মাত্র ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন
আপনি কি ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে আপনারা মাত্র ১৫ দিনে চিকন হতে পাড়বেন সে উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যকে কমাতে চান ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে থাকুন।
আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো চিকন হওয়ার কিছু অসাধারণ উপায় সম্পর্কে যেগুলো আপনারা মেনে চললে খুব সহজেই নিজের ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
পেইজ সুচিপত্রঃ ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
- ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
- দ্রুত চিকন হওয়ার উপায়
- কিভাবে চিকন হওয়া যায়
- সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করুন
- চিকন হতে ব্যায়াম করুন
- খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে প্রোটিন বেশি রাখুন
- ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় পরিহার করুন
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
- পর্যাপ্ত ঘুমান
- নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন
- রাতে ঘুমানোর অন্তত ১ ঘন্টা আগে খাবার গ্রহন করুন
- ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
- চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা
- মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়
- চিকন হওয়ার সহজ উপায়
- লেখকের শেষকথা
১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানার জন্য গুগলে সার্চ
করে থাকেন। আসলে আপনারা যদি মাত্র ১৫ দিনে চিকন হতে চান তাহলে আপনার শরিরের
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনাদের উচিত কোনো তাড়াহুড়া না
করে প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে নিজের স্বাস্থ্য কমিয়ে
নিয়ে আসা।
আপনারা যদি মাত্র ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে
কিছু ক্ষতিকর পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। যা আপনার শরিরের জন্য হতে পারে মারাতঙ্ক
ক্ষতিকর। তাই কোনো রকম ক্ষতিকর পদ্ধতি মেনে না চলে কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো
মেনে চলার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই চিকন হতে পাড়বেন। সেগুলো হচ্ছে
:
- স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন করতে হবে।
- সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করতে হবে।
- প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
- ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- আপনাকে চিন্তামুক্ত থাকা লাগবে।
দ্রুত চিকন হওয়ার উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর বা চিকন হওয়ার উপায় দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই
হওয়া উচিত। যদিও অনেকেই দ্রুত ফলাফল চায়, খুব দ্রুত ওজন কমানো শারীরিক ও
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়
রয়েছে যা অনুসরণ করে আপনি কার্যকরভাবে ওজন কমাতে পারেন:
১. স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন:
- কম কার্বোহাইড্রেট, বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহন করুন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মুরগির মাংস, ডিম, মাছ ইত্যাদি খাওয়া ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
- সবুজ শাকসবজি যেমনপালং শাক, ব্রকলি, ঢ্যাঁড়স, শসা ইত্যাদি শাকসবজি প্রচুর ফাইবার ও কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন বেশি চিনি, চর্বি, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বাড়ায়। এগুলো পরিহার করুন।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
- দ্রুত ফলাফলের জন্য দৌড়, সাইক্লিং, সাঁতার, বা দ্রুত হাঁটা ভালো বিকল্প। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট কার্ডিও করুন।
- মাংসপেশী তৈরি করলে মেটাবলিজম বাড়ে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
- উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম দ্রুত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পানি শরীর থেকে
টক্সিন দূর করে এবং ক্ষুধা কমায়। খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান
করলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস কমানোর
চেষ্টা করুন। স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে, যা ওজন
বাড়ায়।
এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, তার হিসাব রাখুন। ওজন কমাতে
আপনাকে প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণ সীমিত করতে হবে এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে
ক্যালোরি খরচ বাড়াতে হবে।স্বাস্থ্যকর উপায়ে ধীরে ধীরে ওজন কমালে
দীর্ঘমেয়াদে তা ধরে রাখা সহজ হয়। তবে খুব দ্রুত চিকন হওয়ার প্রচেষ্টা
স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
সুতরাং, একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করাই সবচেয়ে ভালো।
কিভাবে চিকন হওয়া যায়
চিকন বা ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর উপায়ে চেষ্টা করা উচিত, যাতে শরীরের
ক্ষতি না হয়। দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে ধীরে ধীরে, পরিকল্পিতভাবে ওজন কমানো
দীর্ঘমেয়াদে বেশি কার্যকর। নিচে কিছু কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর উপায় উল্লেখ
করা হলো, যেগুলো মেনে চললে আপনি ধীরে ধীরে ওজন কমাতে পারবেন:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন:
- কম ক্যালোরি গ্রহণ করুন। দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। আপনার দৈনিক চাহিদার চেয়ে কম ক্যালোরি গ্রহণ করলে শরীর সঞ্চিত চর্বি পুড়িয়ে শক্তি উৎপন্ন করবে।
- বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খেলে ক্ষুধা কম লাগে এবং মাংসপেশী রক্ষা হয়।
- ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন শাকসবজি, ফলমূল, ওটমিল ইত্যাদি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার হজমে সহায়ক এবং পেট ভরিয়ে রাখে, যা ওজন কমাতে সহায়ক
- মিষ্টিজাতীয় খাবার, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, ফাস্ট ফুড কমিয়ে দিতে হবে।
এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যেমন দৌড়ানো, সাইক্লিং,
সাঁতার, দ্রুত হাঁটা, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট
কার্ডিও ব্যায়াম করুন। এবং ইন্টারভাল ট্রেনিং নিতে
পারেন উচ্চ-তীব্রতার ইন্টারভাল প্রশিক্ষণ (HIIT) দ্রুত ওজন কমানোর
জন্য অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান করুন।
এছাড়াও প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা ওজন বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে হবে এজন্য
আপনারা ধ্যান, যোগ ব্যায়াম, বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে
পারেন। খাবার সময় নির্দিষ্ট করুন এবং অনিয়মিত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ক্ষুধা পেলে অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
সতর্কভাবে এবং ধৈর্যের সাথে এই পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি স্বাস্থ্যকরভাবে
ওজন কমাতে পারবেন। তবে যদি আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা নিয়ে কোনও সন্দেহ
থাকে বা বিশেষ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে অবশ্যই পুষ্টিবিদ বা
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করুন
আপনারা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালের খাবার না খেয়ে থাকেন। এজন্য আপনার শরীরে
বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। আপনারা সকালের খাবার না খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের
ওজন কমে গেলেও পরে তা আবার ফিরে আসে। তাই আমাদের সকালের খাবার নিয়মিত গ্রহন করা
উচিত। সকালের খাবার আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সহায়তা
করে।
তাই আপনার শরীরের মেটাবলিজম যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার গ্রহন করা খাবার
দ্রুত হজম হবে এবং আপনার ওজন খুব দ্রুত কমতে শুরু করবে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে
সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করা জরুরী।
চিকন হওয়ার ব্যায়াম
আমরা যদি আমাদের ওজন কমাতে চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেকদিন রুটিন অনুযায়ী ব্যায়াম
করতে হবে। ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি
পায়। এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ
বের হয়ে যায় এবং ক্ষতিকর ফ্যাট শরীর থেকে ঝরে যেতে শুরু করে। এজন্য
স্বাস্থ্য কমাতে ব্যায়াম করা খুবই জরুরী।
আমরা যদি আমাদের ওজন কমানোর জন্য প্রত্যেকদিন রুটিন অনুযায়ী ব্যায়াম করি তাহলে
আমাদের শরীরকে আকর্ষণীয় গঠন অনুযায়ী গড়ে তোলা সম্ভব। ব্যায়াম করার
সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হচ্ছে সকালে এবং বিকালে। এজন্য অতিরিক্ত ওজন কমানোর
জন্য প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ৫০-১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে।
স্বাস্থ্য কে চিকন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম
হচ্ছে- দৌড়ানো, জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল
চালানো, ইত্যাদি। এছাড়াও আপনারা বাসায় বসে নিম্নোক্ত ব্যায়ামগুলো
করার মাধ্যমে আপনার ওজন কে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। চিকন হওয়ার জন্য কিছু
ব্য়ায়াম হচ্ছে--
- যোগব্যায়াম
- কার্ডিও
- এ্যারোবিক্স
- রেজিসটেন্স
- জুম্বা
খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে প্রোটিন বেশি রাখুন
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে আমাদের শরীর মোটা হতে শুরু
করে। এজন্য আমরা যদি আমাদের স্বাস্থ্যকে কমিয়ে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে চাই
তাহলে আমাদের খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট এর চেয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি
রাখতে হবে। যেসব খাবারে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে সেসব খাবার
যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
এবং যেসব খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব খাবার পরিমান মত গ্রহণ
করতে হবে। এজন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইডেট খাবার যেমন- ভাত
,রুটি, আলু ইত্যাদি খাবারের পরিবর্তে মাছ ডিম মুরগির মাংস ইত্যাদি খাবার
গ্রহণ করতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য কে কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে গরুর মাংস
,খাসির মাংস ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে।
কারণ হচ্ছে গরুর মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ প্রচুর বেশি থাকে যা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ
করার পর আমাদের শরীরে ফ্যাট যুক্ত হতে পারে। এজন্য খাদ্য তালিকা থেকে এসব
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে এবং যেসব খাবারে
প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব খাবার গ্রহণ করতে হবে। এজন্য চিকন হতে
চাইলে কার্বোহাইড্রেট পরিহার করাই ভালো।
ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় পরিহার করুন
আপনারা যদি আপনার স্বাস্থ্য কে কমিয়ে নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে চিকন হওয়ার
জন্য উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চিকন হওয়ার জন্য আপনাকে
অবশ্যই ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে। কেননা এসব
খাবার স্বাস্থ্য কে বৃদ্ধি করে। এবং এসব খাবারে যাবতীয় উপাদান ব্যবহার করে
তৈরি করা হয় বলে ফাস্টফুডে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
এছাড়াও কোমল পানিয়ে প্রচুর পরিমাণ চিনি কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। এ
ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এসব খাবার
নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। এসব খাবার
দীর্ঘদিন খাবার ফলে ডায়াবেটিস সহ আরো অনেক রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে।
তাই স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে ফাস্টফুড এবং কোমল
পানীয় পরিহার করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
আপনারা যদি আপনার স্বাস্থ্য কমিয়ে নিজেকে সুন্দর করতে চান তাহলে আপনাকে
অবশ্যই প্রত্যেক দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি পান করা ফলে আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করবে। এজন্য আপনাকে
দৈনিক৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ফলে
আমাদের শরীর হতে বিষাক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
যার ফলে প্রত্যেকদিন পানি পান করা ফলে আমাদের শরীর থেকে হাইড্রেট এবং চর্বি জমা
থাকে না। ফলে খুব সহজে পানি পান করা ফলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি হতে
শুরু করে। এজন্য আপনার অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য প্রত্যেক দিন পর্যাপ্ত
পরিমাণ পানি পান করুন। অথবা খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করতে
পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
আপনারা যদি আপনার স্বাস্থ্যকে কমিয়ে চিকন হতে চান তাহলে আপনাকে প্রত্যেকদিন
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে শক্তি
যোগায় যার ফলে আমরা কাজ করার শক্তি পেয়ে থাকি। এজন্য আমাদের দৈনিক কমপক্ষে
সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এবং দুপুরে খাবার পর কোনভাবেই ঘুমানো চলবে
না।
দুপুরে ঘুমানোর ফলে আপনার শরীরে ফ্যাট যুক্ত হবে যার ফলে ওজন কমানোর চেয়ে আরো
বেড়ে যাবে। এছাড়াও চেষ্টা করবেন প্রত্যেকদিন রাত ১০-১১ টার
মধ্যে ঘুমানোর। এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে পাশাপাশি আপনার ওজন কমতে
শুরু করবে। অতিরিক্ত জন কমানোর জন্য ঘুম খুবই জরুরি একটা উপাদান।
নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন
আপনারা যদি নিজের স্বাস্থ্যকে কমিয়ে চিকন হতে চান তাহলে আপনাকে দুশ্চিন্তা করা
সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।কেননা দুশ্চিন্তা করার ফলে আমাদের শরীরে
পরিপাক ক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে হজমের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। যার ফলে আমাদের গ্রহন করা খাবার শক্তির
পরিবর্তে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই ওজন কমাতে
নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখুন যথাসম্ভব।
রাতে ঘুমানোর অন্তত ১ ঘন্টা আগে খাবার গ্রহন করুন
আপনারা যদি চিকন হতে চান তাহলে চিকন হওয়ার উপায়গুলো জানতে হবে।চিকন
হওয়ার জন্য রাতের খাবার সময়মতো খাওয়া জরুরী। এজন্য ঘুমানোর অন্তত এক
ঘণ্টা আগে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিন। আমরা প্রায় সময় খাওয়া দাওয়া শেষ
করে ঘুমাতে চলে যাই যার ফলে আমাদের শরীরে ফ্যাটের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য
যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন ঘুমানোর অন্তত দু ঘণ্টা আগে খাওয়া-দাওয়া শেষ
করার।
১৫ দিনে চিকন হওয়ার সহজ উপায়
আপনারা যদি কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ১৫ দিনে আপনার
স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়ে নিজেকে চিকন করে তুলতে পারবেন। ১৫ দিনে আপনার
স্বাস্থ্য কে কমিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে----
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- ফাস্টফুড পরিহার করুন
- চিনি ও শর্করা থেকে দূরে থাকুন
- প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান
- শাকসবজি বেশী বেশী খান
- শরীর অনুযায়ী ক্যালরি গ্রহণ করুন
- না খেয়ে থাকবেন না
- ব্যায়াম করুন নিয়মিত
- খাবার ধীরে ধীরে গ্রহন করুন
- সালাদ খেতে হবে বেশী পরিমাণে
- অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন
- খাওয়ার আগে পানি পান করুন
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
- ওয়েট লস ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন
- আপনার BMR হতে ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করুন
চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা
আপনাকে আপনার ওজন কমিয়ে চিকন হতে হলে আপনাকে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে
হবে। যেসব খাবার হজম হতে বেশী সময় লাগে সেসব খাবার গ্রহন করতে হবে।
লাল আটা, লাল চাল, মোটা চাল
লাল আটা, লাল চাল, মোটা চাল আমরা খাদ্য হিসাবে গ্রহন করার পরে হজম হতে অনেক
বেশী সময় লাগে। তাই ওজন কমানোর জন্য এসব খাবার গ্রহণ করা উচিত। এসব
খাবার গ্রহণ করার পর ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। তাই আমাদের ওজন কমানোর জন্য এসব
খাবার গ্রহন করা জরুরী।
ওটস, যব, ছাতু, বাজরা
আমরা প্রত্যেকদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় চাল, আলু, গম ইত্যাদি
খাবার গ্রহণ করে থাকি। যার ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি হতে শুরু করে।
এজন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় ওটস, যব, ছাতু, বাজরা ইত্যাদি
খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে আমরা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি। এসব
খাবার গ্রহণ করার ফলে আমাদের ওজন কমতে শুরু করবে।
শাকসবজি
ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা
যদি প্রত্যেকদিন নানারকম শাকসবজি খেতে থাকি তাহলে আমাদের ওজন খুব দ্রুত কমতে
শুরু করবে। শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের
বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। এজন্য ওজন কমানোর জন্য প্রত্যেকদিন শাক সবজি
খাওয়া জরুরী।
ফল
ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ফল আমাদের ওজন কমাতেও খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা যদি আমাদের ওজন কমাতে চাই তাহলে
আমাদের প্রচুর পরিমাণ ফল্মুল খেতে হবে। যেমন- তরমুজ, শসা, আপেল ইত্যাদি খাবার
গ্রহন করার চেষ্টা করবেন এতে খুব দ্রুত আপনার ওজন কমতে শুরু করবে।
মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়
যেসব মেয়েরা নিজেদের ওজন কমাতে চেয়েও বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের জন্য
আজকের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পকে এই পোস্ট। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা
করবো যে কিভাবে খুব সহজেই মেয়েরা চিকন হতে পারবেন সে উপায় সম্পর্কে। তো চলুন
জেনে নেওয়া যাক চিকন হওয়ার সহজ উপায়গুলো---
- বেশী করে জল পান করুন
- ব্লাক কফি খেতে পারেন
- রোযা বা উপবাস থাকুন
- সকালে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন
- ঘুম থেকে উঠে লেবু জল পান করুন
- ফাইবার বা আশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়ান
- বেশী করে সবজি এবং ফল খান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- পর্যাপ্ত ঘুমান
- ধীরে ধীরে খাবার গ্রহন করুন
- প্রক্রিয়াজাত খাবার কম গ্রহন করুন
মেয়েদের ওজন কমাতে যেসব খাবার পরিহার করা উচিত
- চিনিযুক্ত পানীয় ও খাবার
- ক্যান্ডি বার
- পেস্ট্রি, কুকিজ এবং কেক
- ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং চিপস
- নির্দিষ্ট ধরনের অ্যালকোহল
- উচ্চ-ক্যালোরি কফি পানীয়
- চিনি যুক্ত খাবার
- সাদা ভাত (অল্প পরিমাণে খাওয়া যাবে)
- শক্তি এবং গ্রানোলা বার
- মিষ্টি দই
- প্রক্রিয়াজাত মাংস
- মিছরিযুক্ত শুকনো ফল
- হ্যামবার্গার
চিকন হওয়ার সহজ উপায়
আপনারা অনেকেই চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চান আজকের এই পোস্টে
আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে। চিকন হওয়ার জন্য
আপনাকে নিচের দেয়া উপদেশ মেনে চলতে হবে সেগুলো হলোঃ
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস গঠন করুন
- প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- নিয়মিত ঘুমান ৮-৯ ঘন্টা
- খাওয়ার সময়ের নিয়ম মেনে চলুন
- স্ট্রেস কমান
- ক্যালোরি ও খাবারের ডায়েরি রাখুন
এগুলো মেনে চললে আপনারা খুব সহজেই চিকন হতে পারবেন।
লেখকের শেষকথা:১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে।
চিকন হওয়ার জন্য কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা উচিত এবং কোন কোন খাবারগুলো গ্রহন করা
উচিত এবং কোন কোন খাবার বর্জন করা উচিত। এবং আমাদের মায়েরা কীভাবে তাদের ওজন
কমাতে পারবেন এবং আপনারা চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
তাই আপনাদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়
তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর আজকের এই পোস্টে আমরা যে
উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা সম্পূর্ণ কার্যকর উপায় সময় নিয়ে এই কাজগুলো করলে
খুব দ্রুত চিকন হতে পারবেন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url