আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য সেরা ১০টি কৌশল ও টিপস
কম খরচে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
আপনারা কি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাবেন সে উপায় সম্পর্কে। আমেরিকা খুব উন্নতশীল একটা দেশ। আমেরিকা দেশে জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত তেমনি আমেরিকা তে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ।
আমেরিকা কোনো স্থায়ীয় বাসিন্দা প্রবেশের সময় গ্রিন কার্ড দেখানোর প্রয়োজন হয়। এই গ্রিন কার্ড দিয়ে আপনারা আমেরিকার বিমানে উঠার সময় অথবা আমেরিকাতে ঢুকার সময় গ্রিন কার্ড দেখানোর প্রয়োজন হয়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়।
পেইজ সুচিপত্রঃ আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়
- গ্রিন কার্ড কি?
- বিয়ের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়
- পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করার মাধ্যমে গ্রিন কার্ড
- পরিবার-ভিত্তিক ভিসার মাধ্যমে গ্রিন কার্ড
- আমেরিকান গ্রীন কার্ডের সুবিধা
- শেষকথা
গ্রিন কার্ড কি?
আমেরিকার প্রতিটি নাগরিকদের গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। গ্রিন কার্ড হচ্ছে
একটা প্লাস্টিকের এক কার্ড যা সবুজ রং হওয়ার কারণে গ্রিন কার্ড বলা হয়।
এই গ্রিন কার্ড যাদের কা্ছে রয়েছে তারা পেয়ে যান আমেরিকায় নানারকম সুযোগ
সুবিধা। এই কার্ড এর জন্য সবাইকে অনুমতি প্রদান করা হয় না। যাদের কাছে এই গ্রিন
কার্ড রয়েছে তারা ভোগ করেন নানান সুবিধা।
বিয়ের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়
বিয়ের মাধ্যমে আপনি যদি আমেরিকার গ্রিন কার্ড খুব সহজেই পেতে চান তাহলে আপনাকে আমেরিকার যেকোনো একটা
মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য বিয়ের পরে আপনাকে
কিছু ধাপ সম্পন্ন করা লাগবে। আপণি যাকে বিয়ে করবেন তাকে ঐ দেশের সরকারকে কিছু
তথ্য দিতে হবে।
যেমন জন্ম নিবন্ধন,নেচারালাইজেশন সার্টিফিকেট কপি অথবা বৈধ
ইউএস পাসপোর্টের ফটোকপি অথবা স্পন্সর পক্ষের গ্রিন কার্ডের কপি। আপনারা যে বিবাহ করেছেন তা যে সম্পূর্ণ বৈধ তার প্রমান হিসাবে ম্যারেজ
সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগবে এবং ম্যারেজ সার্টিফিকেট এ আপনার বিবাহের স্থান
এবং তারিখ উল্লেখ থাকা লাগবে।
আপনারা যে বিবাহ করেছেন তা কোনো প্রতারনা নয় এটা
প্রমান করার জন্য আপনাকে জয়েন্ট লীজ, জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট এবং একসাথে
তোলা ছবি দেখাতে হবে। এভাবে আপনারা খুব সহজেই আমেরিকার গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করার মাধ্যমে গ্রিন কার্ড
আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান।আপনারা যদি ভালভাবে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকা গিয়ে কোনো স্থায়ী কাজ বা চাকরি করতে
পারেন তাহলে সেখান থেকে খুব সহজেই আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়া সম্ভব। এজন্য
আপনাকে প্রথমে এফ-১ ফিসা নিয়ে আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য যেতে হবে।
পড়াশোনা শেষ করার
পরে আপনাকে কোনো চাকরি বা জব খুজতে হবে।তারপরে আপনাকে ভিসা H1V তে কনভার্ট করতে হবে। ভিসা কাজ কম্পলিট করার পড়ে
আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করা লাগবে এবং যেখানে কাজ করবেন তারা
আপনাকে AB3 ভিসা দিবে কি-না তা যেনে নিন। যদি তারা আপনাকে কোনো গ্রিন
কার্ড না দেয়।
তাহলে চিন্তার কোনো কিছু নেই আরো অনেক জায়গায় চেষ্টা করুন এভাবে কোনো কোনো কম্পানি আপনাকে গ্রিন কার্ড দেওয়ার জন্য রাজি হবেই। এভাবে
আপনারা পেয়ে যাবেন স্বপ্নের গ্রিন কার্ড। এছাড়াও আপনারা যারা বাংলাদেশে
পড়াশোনা শেষ করে বসে আছেন তারা আমেরিকায় H1V ভিসায় আবেদন করুন বিভিন্ন
কোম্পানিতে।
তারা যদি আপনাকে ভিসা দেয় তাহলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমেরিকার গ্রিন
কার্ড।
পরিবার-ভিত্তিক ভিসার মাধ্যমে গ্রিন কার্ড
যাদের আমেরিকায় কোনো আত্মীয় রয়েছে তারা খুব সহজেই পেতে পারেন গ্রিন কার্ড। আপনার
যে আত্মীয় আমেরিকায় থাকে তিনি আপনাদের গ্রিন কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে।তারপরে আপনার আত্মীয়কে
আপনার মেডিকেল চেক, পুলিশ চেক এবং আঙুলের ছাপের জন্য কনস্যুলেটে পাঠানো
হবে।
তারপরে আপনার আত্মীয়কে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হবে। তারপরে আপনার
আত্মীয়কে প্রমান করতে হবে যে আপনি আসলেই তার আত্মীয়। তারপরে তারা সবকিছু চেক করে
সব ঠিকঠাক থাকলে খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি গ্রিন কার্ড পেতে পারেন। পরিবারের মাধ্যমে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমেরিকার গ্রিন কার্ড।
আমেরিকান গ্রীন কার্ডের সুবিধা
আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে।আমেরিকান গ্রীন কার্ড পাওয়ার পর আপনারা অনেক সুবিধা পেতে শুরু করবেন। যেমন--
- স্থায়ী বসবাসের অধিকার: আপনার যদি গ্রীন কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করতে পারবেন। যার ফলে আপনাকে আর ভিসা জনিত সমস্যায় পড়তে হবে না।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ: আপনার যদি আমেরিকার গ্রীন কার্ড থাকে তাহলে আপনি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি কাজ করতে পারবেন। যেকোনো কাজ করার মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারবেন।
- শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ: যাদের গ্রীন কার্ড রয়েছে তারা আমেরিকার যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি পড়াশোনার জন্য সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- ভ্রমণের সুযোগ: যাদের কাছে আমেরিকার গ্রীন কার্ড রয়েছে তারা খুব সহজেই আমেরিকার ভেতরে অথবা অন্যান্য যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
- সামাজিক সুবিধাঃ আপনার যদি আমেরিকার গ্রীন কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখানকার সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন: মেডিকেল, বেকারত্ব সুবিধা, পেনশন, এবং অন্যান্য সরকারি সহায়তা।
- নাগরিকত্বের জন্য আবেদন: আপনার কাছে যদি আমেরিকার গ্রীন কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি পাঁচ বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- পরিবারের জন্য সুবিধা: যাদের কাছে আমেরিকার গ্রিন কার্ড রয়েছে তারা তাদের স্বামী স্ত্রী অথবা বাবা-মা অথবা সন্তানকে খুব সহজেই আমেরিকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং তাদের জন্যও গ্রীন কার্ডের আবেদন করতে পারবেন।
- অন্যান্য সুবিধা: তাদের কাছে গ্রীন কার্ড রয়েছে তারা আমেরিকার নানাবিধ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন আমেরিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণের জন্য আবেদন, ক্রেডিট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ আরো অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটি আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি যে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়সম্পর্কে। আমরা আজকে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি যে কিভাবে আপনারা বিয়ের মাধ্যমে গ্রীন কার্ড পেতে
পারেন, কিভাবে আপনারা পড়াশোনার মাধ্যমে গ্রীন কার্ড পেতে পারেন সকল
বিষয়।
আপনাদের যদি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সহজ উপায় কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ
করতে পারেন ধন্যবাদ।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url