আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করার নিয়ম
আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজকের এই পোস্টে
আমরা আপনাদের জানাবো কীভাবে আপনারা বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান এর ভিসার জন্য
আবেদন করবেন এবং কি কি ভিসার জন্য প্রয়োজন হবে।
আপনারা যদি আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য পেতে চান
তাহলে আজকের পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আমরা আজকে বিস্তারিত আলচনা করবো
কীভাবে আফগানিস্তান ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং আফগানিস্তান কাজের বেতন
কত সে সম্পর্কে।
পেইজ সুচিপত্র: আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
- আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
- আফগানিস্তানে কাজের ভিসা
- আফগানিস্তান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আফগানিস্তান ভিসা ফি কত টাকা ?
- আফগানিস্তান ভিসা প্রসেসিং সময়
- আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস
- আফগানিস্তানে কোন কাজের বেতন কত
- আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- আফগানিস্তান টুরিস্ট ভিসা
- বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের দূরত্ব
- বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের ভিসা
- আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
- লেখকের শেষকথা: আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই গুগলে প্রত্যেকদিন
সার্চ করেন বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার
জন্য। কিন্তু আপনারা এই লিখা সার্চ করে কোন কাঙ্খিত তথ্য পান না। তাই
আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করব বাংলাদেশ
থেকে আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যেতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি
ভিসার। আপনি যে উদ্দেশ্যে আফগানিস্তান যেতে যাচ্ছেন আপনাকে তার উপরে
ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। আফগানিস্তানে আপনারা পর্যটক
ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা
এবং স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আফগানিস্তানে যেতে পারবেন।
তাই আপনারা কোন উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে যেতে যাচ্ছেন তার উপরে ভিসার ধরন নির্বাচন
করতে হবে এবং তারপর আপনাকে ভিসার জন্য কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে
হবে। এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আফগানিস্তানের দূতাবাস অথবা আফগানিস্তানের
ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ
করতে হবে।
তাছাড়া আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এবং আপনাকে আবেদন
ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদন ফি কত হবে তা ভিসার ধরনের অনুযায়ী
পরিবর্তন হতে পারে। তারপর আপনাকে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা আবেদন
ফরম পূরণ করার পর তা তা আফগানিস্তানের দূতাবাসে অথবা কনস্যুলেটে জমা
দিতে হবে।
এরপর আপনাকে বায়োমেট্রিক ডেটা প্রয়োজন হলে আপনাকে তাদের অফিসে যাওয়া লাগতে
পারে এবং আপনার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আপনারা আবেদনপত্র যাচাই
করার পর সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনাকে ভিসা প্রদান করা
হবে।
আফগানিস্তানে কাজের ভিসা
আফগানিস্তানে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া
এবং শর্ত মেনে চলতে হবে।আফগানিস্তানের বাইরের দেশ থেকে যারা যারা
আফগানিস্থানে কাজ করার জন্য যেতে চান তাদের জন্য অপরিহার্য ডকুমেন্ট
হচ্ছে ওয়ার্ক ভিসা । এই ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে
আপনারা আফগানিস্তানে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পেয়ে যাবেন।
আপনারা যদি আফগানিস্থান গিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন
করতে হবে ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা পাওয়ার জন্য।আফগানিস্তানে গিয়ে কাজ করার
জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আফগানিস্তানের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজের অফার পেতে
হবে। এই কাজের অফার আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।
তারপর আপনাকে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয় অব
লেবার, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স, মার্টির্স অ্যান্ড ডিজেবিলড থেকে আপনাকে অয়ার্ক
পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তারপর
আপনাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরন করতে হবে এই আবেদন ফরম
আপনারা আফগানিস্তান দূতাবাস বা কনস্যুলেট এ পাবেন।
কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার কিছু কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো জমা দিয়ে
আপনাকে আপনার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে:
- ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- চাকরির অফার লেটার বা কাজের নিয়োগ পত্র
- ওয়ার্ক পারমিট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- আবেদন ফি পরিশোধ এর রশিদ
তারপর আপনাকে ভিসা ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং সকল কিছু পুড়ন করে তারপর সকল কাগজ
পত্র নিয়ে আপনাকে আফগানিস্তান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে জমা দিতে
হবে। বাংলাদেশে আফগানিস্তান দূতাবাসের ঠিকানা:
- ঠিকানা: আফগানিস্তান দূতাবাস, ঢাকা, বাংলাদেশ
- ফোন নম্বর: +880-2-988-2331
এসব কাগজ পত্র জমা দেওয়ার পর আপনার ভিসা আবেদন যাচাই করা হবে এবং আবেদন
অনুমোদন এর জন্য কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তারপর যদি আপনার
ভিসা অনুমোদন হয়ে যায় তাহলে ভিসা সংগ্রহ করে আফগানিস্তানে গিয়ে
কাজ করতে পারবেন।
আফগানিস্তান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আফগানিস্তান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগতে পারে আপনারা অনেকেই
জানেন না। আজকে আমরা আপনাদের জানাবোঁ আফগানিস্তান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র কি কি লাগতে পারে।
আফগানিস্তান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
১. সাধারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সব ধরনের ভিসার জন্য):
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- ভিসা আবেদন ফরম
- ভিসা আবেদন ফ্রি
২. পর্যটক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আফগানিস্তানে যাওয়ার উদ্দেশ্য
- ফ্লাইট টিকিট
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
- আফগানিস্তানে থাকার ঠিকানা
৩. ব্যবসায়িক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- কোম্পানির চিঠি
- অফিসের পরিচয়
- আর্থিক তথ্য
- ফ্লাইট টিকিট
৪. কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- নিয়োগ পত্র
- ওয়ার্ক পারমিট
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- জীবন বীমা
- আর্থিক প্রমাণ
- ফ্লাইট টিকিট
৫. স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ভর্তি নিশ্চিতকরণের চিঠি
- শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ
- আর্থিক সক্ষমতা
- ফ্লাইট টিকিট কনফার্মেশন
- স্বাস্থ্য বীমা
আফগানিস্তান ভিসা ফি কত টাকা ?
আফগানিস্তান ভিসা ফি কত টাকা ? আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর
জানার জন্য গুগলে প্রতিনিয়ত সার্চ করে থাকেন। আফগানিস্তান ভিসা
বাংলাদেশ , আফগানিস্তান ভিসা ফি কত টাকা ? তা আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত
আলচনা করবো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আফগানিস্তান ভিসা ফি কত টাকা ?
আফগানিস্তানের ভিসা ফি নির্ভর করে নাগরিকত্ব, ভিসার ধরণ এবং যাত্রার
উদ্দেশ্যের উপরে। আফগানিস্তান দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের
ভিসা পেয়ে যাবেন। যেমন পর্যটন ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা, ট্রানজিট ভিসা,
ছাত্র ভিসা ইত্যাদি ভিসায় আপনারা আফগানিস্তানে যেতে পারবেন।
আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে পর্যটন অথবা ব্যবসায়ী
ভিসার মাধ্যমে আফগানিস্তানে যেতে চান তাহলে আপনাদের ভিসা ফি লাগতে
পারে ২৫-৫০ USD (মার্কিন ডলার)। তবে আপনারা যদি অন্য কোন ভিসার
মাধ্যমে আফগানিস্তানে যেতে চান তাহলে ভিসা ফি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
ভিসা ফি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে থাকে
তাই আপনারা যদি সঠিক ভিসা ফি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আফগানিস্তানের
অফিসিয়াল কনস্যুলেট বা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক
ভিসা ফি জেনে নিতে হবে।
আফগানিস্তান ভিসা প্রসেসিং সময়
আফগানিস্তান ভিসা প্রসেসিং সময় বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর
করে। আফগানিস্তানের ভিসা প্রসেসিং হতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে
পারে। তবে ভিসা প্রসেসিং সময় ভিসার ধরন, নাগরিকত্ব, এবং অন্যান্য
বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভর করে সময় কম - বেশি হতে পারে।
- বিভিন্ন সময় ভিসা প্রসেসিং ভিসার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।
- কিছু কিছু সময় আবেদনের উপর ভিত্তি করে সময় পরিবর্তন হতে পারে।
- আফগানিস্তান দূতাবাসে কাজের চাপ বেশি থাকলে সময় পরিবর্তন হতে পারে।
- আপনার আবেদন যদি অতিরিক্ত যাচাই বাছাই করা লাগে তাহলে সময় বেশি লাগতে পারে।
এছাড়াও কিছু কিছু দূতাবাস রয়েছে যেগুলোতে আপনি অতিরিক্ত টাকা প্রদান করলে
আপনার ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য সময় অনেক কম লাগবে।
আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস
আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস অবস্থিত কাবুল শহরে। এই দূতাবাস
বাংলাদেশের মানুষদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকেন। এই দূতাবাসের
সাহায্যে আপনারা বিভিন্ন ভিসার জন্য আবেদন, পাসপোর্ট সার্ভিস, নথিপত্রের
সত্যায়ন, এবং অন্যান্য কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে। এই দুতাবাসের
ঠিকানা হচ্ছে :
Embassy of Bangladesh, Shahr-e-Nau, Kabul, Afghanistan.
তাছারাও আপনারা আফগানিস্তানের দূতাবাস থেকে নিচের সেবাগুলো পেয়ে
যাবেন:
- আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ আসার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
- পাসপোর্ট এর কোন সমস্যা হলে তার সমাধান করতে পারবেন
- বিভিন্ন ধরনের দস্তাবেজের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
- এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা, জরুরী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সাহায্য পেয়ে যাবেন।
আফগানিস্তানে কোন কাজের বেতন কত
আফগানিস্তানে কোন কাজের বেতন কত আপনারা অনেকেই এই প্রশ্ন গুগলে সার্চ
করে থাকেন।আফগানিস্তানে কাজের বেতন নির্ভর করে অর্থনৈতিক
পরিস্থিতি, কাজের সেক্টর এবং কাজের প্রকারভেদের
উপরে। আফগানিস্তান দেশটি তেমন উন্নত দেশ না হওয়ার কারণে
বিভিন্ন সময় কাজের বেতন রাজনৈতিক কারণে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
আফগানিস্তানে একজন সরকারি কর্মী মাসে প্রায় ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার আফগানি
টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। তবে যদি পদ উচ্চ মানের হয় তাহলে বেতন আরও বেশি
হতে পারে। তাছাড়াও আফগানিস্তানে একজন ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেক মাসে 20000
থেকে 50000 আফগানি টাকা পেয়ে থাকেন বেতন হিসাবে।
এছাড়াও একজন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রত্যেক মাসে ১৫,০০০ আফগানি থেকে ২৫,০০০
আফগানি বেতন পেয়ে থাকেন। এবং যারা স্বাস্থ্য খাতে কাজ করে যেমন
ডাক্তার, নার্স সাধারণত ২০,০০০ আফগানি থেকে ৫০,০০০ আফগানি টাকা বেতন
পেয়ে থাকেন। এবং একজন নার্স প্রায় ১৫,০০০ আফগানি থেকে ৩০,০০০ আফগানি
টাকা পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও যারা কৃষি খাতে কাজ করেন তাদের মাসিক বেতন ১০০০ আফগানি হতে পারে
তবে ফসলের পরিমাণ ভালো হলে বেতন আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। তাছাড়াও আফগানিস্তানে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেক
মাসে ৩০,০০০ আফগানি থেকে ৭০,০০০ আফগানি টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
আফগানিস্তান দেশটিতে কাজের বেতন অনেক কম হয়ে থাকে। এই বেতন আবার
বিভিন্ন কারনে পরিবর্তন হতে পারে। তাছারাও সেক্টর, কাজের ধরণ, দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে বেতনের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় অনেক জটিল এবং সরকারের আইনি
বিধান এবং নীতিমালা অনুসারে সম্পন্ন হতে পারে। আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব
পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য মূল বিষয় হচ্ছে ঐতিহ্যগতভাবে
জন্মস্থল বা বংশগত নাগরিকত্ব।তাছাড়াও কোন ব্যক্তির বাবা মা যদি
আফগানিস্তানের নাগরিক হয় তাহলে তাকে আফগানিস্তানের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা
হয়। তাছাড়া যদি বাবা-মা অন্য দেশের নাগরিক হয় তাহলে তার নাগরিকত্ব
পাওয়া কিছুটা জটিল হতে পারে।
যদি আপনার বাবা-মা আফগানিস্তানের নাগরিক হয় কিন্তু আপনি অন্য কোন দেশে
জন্মগ্রহণ করেছেন তাহলে আপনাকে আফগানিস্তানের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া
হতে পারে। এছাড়াও কেউ যদি আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে বসবাস করতে
চায় তাহলে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হতে পারে এজন্য তাকে আফগানিস্তানে
দীর্ঘমেয়াদি ভাবে বসবাস করতে হবে
এবং আফগানিস্তানের ভাষা আয়ত্ত করতে হবে। তাই কেউ যদি স্বেচ্ছায়
আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে বসবাস করতে চায় এবং আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব
পেতে চায় তাহলে তাকে প্রথমে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি নিতে হবে এবং
আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয় আবেদন করতে হবে। আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি
ভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
তাছাড়াও আপনারা যদি আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে আপনাকে একটা
আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং আবেদনপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বা অভ্যন্তরীণ
মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এই আবেদনপত্রে আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত
তথ্য, আপনার পরিবারের তথ্য, এবং আপনি কি কারনে আফগানিস্তানের
নাগরিকত্ব পেতে চান তা বর্ণনা করতে হবে।
এছাড়াও আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আপনাকে আফগানি ভাষা শিখতে হবে
এবং আফগানিস্তানের মৌলিক নীতিমালা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনার
আবেদন করার পর আবেদন পত্রটি ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। এটি করতে
সাধারণত কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আফগানিস্তান এর নাগরিত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল এবং
কঠিন। আফগানিস্তান এর নাগরিত্ব পাওয়ার জন্য আপনি কোন জায়গায়
জন্মগ্রহণ করেছেন, আপনার আফগানিস্তানে দির্ঘমেয়াদি ভাবে বসবাস করার
কারণ এবং আফগানিস্থান এর স্থানীয় আইন এবং সরকারের নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে হবে।
আফগানিস্তান টুরিস্ট ভিসা
আফগানিস্তান টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজকে আমি
আপনাদের বিস্তারিত জানাবো আফগানিস্তান টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে।আফগানিস্তান
দেশটিতে নিরাপত্তা জনিত কারণে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন হতে
পারে। তাছাড়াও আফগানিস্তানের টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু
নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আফগানিস্তানের টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার ৬ মাস মেয়াদী একটি বৈধ
পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে আপনারা ভিসার জন্য
আবেদন করার জন্য আফগানিস্তানের দূতাবাস বা কনস্যুলেট এ আবেদন পত্র পেয়ে
যাবেন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
এছারাও বিমানের টিকেট আফগানিস্তানে হোটেল রিজার্ভেশন ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ
আপনার ভ্রমণ বীমা প্রয়োজন হবে। এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে
নিকটবর্তী আফগানিস্তানের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে
হবে। বাংলাদেশে আফগানিস্তান দূতাবাস এর ঠিকানা ১৮, গুলশান-২, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
তাছাড়া আপনারা অনলাইনে মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনাকে
টুরিস্ট ভিসা ফি সাধারণত ২৫ থেকে ৫০ ইউ এস ডলার প্রদান করতে হবে। তারপর
আপনাকে আবেদন করার পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে
পারে। সব কিছু সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা প্রদান করা
হবে।
বিশেষ সতর্কতা:
আফগানিস্তানে একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তাই ভ্রমণের আগে আফগানিস্তানের
রাজনৈতিক আন্তর্জাতিক সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের দূরত্ব
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের দূরত্ব সম্পর্কে আপনারা জানেন কি
? বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের দূরত্ব নির্ভর করবে রুট এবং ভ্রমণের
পদ্ধতির উপরে। ঢাকা শহর থেকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দূরত্ব হচ্ছে
প্রায় 2800 কিলোমিটার।
আপনারা যদি বিমানে করে ঢাকা থেকে কাবুলে যেতে চান তাহলে আপনাদের ৩.৫
- ৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। যার দূরত্ব হচ্ছে ২৮০০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের ভিসা
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হবে এবং কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনারা বাংলাদেশ থেকে
আফগানিস্তানের ভিসা করার জন্য অনুমতি পেয়ে যাবেন। তাই বাংলাদেশ
থেকে আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়ার জন্য নিচের আলোচনা মনোযোগ সহকার ে
পড়তে থাকুন।
আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের ভিসা পেতে চান তাহলে
আপনাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয়
কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে কোন কনসুলেট থেকে আফগানিস্তানের ভিসার জন্য
আবেদনকার্য সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে একটি
ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট।
তাছাড়াও আপনার দুই কপি রঙিন সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে। আফগানিস্তানের
ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার প্রয়োজন হবে আবেদন ফরম। আপনার আবেদন ফরমটি
পেয়ে যাবেন বাংলাদেশে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাসে। তারপর আবেদন
সম্পন্ন করার পর আপনাকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে এবং আপনারা কোন
উদ্দেশ্যে
আফগানিস্তানে যেতে চাচ্ছেন তার একটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভিসার ক্যাটাগরি
নির্বাচন করতে হবে। আপনারা যদি কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে
ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাছাড়া যদি আফগানিস্তানের সৌন্দর্য
উপভোগ করতে যেতে চান তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে।
আফগানিস্তান এর ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে
হবে। আপনারা বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আফগানিস্তানের দূতাবাস এর কাছ থেকে
আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনাকে আবেদন ফরম এবং সম্পন্ন
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পূরণ করে জমা দিতে হবে।
ভিসার আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং সময় থাকতে পারে ১৫ থেকে ২০
দিন। এবং আপনারা যদি আফগানিস্তান সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান
তাহলে আফগানিস্তানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই
প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়ার জন্য
আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে চলতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
প্রস্তুত করে তা ভিসার আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিচে ভিসা
পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে
যোগাযোগ করতে হবে বাংলাদেশে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাসের
সঙ্গে। আপনারা আফগানিস্তানের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আফগানিস্তানের
ভিসা ফরম পেয়ে যাবেন।বাংলাদেশে অবস্থিত আফগানিস্তানের দূতাবাস এর
ঠিকানা:
- ঠিকানা: আফগানিস্তান এম্বাসি, ১ নাম্বার রোড # ৭, ডিপ্লোম্যাটিক এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা, বাংলাদেশ।
- ইমেইল: embassy.dhaka@mfa.af
তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে আফগানিস্তানে যেতে
চাচ্ছেন। আপনারা আফগানিস্তানে ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, এবং
স্টুডেন্ট ভিসা এছাড়াও বিজনেস ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যেতে
পারবেন। তারপর আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে এবং
সেগুলো জমা দিতে হবে।
ডকুমেন্টগুলো হচ্ছে:
- ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- আবেদন ফি জমা দিতে হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ফ্লাইট টিকিট
- ইত্যাদি
লেখকের শেষকথা: আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলচনা করেছি আফগানিস্তান ভিসা বাংলাদেশ
সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের পোস্টে বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আফগানিস্তানে যেতে
পারবেন কোন কোন ভিসার মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রবেশ করতে পারবেন। এবং
কিভাবে আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব পাবেন সকল উপায় বর্ণনা করা হয়েছে।
পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url