১৬টি ঘরে বসে আয় করার কৌশল: সহজে ও দ্রুত আয় করুন

ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে ঘরে বসে আয় করবেন সে উপায় সম্পর্কে।বর্তমান যুগে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে। 

ঘরে- বসে -আয় -করার -উপায়

আপনার যদি কোনো ভালো স্কিল থাকে তাহলে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা আরো সহজ হয়ে যায়।  এইসব স্কিলগুলকে কাজে লাাগাতে পারলে খুব সহজেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। আজকের এই পোস্ট টিতে আমরা আলোচনা করবো ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে।  

পোস্ট সূচীপত্র ঃ ঘরে বসে আয় করার উপায়

ঘরে বসে আয় করার উপায়

আপনারা অনেকেই জানতে চান ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগ হওয়ার কারণে সব কিছুই আমাদের হাতের মুঠোয়। নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম্ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সবাই সোশাল মিডিয়া বেব ব্যবহার করার কারণে ঘরে বসে টাকা আয় করা আরো অনেক সহজ হয়েছে। 

আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে ঘরে বসে অনেক টাকা ইনকাম করবেন সে উপায় সম্পর্কে। তো চলুন বিষয়গুলো কি কি তা  জেনে নেওয়া যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম 

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার স্কিলকে কাজে লাগিয়ে মাসে লাখ টাকার ও বেশী টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনার অবশ্যই কোনো না কোনো স্কিল বা দক্ষতা থাকতেই হবে।যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব-ডেভেলপমেন্ট,ডেটা-অ্যানালিটিক্স,মার্কেটিং, লেখালেখি, অনুবাদ ,প্রোগ্রামিং ইত্যাদি। 

আপনার যদি নিচে আলোচনা করা কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অন্যজনের কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনারা কাজ করতে পারবেন। 

যেমন- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক ইত্যাদিতে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি ভালো স্কিল না থাকে তাহলে এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন না। এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশী হওয়ার কারণে আপনাকে ভালভাবে স্কিল অর্জন করা লাগবে। আশা করি নিচের বিষয়গুলো পড়লে ভালভাবে বুঝতে পারবেন। 

ব্লগিং করে ইনকাম

আমরা যখন কোনো একটি ব্লগ  তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল বা পোস্ট লেখার মাধ্যমে কোনো তথ্য শেয়ার করি। মানুষেরা যখন সেই ব্লগ পরতে আসে তখ্ন যে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসে। এই ভিজিটরই হল ব্লগের মাধ্যমে টাকা আয়ের উৎস।  আর এই ভিজিটরের উপর নির্ভর করে আপনি ওয়েবসাইট থেকে কতো টাকা আয় করতে পারবেন।  

এজন্য আপনাকে ভালোভাবে লেখার দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাপুর্ন হতে হবে। মানুষ গুগলের কাছে কোন বিষয়গুলো বেশী জানতে চায় সেইসব ধারণা থাকতে এবং সেইসব বিষয়গুলো নিয়ে পোস্ট লিখতে হবে। এইসব লেখালেখির পর আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর আসা শুরু করলে Google AdSense, Affiliate Marketing, Sponsored Post এর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম 

যদি কেউ অন্য কারো কোনো কিছু বিক্রয় করতে সাহায্য করে থাকেন তাহলে তাকে ফলস্রুরুপ তাকে জিনিষটা বিক্রি করার জন্য তাকে কিছু কমিশন দেওয়া হয় একেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট যার সাহায্য আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

এবং আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনদের জান্যানোর মাধ্যমে  মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কিছু এমন প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে যা ক্রেতারা পছন্দ করবে। তারপর সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার বন্ধুবান্ধব বা সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করবেন।

তারপর সেইসব বিজ্ঞাপন দেখার পর কেও যদি সেই পণ্য কিনে তাহলে আপনার আয় হবে। এইভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব । 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করে আয়

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হচ্ছে এমন একজন স্বাধীন ব্যক্তি যিনি কোনো অফিসে না গিয়ে বাসায় বসে ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। বাসা থেকেই সকল কাজ সম্পন্ন করেন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করেন যিনি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় এক্সেস দুরে থেকেই পরিচালনা করতে পারবেন। আর আপনারা এই কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 
 
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে যারা নিযুক্ত হয় তারা বেশীর্ভাগ অফিস ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতে হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করে আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন সেইটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞর্তার উপর। বিগিনার হিসাবে কাজ করে ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৪-৫ ডলার আয় করা যায় । 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ৮ টা ক্যাটাগরিতে বিভক্ত--

  • ওয়েব রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ডাটা এন্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • বুক কিপিং অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • মার্কেটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • রিয়েল এস্টেট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • ই-কমার্স ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

উইটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম

উইটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে?উইটিউব থেকে আপনি যদি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে প্রথ্মে আপনাকে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর ধরুন আপনি ভালো গিটার বাজাতে পারেন। তাহলে সেই গিটার বাজা্নোর একটা ভিডিও করে ভালো করে ইডিট করে উইটিউবে আপলোড করতে হবে। 

 উইটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনার 

  • 1000 সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে
  •  4000 ঘন্টা ভিউ থাকতে হবে আপনার চ্যানেলে
  • 1000 সাবস্ক্রাইবার  +4000 ঘন্টা ভিউ এই দুটি শর্ত এক বছরের মাঝে সম্পন্ন করতে হবে
  •  10 লাখ ভিউ থাকা প্রয়োজন ইউ টিউব শর্টসে
  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যেকোনো ধরনের কপিরাইট বা  স্ট্রাইক যেন না থাকে
  • আপনার চ্যানেলে যেন ইউটিউব শর্তাবলী লঙ্ঘন না করা হয়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম্

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য কোনো কন্টেন্ট তৈরি করে তা শেয়ার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট- টেক্সট,ছবি ইত্যাদি তৈ্রির মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কে সংক্ষেপে বলা হয় (SMM)।পৃথিবীর প্রায় ৫১% মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ রয়েছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে কাজ করলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন এছারা আপনি যদি নিজের ব্যাবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার পণ্য বিক্রয় অনেক বেশী পরিমাণে হবে। এবং আপনার নিজের বিজনেস করার জন্য এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনি কি পরিমানে টাকা ইনকাম করবেন তা সম্পুর্ন নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা , অভিজ্ঞতা , এবং কাজের পরিমাণের উপর।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসাবে কাজ করে মাসে আপনি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনার নিজের ব্যাবসার জন্য যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন তাহলে আরো বেশী টাকা ইনকাম করা সম্ভব । 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সাধারণত ৪ প্রকার 

  • অর্গানিক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

প্রোগ্রামিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম্

ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজ হল প্রোগ্রামিং। এই কাজের চাহিদা অনেক বেশী কিন্তু এই কাজের জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ খুবই কম। এই কাজ অনেকটা জটিল আকারের তাই এই কাজের জন্য দক্ষ ফিলান্সার অনেক কম। এজন্য সফল হতে চাইলে যে কাজে প্রতিযোগিতা কম সেইসকল কাজ করুন এতে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী হয়ে যায় । 

এই প্রোগ্রামিং একটু ঝামেলা টাইপ হওয়ার কারণে অনেকেই এতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। প্রোগ্রামিং করার জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে। যা জানার পরে এবং ভালভাবে বুঝার পরে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। তো চলুন জেনে আসি ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে। 

পাইথন
পাইথন জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। পাইথ্নের সব ফিচার বা এবং সিনটআস্ক অনেক সহজ প্রকিতির।  তাই এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা অনেক সহজ। বর্তমানে গুগল,ইন্টেল,মাইক্রোসফট, নেটফ্লিক্স,ইত্যাদির মতো বড় বড় কোম্পানিগুলো পাইথন ব্যবহার করেন । 

জাভা 
১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম জাভা রিলিজ করা হয়। বর্তমানে এই জাভা ল্যাঙ্গুয়েজ পরিচালনা করেন ওরাকল। জাভা অনেক গোছানো হওয়ার কারণে কাজ করার সময় সময় কম লাগে এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয় ।

 জাভাস্ক্রিপ্ট
জাভাস্ক্রিপ্ট একটা জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বর্তমানে ওয়েবসাইটগুলো জাভাস্ক্রিপ্ট ছারা কল্পনাই করা যায় না। ১৯৯৫ সালে জাভাস্ক্রিপ্ট রিলিজ করা হয়। একটি ওয়েবসাইটর ৯৮% নিয়ন্ত্রন করে এই জাভাস্ক্রিপ্ট।জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে গুগল, নেটফ্লিক্স, পে পাল কোম্পানি তাদের টেকনোলজি ম্যানেজ করে। 

SQL
বর্তমান বিশ্বে যতগুলো ডাটাবেজ ল্যাঙ্গুয়েজ আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে উপরে অবস্থান করতেছে SQL। SQL সবার শীর্ষে থাকার কারণ হলো ডাটাবেজ মেনেজ করার জন্য যা যা লাগবে তার সব ফিচার আছে এই SQL এর মধ্যে। এই ডাটাবেজ সব রকমের প্ল্যাটফর্ম এর জন্য উপযোগী। অ্যাডভান্স লেভেলের ডাটা নালাইসিস করার জন্য SQL ব্যবহার করা হয়। 

উপরে দেওয়া যেকোনো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যদি আপনি আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে আপনি প্রোগ্রামিং করে মাসে ৫-১০ লাখ টাকা সর্বনিম্ন ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনার যদি হাতে কিছু শেখার সময় আর আগ্রহ থাকে তাহলে উপরের কয়েকটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সর্বনিম্ন একটা ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারেন। 

এই প্রোগ্রামিং কাজে আপনি যখ্ন দক্ষ হয়ে উঠবেন তখ্ন আপনি ঘন্টায় সর্বনিম্ন ১০০-১৫০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন । এবং ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম্ 

কোনো ওয়েবসাইট আপনা আপনি তৈরি হয় না তাকে তৈরি করে নিতে হয়। আর কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করাই হল ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ। কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করার পর তাকে সুন্দর করে ডিজাইন করার ম্যধমে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ করে থাকেন ওয়েব ডেভলপার।

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটের চাহিদা অনেক বেশী এবং ভবিষ্যৎে এর চাহিদা আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অন্যতম। তাই আপনি যদি অনেক বেশী টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আমার মতে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে পেশা হিসাবে নিতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে একজন ডেভেলপার মাসে সর্বনিম্ন ১ থেকে ৫ লাখ টাকা ইনকাম করেন । 

একজন ওয়েব ওয়েব ডেভেলপারকে নিম্নে উল্লিখিত বিষয়ের আন্ডারে কাজ করতে হয় --

  • ডাটাবেজ
  • সার্ভার-সাইড
  • ক্লায়েন্ট সাইড

ডাটাবেজ
ডাটাবেজ কোনো ওয়েবসাইটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্ট। ডাটাবেজের মধ্যে একটা ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইল আপলোড করা হয়। এই ডাটাবেজে ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণ এর কাজ করে থাকে ডাটাবেজ। একটা ওয়েবসাইটকে তখনই ইন্টারনেট এ পাওয়া যায় যখন একজন ওয়েব ডেভেলপার ডাটাবেজটি সার্ভারে প্রদান করে । 

সার্ভার-সাইড
সার্ভার-সাইড পয়েন্ট এ ফ্রন্ট এবং কোড আকারে কাস্টমাইজড করা হয়। সার্ভার-সাইড ব্যবহার করা হয়ে থাকে ডেটা সংরক্ষণ এবং ডাটা কালেক্ট করার জন্য।সার্ভার-সাইড সাধারণ্ত তৈরি করা হয় কোনো ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট পেইজ তৈরি করতে। যাতে ইউজাররা খুব স্হজেই ওয়েবসাইটের মালিকের্ সাথে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই যোগাযোগ করতে পারেন । 

ক্লায়েন্ট সাইড
ক্লায়েন্ট সাইড হলো একটি কোড যা কার্যকারী হওয়ার পর একটি ওয়েবসাইটে কি কি দেখতে পারবে তা ফিক্সড করে দেওয়া হয়। লেআউট, ফন্ট,রঙ,মেনু এবং প্রয়োজনীয় পেইজগুলি ক্লায়েন্ট সাইড এর সাথে সবচেয়ে বেশী জড়িত । 
ঘরে- বসে -আয় -করার -উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম্ 

গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে  কোনো কিছু ডিজাইন করাকে বোঝায়। আর যিনি ডিজাইন করেন তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার বলা হয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটা প্রোজেক্ট এর জন্য ১০০ থেকে ১০০০ ডলার পেয়ে থাকেন।এছাড়া তিনি যদি কোনো অনলাইন বা অফলাইন কোনো গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স বা ডিজাইন বিক্রি করে আয় করার উপায় থাকছেই। 

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি একটা বিশাল এরিয়ার মাঝে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর্ট অফ কমিউনিকেশন বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে লোগো ব্রান্ডিং ম্যাগাজিন, সাইন ,বই ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে পরে। আপনারা গ্রাফিক ডিজাইন করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনার যেসব কাজ করতে পারবেন

  • UX গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম 
  • অ্যাপস, ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম
  • ফন্ট, টেমপ্লেট গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয়
  • লোগো ডিজাইন করে আয়
  • টি-শার্ট ও মগ ডিজাইন বিক্রি করে আয়
  • পোস্টার, ব্যানার ও লেবেল ডিজাইন করে আয়
  • কভার ফটো ডিজাইন থেকে আয়
  • বিজনেস কার্ড/ক্যালেন্ডার/ফুড মেন্যু ডিজাইন
  • অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রতিযোগিতা
  • ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয়

UX গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটা হল UX ডিজাইন। UX বা User Experience হলো একটা অ্যাপস বা সফটওয়্যার। এর মধ্যে ঠিক করে দেওয়া যে একজন ব্যবহারকারী তা কতোটা সহজে ব্যবহার করবে তা নিদিষ্ট করে দেওয়া। ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করাই ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর মুল লক্ষ্য । 

অ্যাপস, ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম

যেকোনো কিছু শুধু ডিজাইন করেই একজন ডিজাইনার মাসে অনেক টাকা ইনকাম করেন। এছাড়া আপনি যদি অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ডিজাইন করেন তাহলে মাসে আপনি অনায়াসে মাসে লাখ টাকার বেশী ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ডিজাইন আয়ত্ত করতে হবে। বর্তমানে এই পৃথিবীতে ওয়েবসাইট আছে 1.2 বিলিয়ন । 

দিনে দিনে ওয়েবসাইটের চাহিদা আরো ব্লহুগুনে বেড়ে যাবে। তাই এইসব ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন ওয়েব ডিজাইনার। পরিসংখ্যানে দেখা যায় একজন ওয়েব ডিজাইনারের বেতন 80000$ . আর একজন ওয়েব ডিজাইনারের মাসে ইনকাম করেন প্রায়  প্রায় 40000 ৳ এবং সর্বোচ্চ বেতন পেতে পারেন  8000$। 

  • শুধু আমেরিকাতেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ২০ মিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে ।
  • পৃথিবীতে প্রতিমাসে ১৫-১৭ মিলিয়ন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় । 

অনলাইন টিউটরিং করে ইনকাম

আপনি যদি একজন ভালো ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইন বা অফলাইনে টিউটোরিয়াল হিসাবে কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন । টিউটর হিসাবে কাজ করলে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি আপনি যদি একজকে পড়িয়ে ৩ হাজার টাকা পান তাহলে সেখানে ১০ টা পড়াতে পারলে ৩*১০=৩০ হাজার টাকা ।

আর যদি ব্যাচ আকারে পড়াতে পারেন তাহলে প্রত্যেক ব্যা্চ থেকে মিনিমাম ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছারাও আপনি যদি লেখালেখিতে একটু ভালো হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে নিজের ব্লগ লিখে পোস্ট করতে পারেন । 

অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম্ 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন সার্ভে । এতে তেমন কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই ।একটা কোম্পানি কি ধরনের পণ্য তৈরি করবে পণ্যটি কেমন হলে ভালো হবে কি রকম ডিজাইন করলে তা আকর্ষণীয় হবে এইসব বিষয় জানার জন্য কোম্পানি প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করেন এবং এর উওর জানতে চান ।

একেই বলে সার্ভে কিন্তু অনলাইনে মানুষের প্রতিনিধিত্ব বেশী তাই এই জিনিষটা অনলাইনে করার ফলে অনলাইন সার্ভে বলা হয় ।অনলাইন সার্ভেতে কাজ স্থায়ী নয় । কারণ এতে কাজ করে মাসে আপনি সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন । আপনার যদি হাত খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি এই কাজ করতে পারেন 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আয়

আপনার যদি কোনো স্কিল থাকে এবং আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করার কথা ভাবছেন তাহলে আজকের এই পোস্ট টি আপনার জন্যই এই কাজ করার জন্য আপনার প্রয়জন হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ , ইন্টারনেট , আর কিছু পরিশ্রম । এই কাজ করে আপনি পুরো পৃথিবী থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এখ্ন আমরা তো এখনো জানি না যে ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি ??

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো এমন এক ধরনের সম্পদ যা স্পর্শ করা যায় না এবং যা বিক্রয় বা বিতরণ করার ফিজিক্যাল ইনভেন্টরির প্রয়োজন হয় না । এবং যা পিডিএফস, এমপিথ্রি, ভিডিও, সফটওয়্যার, টেমপ্লেট প্রভৃতি আকারে হয়ে থাকে। 

ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের সুবিধা-

  • সময় বাঁচে
  • অর্থ সাশ্রয় হয় 
  • স্ক্যালেবল
  • নমনীয়তা 
  • সুবিধা বেশী 
ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের অসুবিধা এক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা অনেক বেশী । 

একজন রিসেলার হয়ে হয়ে টাকা ইনকাম 

রিসেলার হলো ধরুন আপনি কোনো কোম্পানির পণ্য ১০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলেন ১ দিন পর সেই পণ্য ১২০ টাকায় বিক্রি করলেন এইখানে যে আপনার ২০ টাকা লাভ হল এইভাবে সাধারণত একজন রিসেলার ইনকাম করে থাকেন । বর্তমান যুগ অনলাইন যুগ । আর অনলাইনের মাদ্ধমে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে রিসেলার হয়ে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ । 

টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে হাতে সময় থাকতে হবে আর ধৈর্যধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে । তাহলে আপনি রিসেলার হয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । 
এই বিজনেস করার জন্য আপনি উৎপাদক এবং কাস্টমারের মধ্যে একজন মিডিল ম্যান হিসাবে কাজ করবেন ।

কাস্টমারের কাছে থেকে অর্ডার নিয়ে আপনি যদি কোনো পণ্য ২০ টাকা করে কিনেন তাহলে তা  কাস্টমারের কছে ২৫ টাকা বি্ক্রি করবেন তাহলে প্রত্যক পিছে ৫ টাকা করে লাভ হবে এইভাবে আপনি রিসেলার বিজনেস করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এই বিজনেসে কোনো প্রকার পণ্য উৎপাদনের বা গুদামজাতের ঝামেলা নাই । 

কেন আপনি রিসেলার বিজনেস করবেন?

রিসেলার বিজনেস করার অনেকগুলো কারনগুলো হল 
  • শুরু করা সহজ
  • ভ্যারাইটি রেঞ্জ অফ প্রোডাক্ট
  • ইনভেন্টরি বা স্টক হোল্ডের সমস্যা নেই
  • প্রফিট মার্জিন নিজেই ঠিক করতে পারেন
  • ফিনান্সিয়াল রিস্ক কম থাকে
  • কম সময় ব্যয় করতে হয়

 শুরু করা সহজ

যেকোনো বিজনেস শুরু করতে প্রয়োজন হয় টাকা । আর একজন নতুন মানুষ যিনি কোনো বিজনেস শুরু করতে চান তার কাছে টাকা ম্যানেজ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর আপনি যদি রিসেলার বিজনেস করেন আপনার কোনো মুল্ধনের প্রয়োজন নেই।

আর এই বিজনেসে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু হয়। আপনি যেদিন থেকে এই বিজনেস শুরু করবেন সেইদিন থেকেই আপনার বিক্রি শুরু হতে পারে । 

ভ্যারাইটি রেঞ্জ অফ প্রোডাক্ট

আপনি যদি একজন রিসেলার হন তাহলে আপনি কয়েকটি না অনেকগুলো প্রোডাক্ট একসাথে বিক্রয় করতে পারবেন । যদি আপনি ধানের বিজনেস করতে থাকেন যদি সেই বিজনেস ভা্লোভাবে চলতে থাকে তাহলে আপনি ধানের পাশাপাশি গমের বিজনেস শুরু করতে পারেন।     

ইনভেন্টরি বা স্টক হোল্ডের সমস্যা নেই

এই বিজনেসে কোনো প্রোডাক্ট স্টক বা গুদামজাত করার কোনো ঝামেলা নেই। ফলে আলাদা করে কোনো জায়গা ব্যবস্থা করতে হয় না ফলে আপনার ঐ গুদামজাতের জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না এছাড়াও কোনো প্রকার চাপ থাকবে না আপনার উপরে 

প্রফিট মার্জিন নিজেই ঠিক করতে পারেন

একজন রিসেলার হিসাবে আপনি আপনার প্রফিট ঠিক করবেন। আপনার যেইরকম দাম নিতে ইচ্ছা আপনি সেইরমকম দাম ঠিক করতে পারবেন । রিসেল প্রোডাক্ট এর দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে তাই কতোটা  প্রফিট রাখলে আপনার বিজনেসের উন্নতি হবে তা আপনি ধারনা করতে পারবেন । 

ফিনান্সিয়াল রিস্ক কম থাকে

যারা নতুন বিজনেস বা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহি তারা এই বিজনেস করতে পারেন কেনোনা এই বিজনেসে  ফিনান্সিল রিস্ক অনেক কম থাকে । কারণ আপনাকে কোনো পণ্য প্যাকেজ করার জন্য কোনোরকম খরচা করতে হয় না । আপনাকে শুধু কাস্টমার আপনার থেকে যে পণ্য অর্ডার করবেন সেই প্রোডাক্ট এর জন্য পেমেন্ট করতে হবে । তাই নতু্নদের জন্য এই রিসেলার বিজনেস উত্তম ।

কম সময় ব্যয় করতে হয়

যারা রিসেলার হিসাবে কাজ করেন তাদেরকে বেশীর্ভাগ সময় কাজ করতে হয় না কারণ এটা অটোমেটেড কাজ করে। এতে আপনি পাশাপাশি আরো কিছু করতে পারবেন। তাই আপনি যদি এটাকে পেশা হিসাবে নেন আপনি মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন । 

একজন  ফটোগ্রাফার হয়ে ইনকাম করুন 

দক্ষতার সাথে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে ছবি তোলাকে ফটোগ্রাফি বলা হয়। সবাই কিন্তু ছবি তুলতে পারে কিন্তু ফটোগ্রাফি সবাই পারে না। সাধারনভাবে ছবি তোলা আর ফটোগ্রাফি কিন্তু এক জিনিষ নয়।ফটোগ্রাফি করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয় । এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য প্রচুর দক্ষতা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। 

এছারাও এমন কিছু দক্ষতা প্রয়োজন যা কোনো সাধারণ ছবিকে বিশেষ ছবিতে রূপান্তর করবে। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ছবি তোলার দক্ষতা প্রয়োজন একজন ফটোগ্রাফারের। আজকাল অনেকেই এই ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসাবে নিয়ে মাসে লাখ টাকার বেশি টাকা ইনকাম ্করতেছে।

আপনি যদি ফটোগ্রাফি শিখতে চান তাহলে আপনাকে বেসিক থেকে শুরু করে সকল খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে হবে নিচে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো ঃ 

ক্যামেরা সম্পর্কে জানুন

ক্যামেরার মধ্যে কি কি আছে সকল খুটিনাটি সম্পর্কে ধারণা নিন। আপনার কছে যে ক্যামেরাই থাকুক না কেন সেটা সম্পর্কে জানুন । ক্যামেরার setting , mode , featured সকল বিষয় ঘাঁটাঘাঁটি করুন । 

বেসিক শিখুন

ফটোগ্রাফি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেসিক সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে  এবং  aperture, shutter speed, ISO, effect এইসব বিষয় ভালোভাবে  দক্ষতা অর্জন  করতে হবে । 

ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করুন

ফটোগ্রাফি শিখতে হলে আপনাকে ফটোগ্রাফি জগৎ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এজন্য আপনি ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত নানা রকমের বই পড়তে পারেন। ফেসবুক,ইউটিউব ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে পারেন, বিভিন্ন ওয়ার্কশপে ফটোগ্রাফির কাজ করতে পারেন, ফটোগ্রাফির জন্য কোর্স করতে পারেন । 

প্রতিদিন প্র‍্যাকটিস করুন

যেকোনো বিষয় ভালোভাবে শেখার জন্য তা বার বার প্র‍্যাকটিস করা প্রয়োজন। এজন্য আপনি যদি ফটোগ্রাফি ভালোভাবে শিখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত প্র‍্যাকটিস করতে হবে। এতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভুলগুলো বুঝতে পারবেন । 

এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করুন

ফটোগ্রাফি শিখতে হলে আপনাকে ভালো ইডিট করা জানতে হবে। আপনি যদি ভালো ছবি এডিট করতে পারেন তাহলে আপনার ফটোগ্রাফি আর এডিটিং স্কিল আপনাকে অন্য লেভেলে নিয়ে যাবে । বর্তমানে ছবি এডিট করার জন্য অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো যেমন Adobe lightroom, Photoshop , photopea যেগুলো দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ছবি এডিট করতে পারবেন ।

এই এডিটিং সফটওয়্যার গুলো বেশী করে ব্যবহার করতে হবে এবং এই সফটওয়্যার এর সকল বিষয় আয়ত্ত করতে হবে । 

নিজের কাজগুলো রিভিউ করুন

নিজের তোলা ছবি নিজেকে রিভিউ করতে হবে । ছবির মধ্যে কি ভুল আছে তা খুজে বের করে সংশোধন করুন এবং বার বার প্রাকটিস করুন । 

ট্রাভেল ও এক্সপ্লোর করুন

আপনি যদি ফটোগ্রাফি তে দক্ষ হতে চান তাহলে আপনাকে বেশী বেশী ভ্রমণ করে জায়গা বা প্রকিতির ছবি ধারণ করতে হবে। আপনি যতো বেশী ভ্রমণ করবেন ততো বেশী জায়গা দেখতে পারবেন এবং জায়গাগুলোর ছবি তুলতে পারবেন। বেশী ভ্রমন করলে খুব কম দিনেই ফটোগ্রাফি তে আপনার দক্ষতা চলে আসবে । 

ফটোগ্রাফি আপনাকে আয়ত্ত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যধারণ করতে হবে কারণ এটা শিখতে ভালোই সময় লাগবে । তাছাড়া আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে । 

ভিডিও এডিটর হিসাবে কাজ করে ইনকাম করুন 

বর্তমান আধুনিক যুগ তাই বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ওপেন করলেই আমাদের সামনে নানারকম ভিডিও চলে আসে। যা প্রাচীনকালে ছিল কল্পনা । প্রযুক্তির কল্যানে অনেক নতুন কিছু উদ্ভাবন হয়েছে। বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর অনেক চাহিদা কারণ ভিডিও যত বেশী স্পষ্ট হবে মানুষ ততো বেশী তা পছন্দ করবে । 

কিভাবে এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করবেন 

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কাজ করে 
  • বিবাহ ভিডিও ফুটেজ এডিটিং
  • ভিডিও এডিটিং কোর্স করে ইনকাম 
  • ব্লগ এডিটিং করে ইনকাম 
  • ইউটিউবারদের ভিডিও এডিটিং করে 
  • বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এডিটিং করে  

এসইও এক্সপার্ট হয়ে টাকা ইনকাম 

বর্তমানে মানুষ অনলাইনে  নানারকমভাবে টাকা ইনকাম করেন। বর্তমানে SEO করে অনেক টাকা ইনকাম করেন। আপনি যদি ভালোভাবে SEO করতে পারেন তাহলে আপনিও মাসে লক্ষাধিক অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এজন্য আপনাকে ভালভাবে SEO জানতে হবে। SEO হলো SEARCH ENGINE OPTIMIZATION। 

যখন কোনো ব্লগার কোনো বিষয়ে পোস্ট লিখে তা গুগলে পাবলিশ করে তা কিন্তু প্রথমে সবার কাছে পোঁছায় না এই পোস্টগুলো SEO করার পর তা মানুষদের কছে পোঁছায়। 

এছাড়া SEO শিখে অনেকভাবে টাকা ইনকাম করা যায় 

  • SEO শিখে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন 
  • ই কমার্স SEO  করে টাকা ইনকাম
  • SEO শিখে নানারকম বিদেশী কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন 
  • SEO জানলে আপনি যেকোনো অফিসিয়ালের মার্কেটিং করতে পারবেন 
  • SEO জানল আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন । 

ঘরে- বসে -আয় -করার -উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম 

বর্তমানে ডিজিটল মার্কেটার মাসে লাখ টাকা ইনকাম করেন। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে অনেক প্রকারের কাজ আছে এবং আপনি যে বিষয়ে দক্ষ আপনি সেই বিষয়ে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি ডিজিটল মার্কেটিং কে পেশা হিসাবে নেন আপনি কিছুদিন পর হাই লেভেলের লাইফ লিড করবেন কেননা আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক অর্থ উপার্জন করবেন 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি 

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানুষদের কছে কোনো পণ্যর জানান দেওয়ার উপায় বা প্রন্থা। বর্তমানে মানুষ সবচেয়ে বেশী সময় কাটায় অনলাইনে। করোনার পর এই অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ব্লহুগুনে। তাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরতে পারবেন বিপুল পরিমাণ মানুষদের সামনে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন

যেকোনো ব্যাবসার  জন্য পণ্যের প্রচার বা বিক্রয় করার জন্য মার্কেটিং করা প্রয়োজন। এখন এই যুগে কোনো পণ্য বা প্রতিষ্ঠান মার্কেইং করা ব্যাতিত তার কোনো গতি নেই। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর  মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট আনুযায়ি অডিয়েন্সের কাছে অ্যাড পৌছাতে পারবেন বর্তমানে কোনো প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে হলে প্রিন্ট এড, ফি্জিকাল মার্কেটিং ব্যবহার করতে হয় । 

এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি কোনো নিদিষ্ট বয়সের মানুষদের কাছে পণ্যর প্রচার করতে পারবেন । যারা নির্দিষ্ট  কোনো প্রোডাক্ট কিনতে চায় এই মাধ্যমে তাদের কাছে মার্কেটিং করা যায় । প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতিতে অনেক টাকা ব্য্যয় হয় কোনো পণ্য বিপণ্ন, প্রচার , গুদামজাতের জন্য । কিন্তু আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন--

তাহলে আপনি আপনার টার্গেট অনুযায়ী মানুষদের কাছে আপনার পন্যর প্রচার করতে পারবেন। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে কোনো অডিয়েন্সের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী কোনো অ্যাড তাদের সামনে তুলে ধুরা যায় । যার ফলে সেই পণ্য যার দরকার সে এই পণ্য ক্রয় করতে পারবে । আর আপনি যদি বাস্তবে কোনো টার্গেট অনুযায়ী মানুষদের কাছে 

আপনার পণ্যর মার্কেটিং করতে চান তাহলে সেইটা হবে অনেক কষ্টসাধ্য এবং বায়বহুল। আপনি যদি ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন তাহলে আপনার অ্যাডগুলো আপনার টার্গেট অনুযায়ী অডিয়েন্সের কাছে পৌছাবে। যারা মুলত এই বিষয়ে আগ্রহ দেখান উক্ত পণ্য সম্পর্কে তাদের কাছেই বিজ্ঞাপন যাবে । 

এটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা । এগুলোই হচ্ছে ঘরে বসে আয় করার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং আবার দুই প্রকার 

  • অনলাইন মার্কেটিং 
  • অফলাইন মার্কেটিং

অনলাইন মার্কেটিং গুলো হলো ঃ 

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • পে-পার ক্লিক এডভার্টাইজিং
  • ইমেইল মার্কেটিং

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারে সার্চ ইঞ্জিন। এবং সার্চ ইঞ্জিন হল সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রাটেজি। SEO হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে এমনভাবে সাজানো হয় যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো জানতে পারে আপনি কন্টেন্ট এর মধ্য কি কি আছে এবং যারা যার গুগলে সার্চ করছেন তাদের কি ওয়ার্ড এর সাথে মিলিয়ে ওয়েবসাইটকে অপটি করার প্রক্রিয়াকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

সার্চ মার্কেটিং হল এমন এক প্রসেস। যা ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক গেইন করা হয়ে থাকে । আবার ট্রাফিক দুই মাধ্যমে সম্পন্ন হয় পেইড এবং আন-পেইড। অ্থ্যাৎ আমরা যখন গুগলে কোনো কিছু জানার জন্য সার্চ করি তখ্ন দুই ধরনের রেজাল্ট দেখায় । যেগলো কন্টেন্ট পেইড সেগুলোতে (AD) লেখা থাকে । আর যেগুলো আনপেইড সেগুলো SEO এর আওয়ায় পড়ে । 

কন্টেন্ট মার্কেটিং 

কন্টেন্ট মার্কেটিং হল উপায় যেখানে কন্টেন্টের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ নির্ভুল এবং আকর্ষণীয় ,মূল্যবান সব তথ্য যুক্ত করে অডিয়েন্সকে কিছু পণ্য বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে আকৃষ্ট করা। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কাস্টমারদের লাভজনক কাস্টমারে রূপান্তর করাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। কন্টেন্ট মার্কেটিং 
করার মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সচেয়ে জনপ্রিয় দিক কেনোনা মানুষ এখন প্রায় সময় অনলাইনে থাকে। একজন মার্কেটার এর জন্য সচেয়ে ভালো স্থান হচ্ছে সোশাল মিডিয়া। আপনি ফেসবুক,টুইটার,ইন্সট্রাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম এ কাজ করে খুব অল্প পরিমাণ অর্থ খরচ করে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনার মার্কেটিং করতে পারবেন ।

পে-পার ক্লিক এডভার্টাইজিং

পে-পার ক্লিক এডভার্টাইজিং হচ্ছে মার্কেটিং এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র । যারা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য কাজ করেন তাদের জন্য পে-পার ক্লিক এডভার্টাইজিং একটা বিশেষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে অ্যাডে প্রতিটি ক্লিকের জন্য টাকা দিতে হয় ।

ইমেইল মার্কেটিং 

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করা। এই পদ্ধতিতে টার্গেট অডিয়েন্সের মেইলে কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে ইমেইল মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় । আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ভালো মানের ইমেইল ডিজাইনার হতে হবে । এইভাবে ইমেইল মার্কেটিং করে অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করেন। এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে ।

অনলাইন সার্ভে করে আয় করার উপায়

অনলাইন সার্ভে করে আয় করার উপায় সম্পর্কে এখন অনেকেই জানেন না। অনলাইন সার্ভে করে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটা  বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। তারপর আপনাকে সেই  বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম এ নিবন্ধ্ন করতে হবে। তারপর আপনাকে প্রফাইল তথ্য পূরণ করতে হবে এবং সার্ভে সম্পন্ন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে হবে। 

সার্ভে সম্পন্ন করার পর আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হবে এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সময় ব্যয় করতে হবে। 

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। মেয়েরা বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন এই যুগে কিন্তু হাতে মোবাইল থাকা লাগবে এবং কিছু কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মেয়েরা ঘরে বসে আয় করার জন্য ফ্রিলান্সিং করার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারবেন। 

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই ্লিঙ্ক এ ক্লিক করুন। 

লেখকের শেষকথাঃ ঘরে বসে আয় করার উপায়

আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে। আপনারা যদি উপরের যেকোনো এক বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url