালিন কিংবা কোন মেডিসিন
দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে হবে তা না হলে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে
পারেন।
কলার অপকারিতা
- অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কলা বেশী খাওয়া উচিত নয়
- কলাতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম যা আমাদের হার্টের সমস্যা তৈ্রি করতে পারে
- অতিরিক্ত কলা খেলে দাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- অতিরিক্ত কলা খাওয়া অনিদ্রার কারণ হতে পারে
- ঠান্ডা লাগলে কলা খাবেন না এতে ঠান্ডা আরো বেশী হতে পারে
- খালিপেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে
- কলা খেলে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়
- কলা খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে
বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপকারিতাঃ
বিচি কলা অনেক উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার
সাধন করে থাকে। বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন থাকার কারণে
বিচি কলা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে
যেমনঃ আমাশয়, কলেরা, আলসার ইত্যাদি। এবং বিচি কলার ফুল আমাদের ডায়াবেটিকস
নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
এছাড়াও বিচি কলা খাওয়ার ফলে আমাদের
যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
এছাড়াও বিচি কলা আমাদের শরীরের কিডনির পাথর এবং হিস্টেরিয়া, কুষ্ঠ,
জ্বর, রক্তক্ষরণ বন্ধ এবং আরো অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য আমাদের
সুস্থ থাকার জন্য বিচি কলা খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অপকারিতাঃ
- ঘুমের সমস্যা হতে পারে
- ঠান্ডা লাগতে পারে অতিরিক্ত কলা খাওয়ার কারণে
- ওজন বৃদ্ধি হতে পারে
- দাতের সমস্যা হতে পারে।
সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। সিঙ্গাপুরি
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন প্রোটিন এবং আরো অনেক পুষ্টিগুণ। তাই
আপনারা যদি দুপুরে কলা খান তাহলে আপনার শরীরে এনার্জি বেড়ে যাবে।
এছাড়াও সিঙ্গাপুরি কলা আমাদের ডায়াবেটিকস এর সমস্যা থেকে মুক্তি
দেয়।
কলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এক ফল। তাই আমাদের প্রতেকদিন কলা খাওয়া
উচিত। সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য কলা অনেক উপকারী। কলা আমাদের অনেক রোগ
প্রতিরোধ করে এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও কলা
আমদের হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
লেখকের শেষকথাঃ কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা
সম্পর্কে। আশা করা যায় পোস্ট আপনাদের অনেক উপকারে আসবে যদি পোস্ট ভালো লেগে
থাকে তাহলে কমেন্ট করুন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url