শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি জানুন বিস্তারিত
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি টা হয়তো অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। আপনার সন্তানদের অতিরিক্ত জ্বর আপনাকে অনেক দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। এবং বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে প্রায় সবার ঠান্ডা- জ্বর লেগেই থাকে।
তাই আপনাদের বাচ্চার যদি জ্বর অনেক বেশি হয় এবং আপনি চিন্তা করতে থাকেন কীভাবে এই শিশুর ১০২ ডিগ্রী জ্বর কমানো যায় তাহলে আজকের পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আজকে আমরা বিস্তারিত আলচনা করবো শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি এবং শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় কি ?
পেইজ সুচিপত্র: শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি
- শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি
- বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়
- ৯ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
- ২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
- ৫ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
- শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
- শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়
- শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
- লেখকের শেষকথা: শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি তা আপনারা অনেকেই জানার জন্য গুগলে সার্চ করে
থাকেন।আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাবো যে শিশুর জ্বর ১০২ ডিগ্রী
হলে কি করবেন।আপনার শিশুর জ্বর যদি ১০২° হয় তাহলে আপনাকে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিচে কিছু উপায় আলাপ আলোচনা করা
হল:
আপনার শিশুর জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে শিশুকে আরামদায়ক
স্থানে রাখতে হবে। শিশুকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য তাকে ঠান্ডা কোন স্থানে
রাখতে হবে খেয়াল রাখতে হবে আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা স্থান যদি না হয়। এবং
শিশুকে অতিরিক্ত গরম কাপড় পড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়াও আপনাকে
শিশুর শরীরে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য আপনারা হালকা গরম এবং হালকা ঠান্ডা পানি
দিয়ে শিশুর শরীর কোন তয়লা দিয়ে মুছে দিতে হবে। এবং শিশুকে পানি
পান করতে দিতে হবে। শিশুর শরীরকে হাইড্রেটেড করার জন্য পানি,
স্যুপ ইত্যাদি পান করতে দিতে হবে। এবং শিশুর জ্বর কমানোর জন্য
শিশুকে প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর বয়স এবং জ্বর অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে
শিশুকে। এবং শিশুর জ্বর যদি অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে এবং জ্বরের
সঙ্গে অন্য কোন লক্ষণ দেখা দেয় যেমন পেট ব্যথা, সর্দি কাশি এবং দুর্বলতা
যদি থাকে তাহলে আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এবং
যদি জ্বর এর সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে
হবে।
তাছাড়াও শিশুর আচরণ যদি অস্বাভাবিক হয় শিশুর ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় এবং
জ্বরের সাথে খিঁচুনি, দম বন্ধ হওয়া সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার উচিত
খুব দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা।
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি আপনারা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। আজকে
আমি আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি। বাচ্চাদের যদি
হঠাৎ জ্বর দেখা দেয় তাহলে আপনাকে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে
হবে। নিচে বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি তা বিস্তারিত
আলাপ আলোচনা করা হলো;
প্রথমে বাচ্চা জ্বর হলে শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। যদি বাচ্চার
জ্বর ১০০ ডিগ্রীর উপরে দেখা দেয় তাহলে ধরে নিতে হবে বাচ্চার জ্বর
হয়েছে। শিশু তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য আপনারা ইনফ্রারেড
থার্মোমিটার বা অর্ল থার্মোমিটার ব্যবহার করতে পারেন। এবং শিশুর
জ্বর যদি বেশি হয় তাহলে শিশুকে আরাম দায়ক স্থানে রাখতে হবে।
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে শিশুকে অতিরিক্ত কাপড় যাতে না পড়ানো
হয়। শিশুকে হালকা এবং আরামদায়ক পোশাক পরানোর চেষ্টা করবেন।
শিশুকে বদ্ধ কোন স্থানে রাখা যাবে না, শিশুকে আলো বাতাস
পূর্ণ জায়গায় রাখতে হবে। এবং শিশুকে গরম পানির তাপমাত্রা
দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। এতে শিশুর শরিরের তাপমাত্রা অনেক কমে
যাবে।
এবং শিশুকে প্রচুর পানি অথবা সুপ খেতে দিতে হবে। যার ফলে শরীরে
হাইড্রেশন বজায় থাকবে এবং জ্বর খুব দ্রুত সেরে যাবে। এবং শিশুর জ্বর
কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। এবং জ্বর
এর সঙ্গে যদি অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে
পরামর্শ করতে হবে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
বাচ্চার জ্বর হলে যদি নিচের কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে।
- শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের কম হয় এবং শিশুর যদি জ্বর হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- শিশুর জ্বর যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- যদি শিশুর জ্বরের সঙ্গে অন্য কোন সমস্যা যেমন খিচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে।
- শিশুর যদি শ্বাসকষ্ট, কিংবা পেট ব্যথা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৯ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
৯ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি তাহলে কি তা তা আপনারা
অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নয় মাসের
শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি। আপনার নয় মাসের শিশুর যদি জ্বর হয়
তাহলে কিছু সর্তকতা মেনে চলা উচিত এবং পাশাপাশি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা
জরুরী। নয় মাসের শিশুর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকার কারণে জ্বর হলে
বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
প্রথমে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিতে হবে। শিশুর শরীরে তাপমাত্রা
মাপার জন্য আপনারা : পিটি থার্মোমিটার বা ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ব্যবহার
করতে পারেন। এবং শিশুকে অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো যাবে না। শিশুকে
হালকা এবং আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। এবং শিশুর শরীর হালকা গরম পানি
দিয়ে মুছে নিতে হবে।
এবং আপনাকে শিশু শরীর মুছে দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কোমর থেকে উপরের
অংশগুলো হাত-পা এবং গলা ধীরে ধীরে মুছে দিতে হবে। এবং শিশুকে তরল খাবার
খেতে দিতে হবে। বিশেষ করে বুকের দুধ, পানি এবং স্যুপ। এছাড়াও
শিশুর অতিরিক্ত জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন। তবে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো হবে।
এছাড়াও আপনারা যদি শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন অতিরিক্ত কান্না,বমি করতে থাকে অচেতনতা, অস্বস্তি দেখা যায় তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে
হবে। শিশুর জ্বর যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে শিশুকে ডাক্তারের
কাছে নিতে হবে। শিশু যদি কোন খাবার খেতে না চায় এবং বমি করতে থাকে তাহলে
দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
এবং নয় মাসের শিশুর ক্ষেত্রে যদি লক্ষ্য করেন শিশুর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে
এবং শরীর ধীরে ধীরে গরম হচ্ছে তাহলে শিশুকে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে
নিয়ে যেতে হবে। এবং শিশুর জ্বর হলে ধৈর্যশীল হয়ে থাকতে হবে এবং সঠিকভাবে
সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। আজকের
পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি।
- শিশুর তাপমাত্রা মাপতে হবে।
- শিশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
- হালকা কাপড় পরাতে হবে।
- জ্বর কমানোর ওষুধ খাওয়াতে হবে।
- জ্বরের পাশাপাশি অন্য কোন লক্ষণ আছে নাকি তা পরীক্ষা করতে হবে
- জ্বর ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৫ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
৫ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় তা আপনারা অনেকেই জানার জন্য গুগলে সার্চ
করে থাকেন।আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব পাঁচ মাসের শিশুর
জ্বর হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে।
প্রথমে আপনাকে শিশুটির জ্বর পরীক্ষা করতে হবে। তাপমাত্রা যদি 102 ডিগ্রি
উপরে হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত যদি বুকের দুধ না খায় তাহলে পানি অথবা ফর্মুলা
দুধ খাওয়ানো উচিত। আপনার পাঁচ মাসের শিশুকে অতিরিক্ত গরম কাপড় পড়ানো
যাবে না।
তাকে হালকা খোলামেলা স্থানে রাখতে হবে। এবং ঝড় কমানোর জন্য তাকে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। এবং জ্বরের পাশাপাশি
স্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং শিশুর
জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে শিশুর পেশাবের রং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে
হবে। যদি জ্বর ১০৪ ডিগ্রির উপরে হয় দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে।
এছাড়াও পাঁচ মাসের শিশুর জ্বর হলে যদি জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা বমি
কিংবা ডায়রিয়া দেখা যায় তাহলে শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ
নেয়া উচিত। যদি পাঁচ মাসের শিশুর জ্বর হয় তাহলে মা-বাবাকে অতিরিক্ত
সতর্ক থাকতে হবে এবং জ্বর দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে।
শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয় কি তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। যদি শিশু
জ্বর ১০৪ ডিগ্রির হয়ে থাকে তাহলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি হলে করণীয়
কি।
প্রথমে আপনাকে শিশুর তাপমাত্রা মাপতে হবে তাপমাত্রা যদি ১০৪ ডিগ্রির উপরে
হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং জ্বর কমানোর জন্য নিচের
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে:
- হালকা কাপড় পরান
- শিশুর কপালে, গলায়, বগলে সেক দিতে হবে।
- শিশুকে গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না।
তাছাড়া শিশুর জ্বর কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে
হবে শিশুর বয়স অনুযায়ী ডোজ প্রদান করতে হবে। এবং শিশুর অন্যান্য
বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে শিশুটি কোন অস্বাভাবিক আচরণ
করছে কিনা, শিশুর শ্বাসকষ্ট জনিত কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, এবং জ্বর
পাশাপাশি বমি, পাতলা পায়খানা, হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিতে
হবে।
এবং শিশুর হাইড্রোশন নিশ্চিত করার জন্য পানি, দুধ, স্যুপ
ইত্যাদি খাওয়াতে হবে এবং যতটা সম্ভব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি
তার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য
করবে। যদি শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি উপরে হয়ে থাকে এবং জর ২৪ ঘন্টার
বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নিতে
হবে।
১০৪ ডিগ্রি জ্বর হলে অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে। এবং জ্বর কমানোর জন্য সঠিক
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং শিশুকে পানি পান করতে হবে। যদি আপনার কাছে
শিশুর অবস্থা গুরুতর মনে হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে
নিয়ে যেতে হবে।
শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়
শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি তা হয়তো অনেকেই জানেন না। আপনার শিশুর
জ্বর যদি না কমে তাহলে আপনাকে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জ্বরের
জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
প্রথমে আপনাকে জ্বর এর পরিমাণ মেপে নিতে হবে। জ্বরের তীব্রতা
বেশি হলে এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিশুর
জ্বর হলে শিশুর শরীরের অতিরিক্ত পানি ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই
শিশুকে জ্বরের হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, বুকের
দুধ অথবা ইলেকট্রোলাইট দিতে হবে।
তারপর শিশুকে শীতল কমপ্রেস দেওয়ার জন্য হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে
তোয়ালে ভিজিয়ে নিতে হবে এবং ভেজা তোয়ালে দিয়ে শিশুর হাত মুখ
এবং গলা সুন্দরভাবে মুছে দিতে হবে। এবং জ্বর এর তীব্রতা বেশি দেখা
দিলে শিশুকে জ্বর কমানোর ঔষধ প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে। তবে শিশুকে কোন
ঔষধ খাওনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
তাছাড়া আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করাতে হবে। বিশ্রাম
নেওয়ার পরে তার শরীর হালকা সুস্থ হতে পারে। যদি জ্বর দীর্ঘ সময় ধরে
থাকে এবং জ্বরের পাশাপাশি বিভিন্ন লক্ষণ যেমন অরুচি, পিট অথবা পা
ব্যথা অথবা ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের
নেওয়া পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তাছাড়াও জ্বর হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া অথবা সংক্রমণের
আক্রমণের কারণে জ্বর হতে পারে। তাই আপনাকে এসবের চিকিৎসা গ্রহণ করার
পাশাপাশি ঔষধ খেতে হবে। এবং জ্বরের সঙ্গে যদি অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয়
তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই
গুগলে সার্চ করে থাকেন। আজকের পোস্ট আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব শিশুর
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়।
শিশুর জ্বর কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় রয়েছে কিন্তু জ্বর যদি দীর্ঘস্থায়ী
হয়ে থাকে এবং এর সঙ্গে অন্য কোন উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে খুব
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। নিচে কিছু জ্বর কমানোর ঘরোয়া
উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
গরম পানি দিয়ে ভাব দিতে হবে
শিশুকে গরম পানির তাপ নিঃশ্বাস নিতে দিতে হবে। এর ফলে শরীরে তাপমাত্রা
কমতে শুরু করবে এবং শরীরে ঘাম উৎপন্ন হবে যার ফলে জ্বর কমে যেতে
পারে। এছাড়াও শিশুর জ্বর কমানোর জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে শিশুর পুরো
শরীর মুছে দিতে হবে। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে
পারে।
গরম পানি দিয়ে গোসল
শিশুর জ্বর কমানোর জন্য তাকে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করালে শরীরের তাপমাত্রা
কমতে শুরু করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যদি অতিরিক্ত গরম না হয় এবং
অতিরিক্ত ঠান্ডাও না হয়। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা
অনেকটা কমে যাবে।
তুলসী পাতা বা আদার পানীয়
আপনারা যদি তুলসী পাতা দিয়ে এবং এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে চা বানিয়ে
শিশুকে খাওয়াতে পারেন তাহলে তা শিশুর জ্বর কমাতে সাহায্য করতে
পারে। তুলসীতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান জ্বর কমাতে
সাহায্য করবে।
আপনারা যদি আদা, লেবু রস এবং মধুর সাথে গরম পানি মিশিয়ে শিশুকে
খাওয়াতে পারেন তাহলে এটি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য
করবে।
সামান্য ঠান্ডা পানি দিয়ে
সামান্য ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনারা যদি গোসল করতে পারেন তাহলে শিশুর শরীরের
তাপমাত্রা কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে তাপমাত্রা
খুব বেশি থাকা যাবে না। অল্প পরিমাণ ঠান্ডা পানি দিয়ে শিশুকে গোসল
করালে শিশুর জ্বর কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ
জ্বর হলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তাই পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য শিশুকে
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফলের রস খাওয়াতে পারেন। এবং শিশু যদি
এসব খাবার খেতে না চায় তাহলে তাকে অল্প অল্প করে খেতে দিয়েন। তাছাড়াও
আপনারা যদি শিশুকে চিকেন সুপ সবজি সুপ বানিয়ে খাওয়াতে পারেন তাহলে তা শিশুর
শক্তি ফেরাতে সাহায্য করবে।
লেবু ও মধু
- আপনারা যদি লেবু এবং মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন তাহলে এটা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
- এক বছরের নিচে শিশুকে মধু এবং লেবু খাওয়ানো যাবে না। এটা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাছাড়া শিশু কে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। এবং শিশুকে মোটা কাপড় পড়ানো
থেকে বিরত থাকতে হবে শিশুকে অল্প অল্প করে খাবার দিতে হবে।
উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনারা খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে শরীরের জ্বর
কমাতে পারবেন। তবে জরের পরিমাণ বেশি হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
লেখকের শেষকথা: শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি
প্রিয় পাথক, আজকের পোস্টে আমরা আলাপ করেছি শিশুর জ্বর ১০২ হলে
করণীয় কি এবং জ্বর হলে কি কি করিবেন।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url