লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা: জানুন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
লেবুর উপকারিতা কি কি আমরা হয়তে অনেকেই জানি না। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত
আলোচনা করবো লেবুর উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে। লেবু খুবই উপকারী একটা ফল।
লেবু তে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং লেবু খাদ্যর
সাব্দ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে আমরা যদি প্রতেকদিন লেবু বা
ভিটামিন সি খাই তাহলে আমাদের শরীরে নানাধরনের পরিবর্তন দেখা দিবে এবং আমাদের কারো
যদি কিডনির সমস্যা থেকে থাকে তা ঠিক হয়ে যাবে । আজকের এই পোস্টটিতে আমরা
জানবো লেবুর উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে।
পোস্ট সুচিপত্র ঃ লেবুর উপকারিতা কি কি
লেবুর উপকারিতা
- লেবুর উপকারিতা কি কি
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ত্বক সুন্দর রাখে
- কিডনি ভালো রাখে
- শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে
- এনিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোধ করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- দেহে Ph এর সমতা বজায় রাখে
- ব্যাথা উপসম করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- খাদ্যকে সুস্বাদু করে
- স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে
- খনিজ লবণের সমতা বজায় রাখে
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
- হার্ট ও ব্রেন সুস্থ্য রাখে
- মুড ভালো রাখে
- লেবুর অপকারিতাগুলো
- লেখকের শেষকথাঃ লেবুর উপকারিতা কি কি
লেবুর উপকারিতা কি কি
আমরা অনেকেই জানি না লেবুর উপকারিতা কি কি। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা
বিস্তারিত আলোচনা করবো লেবুর উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে। গরমে আমরা প্রায় লেবু র শরবত খেয়ে থাকি। লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের
শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি পায় এবং আরো অসংখ্য পুষ্টিগুণ রয়েছে লেবু তে ।
এছাড়াও লেবু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক সুন্দর করে, কিডনি ভালো
রাখে, শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তাল্পতা রোধ
করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে,দেহে Ph এর সমতা বজায়
রাখে, ব্যাথা উপসম করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে, স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ
করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। বিস্তারিত জানতে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে পড়তে
থাকুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন সি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লেবুতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যার কারণে লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি নানা রকম সংক্রামকের
হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে নিয়মিত একটা করে লেবু খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রতিদিন একটি করে লেবু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক
বৃদ্ধি পাবে।যার ফলে আপনি কোন অসুখের কবলে পরবেন না। আপনি যদি প্রতিদিন লেবু
খান তাহলে আপনি জ্বরের ও নানারকম সংক্রামকের হাত থেকে থেকে রক্ষা
পাবেন। এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের শরীরের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করে।
আপনার পছন্দ হতে পারে ঃ
আপনি যদি নিয়মিত লেবু খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রোগের সম্ভাবনা অনেক কমে
যাবে।এবং আপনি নানা রকম মারাত্মক ঝুকি থেকে রক্ষা পাবেন। এমনকি
লেবু খাওয়ার ফলে আপনার স্টোকের ঝুঁকি কমে যাবে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এর
কারণে আমাদের শরীরের পটাশিয়ামের চাহিদা পুরণ হয়ে যাবে এবং হার্টের সমস্যা
দূর হবে।
ত্বক সুন্দর করে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে ।আর লেবু তে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রক্তকে পরিষ্কার করে রক্ত থেকে বিষাক্ত
পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা যদি নিয়মিত লেবুর রস পান করেন বা শরবত
করে খান তাহলে আপনাদের ত্বক হবে সুন্দর ও উজ্জল।
লেবুর রস পান করলে আপনাদের শরীরের মসৃণতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে এবং
ত্বকের শুষ্কতা কমে গেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে লেবু। এবং ত্বকের কোনো
কালো বলিরেখা থাকলে তা দূর করবে এই লেবু । তাই ত্বককে সুন্দর করতে চাইলে নিয়মিত
লেবুর রস পান করুন।
কিডনি ভালো রাখে
লেবুতে যেমন ভিটামিন সি রয়েছে তার পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরো
রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা কিডনিতে পাথর জমতে বাধা প্রদান করে। আর
শরীরে যদি আগে থেকেই পাথর হয়ে থাকে তাহলে সাইট্রিক অ্যাসিড পাথরকে ভেঙে তা
মূত্রের সাথে শরীর থেকে বের করে দেয়। এজন্য আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে চান।
তাহলে আপনাকে নিয়মিত লেবু খেতে হবে। নিয়মিত লেবু খেলে আপনার কিডনিতে পাথর জমার
ভয় থাকবে না কারণ লেবু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে পাথর জমতে পারবে না। এছাড়াও
আপনারা যদি নিয়মিত লেবুর রস পান করতে পারেন তাহলে কিডনির যেকোনো সমস্যা থেকে
আপনারা দ্রুত মুক্তি পাবেন । এজন্য লেবুর রস পান করুন আপনার কিডনি ভালো
রাখতে।
শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে
শরীরে ভারসাম্যতা বজায় রাখতে লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরে
প্রতিদিন যতটুকু জল প্রয়োজন তা আপনি পান করতে না পারেন আপনার শরীরে নানাবিধ
সমস্যা দেখা দিবে তাই এই ভারসাম্য বজায় রাখতে আপনারা লেবুর শরবত করে খেতে
পারেন। এতে আপনার শরীরে যেমন জলের ভারসাম্যতা বজায় থাকবে ।
তেমনি এর পাশাপাশি আরো অনেক উপকার পাবেন নিয়মিত লেবু র রস খাওয়ার ফলে। জলের
সাব্দ বৃদ্ধি করতে লেবুর রস একটা পারফেক্ট অপশন তাই আপনারা লেবুর নানবিধ উপকার
নিতে চাইলে লেবুর রস পান করতে পারেন নিয়মিত। এবং লেবু খেলে আপনার মুখের রুচি
অনেক বৃদ্ধি পাবে। যাদের মুখে রুচি কম তারা খাবারের সাথে বা যেকোনোভাবে লেবু
খেতে পারেন।
এনিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোধ করে
লেবু তে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে তেমনি লেবুতে সামান্য পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে তা আমাদের শরীরের
রক্ত পরিষ্কার করে এবং ভিটামিন সি খাদ্য থেকে আয়রন শোষণ করে যার ফলে আয়রন
আমাদের রক্তকনিকা কে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে ফলে শরীরে দ্রুত রক্ত
বৃদ্ধি পায়।
আর এইভাবে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর হয় পাশাপাশি এনিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
কমে যায়। এজন্য শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে লেবু পান করুন নিয়মিত।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
লেবুতে রয়েছে ভালো পরিমাণে ফ্লেভানয়েড নামে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা
আমাদের শরীরেরেডিক্যাল গুলোকে নিউট্রিলাইজ করে বের করে দেয় যার ফলে শরীরের
বিভিন্ন কোষগুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। ফ্লেভানয়েড নামে এন্টিঅক্সিডেন্ট
আমাদের কান্সাররের ঝুঁকি কমায়। এজন্য ক্যানসার হাতে থেকে বাঁচতে নিয়মিত লেবুর
জল পান করতে পারেন।
লেবুর জল বা রস পান করার কারণে আপনার ক্যানসার ঝুঁকি কমে আসতে শুরু করবে।এছাড়াও
আপনারা আরো অনেক উপকার পাবেন নিয়মিত লেবু খাওয়ার কারণে।
দেহে Ph এর সমতা বজায় রাখে
আমাদের শরীরে যদি অ্যাসিডেব় মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে শরীরে নানারকমের রোগ
আক্রমণ করে এবং রোগব্যাধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। লেবু একটা আ্যসিড প্রকিতির
হলেও এটা আমরা খাওয়ার পর শরীরে ক্ষারীয় প্রকৃতির আচরণ করে। তাই আমাদের
শরীরে অ্যাসিডেব় পরিমাণ বেড়ে গেলে আমরা যদি লেবু খাই।
তাহলে তাহলে লেবুর ক্ষারীয় প্রকিতির জন্য অ্যাসিডেব় মাত্রা কমে যাবে
এবং অ্যাসিডেব় এবং ক্ষারীয় সমতা থাকবে। যার ফলে রোগব্যাধির সম্ভাবনা কমে
আসবে। আর এইভাবে শরীরের সমতা ph এর সমতা বজায় রাখে ।
ব্যাথা উপসম করে
শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ব্যথা অনুভব হয়। আর এই ব্যথা থেকে
মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে লেবু। কারণ লেবু খাওয়ার পরে
সেটা শরীরে জয়েন্টগুলো থেকে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমে যায় যার ফলে ব্যথা কমে
যায়। এবং লেবু খাওয়ার পরে সেটা শরীরের মধ্যে গিয়ে ক্ষারের মতো আচরণ
করে। যার ফলে শরীরে ব্যথা কমে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি লেবু খান তাহলে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে। কারণ লেবুতে
রয়েছে দ্রবণীয় পেক্টিন তত্ত্ব যার কারণে আপনি যদি অল্প খাবার খান
তাহলে আপনার পেট ভরা অনুভূত হবে। আর আপনার পেট ভরা অনুভূত হলে আপনার বেশি
খাবার খেতে ইচ্ছা করবে না। আর এটাই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য
করবে। এজন্য ওজন কমাতে নিয়মিত লেবু খেতে পারেন।
খাদ্যকে সুস্বাদু করে
লেবুর রস খাবার কি আরো সুস্বাদু করে তোলে। কোন খাবার তেমন মজা না হলেও
তাতে যদি লেবুর রস দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার স্বাদ আরো অনেক গুন বেড়ে
যায়। লেবুর যে একটা বিশেষ গন্ধ একটা বিশেষ সাব্দ রয়েছে যা যে কোন
খাদ্যকে আরো সুস্বাদু করে তুলতে পারে। এছাড়াও আপনারা যদি নিয়মিত লেবু
খেতে পারেন আপনাদের মুখের রুচি যদি কম থাকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে আসবে।
এছাড়াও লেবুতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। যার কারণে লেবু খাওয়ার ফলে
আমাদের অনেক সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যায়। লেবু মুখের রুচি ফেরাতে অনেক
কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এবং আমরা যদি খাবারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাই
তাহলে আমাদের হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে হজমের সমস্যা
থাকলে তা ঠিক হয়ে যায়।
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে
লেবু তো রয়েছে ভিটামিন সি যা দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য
করে। এবং আমরা যদি নিয়মিত লেবু জল পান করি তাহলে কোন ইনফেকশনও হওয়ার
সম্ভাবনা থাকবে না। যার ফলে আপনার তাদের মাড়ি থাকবে সুস্থ। এছাড়াও
যদি লেবু রস পান করি তাহলে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ হবে না। এজন্য দাঁতের
মাড়িকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত লেবু জল পান করতে পারেন।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে তা আমদের মাড়িকে সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে আর এইভাবেই লেবু স্কার্ভি রোগ প্রতিরধ করে।
খনিজ লবণের সমতা বজায় রাখে
লেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এবং আয়রন।
যা সম্পূর্ণভাবে লবনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমরা যখন কোন
খেলা খেলি বা দৌড়ায় তাহলে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে খনিজ লবন বের হয়ে
যায়। তাই আমরা তখন পানির সাথে যদি লেবুর রস মিশিয়ে দিই তাহলে তা
খনিজ লবণের চাহিদা পুড়ন করে দিবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে মুখে তীব্র একটা গন্ধ অনুভূত হয়। এবং গন্ধটা
অনেকক্ষণ যাবৎ থাকে। যাএকটা বিরক্তিকর বিষয় । সে সময় আপনি যদি এক টুকরা
লেবু বা লেবু জল পান করতে পারেন তাহলে সেই তীব্র গন্ধটা চলে যাবে এবং একটা ভালো
গন্ধ বের হবে। তারপর আপণি সতেজ অভুভব করবেন। এছাড়া মুখের বাজে একটা গন্ধ
দূর হবে।
হার্ট ও ব্রেন সুস্থ্য রাখে
লেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম খনিজ যা হার্ট ও ব্রেন সুস্থ্য রাখে। যেমন লেবুতে
প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে তেমন রয়েছে পটাশিয়াম। এজন্য আপনারা যদি লেবু খান তাহলে
আপনার ব্রেইন থাকবে সুস্থ এবং সবকিছুতেই মনোযোগী হতে পারবেন। আপনার হার্টের
কোনো সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে যাবে । এজন্য নিয়মিত লেবু খেতে পারেন।
মুড ভালো রাখে
একটা বিষয় খেয়াল করবেন আপণি যখন লেবু খাবেন তারপর আপনাকে ফ্রেশ মনে হবে।এবং
শরীরে একটা সতেজতা চলে আসবে। তাই আপনি যদি নিয়মিত লেবু রস পান করেন তাহলে অনেক
সুস্থ বোধ করবেন আপনি।
লেবুর শরবতের উপকারিতা ও অপকারিতা
লেবুর শরবত একটা সুস্বাদু পানীয়। এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবুর শরবতের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ--
লেবুর শরবতের উপকারিতা:
১. হজমশক্তি উন্নত করে: লেবুর শরবত হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে, কারণ এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায়।
২. ডিটক্সিফিকেশন: লেবুর শরবত প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
৩. ভিটামিন সি-এর উৎস: লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
৪. ওজন কমাতে সহায়ক: লেবুর শরবত মেটাবলিজম বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. ত্বক ভালো রাখে: লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখা ও দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
৬. হাইড্রেশন বাড়ায়: লেবুর শরবত শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে এবং এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবুর শরবতের অপকারিতা:
১. অ্যাসিডিটির সমস্যা: লেবুর শরবতের অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণে পেটে জ্বালা বা অ্যাসিডিটি হতে পারে, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগলে।
২. দাঁতের ক্ষতি: লেবুর অ্যাসিড দাঁতের এনামেল দুর্বল করতে পারে, যা দাঁতের ক্ষয় ও সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।
৩. অতিরিক্ত প্রস্রাবের প্রবণতা: লেবু ডায়ুরেটিকের মতো কাজ করে, যা অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণ হতে পারে এবং শরীরে পানিশূন্যতা ঘটাতে পারে।
৪. পেটে ব্যথা: খালি পেটে লেবুর শরবত পান করলে পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
৫. এলার্জি প্রতিক্রিয়া: কারো কারো ক্ষেত্রে লেবুতে অ্যালার্জি হতে পারে, যার ফলে ত্বকের চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, লেবুর শরবত নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে পান করলে তা উপকারী, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
লেবুর অপকারিতাগুলো
লেবুতে যেমন অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন আপনি যদি অধিক পরিমাণে লেবু
খেয়ে থাকেন তাহলে তার কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা দিতে
পারে।
- সরাসরি লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সরাসরি লেবু খাওয়ার ফলে আপনার দাতের আনামেল নষ্ট করে দিবে যার ফলে যার ফলে আপনার দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করবে।
- দাতে সেনসেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গ্যাসের সমসসা থাকলে লেবু খাবেন না কারন সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
- বেশী পান করলে আপনার শরীর থেকে প্রসাবের চাপ বেশী আসবে যার ফলে শরীর থেকে খনিজ লবণ বের হয়ে যাবে।
লেখকের শেষকথাঃ লেবুর উপকারিতা কি কি
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি লেবুর উপকারিতা কি কি সে
সম্পর্কে। লেবু খেলে কি কি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। তাই আপনাদের কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা কমেন্ট করুন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url