অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় ২০২৪

সরকারি মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সহজ উপায়

অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ এবং অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে এবং এছাড়া আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ সম্পর্কে। 

অস্ট্রেলিয়া-কাজের-ভিসা

আপনারা অনেকেই কাজের ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে নিজের ভাগ্য ফেরাতে ইচ্ছুক। কিন্তু আপনারা আসলে জানেন না কিভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং কোন ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে কত খরচ হয় সে সম্পর্কে।তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে। 

পেইজ সুচিপত্র: অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে আপনার অনেকে বিস্তারিত জানতে চান। আপনারা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। আপনারা বাংলাদেশ থেকে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা মাধ্যমে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসা পেয়ে যাবেন। 

আপনাদের অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করার জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছরের দক্ষতার পাশাপাশি আইএলটিএস স্কোর ৫ থেকে ৬ থাকতে হবে। তাছাড়া আপনারা অস্ট্রেলিয়াতে স্কিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে এই ভিসা য় যেতে পারবেন। এই ভিসা শুধুমাত্র যাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের প্রদান করা হয়ে থাকে। 

তাছাড়াও এই ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার কোন একটি পেশাতে কাজ করার যোগ্যতা থাকা লাগবে। এছাড়াও স্কিল নমিনেটেড ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কোন রাজ্য অথবা অঞ্চলে মনোনীত হতে পারবেন। এই ভিসার মাধ্যমে দক্ষ পেশাদার শ্রমিকদের জন্য খুবই পয়েন্ট ভিত্তিক ভিসা। 

তাছাড়া আপনারা যদি চান তাহলে স্কিল ওয়ার্ক রিজিওনাল ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে কোন বিশেষ অঞ্চলে বসবাস করার এবং কাজের সুযোগ পেয়ে যাবেন। তাছাড়া কেউ যদি অস্ট্রেলিয়াতে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায় তাহলে তাকে Employer Nomination Scheme Visa এর এর মাধ্যমে যেতে হবে।
কারণ এই ভিসা মানুষদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়া অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ১৮ থেকে ৩০ বছরের বয়সী নাগরিকদের জন্য একটি সাময়িক ভিসা প্রদান করা হয় যার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে ৬ মাস পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন এবং দেশটি সম্পন্ন ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়ে যাবেন ওয়ার্কিং হলিডে ভিসার মাধ্যমে। 

আপনারা যদি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে পারি জমাতে চান তাহলে আবেদনকারী কে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। তাছাড়াও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা জরুরী। তাছাড়া আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এ উত্তীর্ণ হতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া ভিসা ক্যাটাগরি

অস্ট্রেলিয়া ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। অস্ট্রেলিয়া দেশটি মূলত বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে। অস্ট্রেলিয়া দেশটি নিচে ছয়টি ভিসা প্রোদান করে থাকেন।
  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • কাজের ভিসা
  • শিক্ষার্থী ভিসা 
  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্স
  • পারিবারিক ভিসা
  • ব্যবসা ও বিনিয়োগ ভিসা
  • অস্থায়ী ভিসা 
আপনারা যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনারা এই ভিসা গুলোর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। এছারাও এই ভিসা গুলোর মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে ? আপনারা অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা আপনাদের জানাবোঁ যে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। আপনারা কোন ভিসার মাধ্যমে যাবেন এবং আপনার ভিসার ধরনের উপরে ভিত্তি করে টাকা কম বেশি হয়ে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে। 

আপনারা যদি Subclass 482 ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাজের জন্য স্পন্সরশিপের প্রয়োজন হবে। এবং এই ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার আনুমানিক $1,290 AUD প্রয়োজন হবে। এছারাও যদি আপনারা Subclass 189 এই ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আনুমানিক $4,240 AUD আবেদন ফি প্রয়োজন হবে। 
তাছাড়া যদি আপনারা কোনো অঞ্চলে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে  Subclass 190 ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং আবেদন ফ্রি প্রয়োজন হবে আনুমানিক $4,240 AUD। এছাড়াও যদি অস্ট্রেলিয়ার কোন স্পন্সর আপনাকে স্থায়ীভাবে স্পন্সর করে তাহলে আপনার আবেদন ফ্রি লাগতে পারে আনুমানিক $4,240 AUD। 

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য খরচ হতে পারে $300 - $500 AUD
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য খরচ হতে পারে প্রায় $20 - $50
  •  ভাষা দক্ষতার জন্য খরচ হতে পারে  $300 - $400 AUD

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানেন কি ? আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো যে কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

আপনারা যদি অস্ট্রেলিয়াতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যা হতে পারে দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু আপনারা যদি কিছু প্রক্রিয়া এবং ধাপ মেনে চলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। এজন্য আপনাকে কোন এক নির্দিষ্ট পেশায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

তারপর আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার কোন কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে স্কিল এর মূল্যায়ন করতে হবে যা ফি প্রদান করে করতে হয়। তারপর আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য http://www.probashi.gov.bd/ ওয়েবসাইটে চলে আসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিতে হবে। 

তারপর আপনাকে এক্সপ্রেসিয়ন অফ ইন্টারেস্ট এ আপনার স্কিল যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে এবং তা  Invitation to Apply (ITA) পাঠাতে হবে যদি আপনার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অভিজ্ঞতা থেকে থাকে। তারপর আপনাকে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। 
  • অভিজ্ঞতার সনদপত্র
  • পাসপোর্ট
  • ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ (যেমন IELTS)
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ
ইত্যাদি জমা দিতে হবে এবং আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পর তারা আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করবে।তারপর যদি আপনার ভিসা অনুমোদন হয় এবং সকল কিছু সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে অস্ট্রেলিয়াতে কাজের জন্য সুযোগ দেয়া হবে। এভাবে আপনারা অস্ট্রেলিয়াতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

অস্ট্রেলিয়া ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে

অস্ট্রেলিয়া ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে আপনারা অনেকেই গুগলে এই প্রশ্ন লিখে সার্চ করে থাকেন।অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়ার সময় নির্ভর করে আপনারা কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এবং আবেদনপত্র সঠিক রয়েছে কিনা এবং সঠিকভাবে জমা দিয়েছেন কিনা তার উপরে নির্ভর করে। 

আপনি যদি স্কিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে EOI জমা দেওয়ার পরে সময় লাগতে পারে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত। এবং ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে ৫ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত। তাছাড়া যদি আরও বিশেষ কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় এবং আবেদনপত্র জটিল হলে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। 
অস্ট্রেলিয়া-কাজের-ভিসা
এছাড়াও যদি আপনারা  স্কিলড নোমিনেটেড ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে  EOi জমা দেয়ার পর সাধারণত ৫ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাছাড়া আপনারা যদি টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভিসা প্রসেস হতে সময় লাগতে পারে দুই থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত। তাছাড়াও এই ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে

অস্ট্রেলিয়ার কোন নিয়োগ কর্তাকে আপনার জন্য স্পন্সর করতে হবে। এমপ্লয়মেন্ট নোমিনেশন স্কিম ভিসার আবেদন করলে ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে ছয় থেকে 12 মাস পর্যন্ত। তাছাড়া যারা অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান তাদের ভিসা আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত। 

অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ

অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন হতে পারে। এসব ভিসার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে খরচা একটু বেশি হয়ে থাকে।তবে আপনারা যদি স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে খরচ অনেক কম লাগতে পারে। আপনারা যদি বিভিন্ন দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান

তাহলে আপনাদের খরচা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।তবে আপনারা যদি সরকারি মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন তাহলে খরচ অনেকটা কমে যাবে। বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে খরচ হতে পারে সাত থেকে দশ লক্ষ টাকা। তবে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দেখার জন্য ভিজিট ভিসায় যেতে খরচ হতে পারে চার থেকে ৮ লক্ষ টাকা। 
তবে আপনারা যদি কাজের ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে খরচ অনেকটা বেশি লাগতে পারে।কাজের ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। তবে আপনারা যদি আপনাদের পরিচিত কোন এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন তাদের খরচ কিছুটা কম রাখতে পারে। 

এছাড়া সরকারি মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচা হতে পারে। কাজের ভিসার নির্দিষ্ট খরচ জানতে অস্ট্রেলিয়ার কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন কিংবা অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থানরত মানুষের থেকে বিস্তারিত খরচ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। 

অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য এখন আলোচনা করা হবে। আপনারা অনেকেই কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান। কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে যেতে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে এজেন্সি মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়াতে কাজের সুযোগ এবং বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। আপনার অনেক কম পরিশ্রমে অনেক বেশি বেতনের চাকরি করার সুযোগ পেয়ে যাবেন অস্ট্রেলিয়াতে। তবে আপনাকে অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করতে হলে অবশ্যই দক্ষতা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। 

বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে আপনারা স্থায়ী ভিসা এবং অস্থায়ী ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। আপনার যদি কাজের দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনাকে কোন কাজের সুযোগ দেয়া হবে না। অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। 

কেননা এদেশে দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং ভাষার যোগ্যতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। অস্ট্রেলিয়া দেশটিতে বিভিন্ন কাজের সুযোগ এবং চাহিদা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দেশে নিচের কাজগুলোর চাহিদা খুবই বেশি হয়ে থাকে এবং বেতন অনেক বেশি থাকে। কাজগুলো হচ্ছে
  • ক্লিনার ভিসা
  • হোটেল ভিসা
  • জব ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • সিজনাল ভিসা
  • নন সিজনাল ভিসা
  • কৃষি ভিসা
  • কোম্পানি ভিসা
  • শ্রমিক ভিসা লেভার ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
অস্ট্রেলিয়াতে এসব কাজ করার বিনিময় আপনাকে অনেক টাকা প্রদান করা হবে। এসব কাজ করার মাধ্যমে আপনি মাসে কমপক্ষে আশি হাজার থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজে ইনকাম করতে পারবেন। 

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনার অনেকেই বিস্তারিত জানতে চান। বাংলাদেশ থেকে আপনারা অস্ট্রেলিয়াতে কাজের জন্য, উচ্চশিক্ষার জন্য, এবং অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দেখার জন্য ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। আপনারা যদি অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে

এই স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আপনারা অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে আপনাকে প্রথমে একটি কোর্স নির্বাচন করতে হবে এবং আপনাকে একটি অথরাইজ এজেন্টের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং এই ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে নিচের যোগ্যতা মেনে চলতে হবে

তাছাড়া আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু আপনারা যদি সরকারের মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে খরচ কম হতে পারে। আপনারা যদি সরকারি মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তাহলে অস্ট্রেলিয়ার এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। 

এছাড়া আপনার যদি অস্ট্রেলিয়াতে কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে তার রেফারেন্সের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে অনেক কম খরচে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়ে থাকে। এভাবে আপনারা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়াতে পারি জমাতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কত কিলোমিটার

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কত কিলোমিটার?বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রায় চার হাজার কিলোমিটার। তবে দূরত্ব নির্ভর করে আপনি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তার উপরে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এবং ঢাকা থেকে  মেলবোর্ন প্রায় 6500 কিলোমিটার দূরত্ব অবস্থিত। 

আপনারা যদি বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনাদের যেতে সময় লাগবে প্রায় আট থেকে দশ ঘণ্টার মতো। 

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে তা নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে। আপনারা যদি কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর।কিন্তু আপনারা যদি ভিজিট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছর হতে হবে। 

আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গে একজন অভিভাবক থাকতে হবে। এছাড়াও যদি আপনারা উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগতে পারে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরি এবং আবেদনকারীর উদ্দেশ্যর উপরে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। 

 স্টুডেন্ট ভিসা 

  • অফার লেটার
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ
  • পাসপোর্ট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ
  • অর্থনৈতিক প্রমাণ
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  •  কোর্সের রেজিস্ট্রেশন প্রমাণ

ওয়ার্ক ভিসা

  • পাসপোর্ট
  • স্কিল অ্যাসেসমেন্ট
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
  • অর্থনৈতিক প্রমাণ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা

 ট্যুরিস্ট ভিসা 

  • পাসপোর্ট:
  • ভ্রমণের পরিকল্পনা
  • আর্থিক প্রমাণ
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
  • প্রতিশ্রুতি

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বেতন কত

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বেতন কত তা অনেকেই জানেন না। অস্ট্রেলিয়াতে কাজের বেতন সাধারণত ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন সেক্টরের উপর ভিত্তি করে বেতন অনেক কম বেশি হতে পারে। এবং যাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি হয়ে থাকে তাদের বেতন ও আরো অনেক বেশি থাকে। 
অস্ট্রেলিয়া-কাজের-ভিসা

অস্ট্রেলিয়াতে যেকোনো সেক্টরে কাজ করে মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনারা যারা অস্ট্রেলিয়াতে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন অবশ্যই কোন এক কাজে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন করুন। 

শেষকথা: অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আজকের এ পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত খরচ হবে সে সম্পর্কে। আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ সম্পর্কে। 

আমি মোহাম্মদ নয়ন। আপনাদের সুবিধার জন্য ব্লগিং নিয়ে বিগত এক বছর যাবত কাজ করে চলেছি। আমারে পোস্টগুলো যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url