কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ জানুন বিস্তারিত
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কুয়েত একটি
উন্নত দেশ হওয়ার কারণে অনেকের চাহিদা শীর্ষে রয়েছে কুয়েত। আমরা অনেকেই
কাজের জন্য কুয়েতে যেতে আগ্রহী। কিন্তু আমরা আসলে জানি না কুয়েতে কোন
কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েতের ভিসার দাম কত।
তাই আপনারা যদি কুয়েতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই
বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েতের ভিসার দাম
কত। আপনারা যদি এসব বিষয় না জানেন তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে
থাকুন।
পেইজ সুচিপত্র: কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আমরা অনেকেই জানি না। কুয়েত এক উন্নত দেশ হওয়ার
কারণে আমরা অনেকেই কাজের জন্য কুয়েত যেতে আগ্রহী। কারণ কুয়েত এক উন্নত দেশ এবং
এই দেশে মানুশের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই আমরা যারা কুয়েত যেতে
আগ্রহী তাদের অবশ্যই জানা জরুরী যে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি হয়ে
থাকে।
কুয়েতে বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনারা যদি কুয়েতে গিয়ে এসব কাজ
করতে পারেন তাহলে অনেক টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। কুয়েতে নিম্নোক্ত
কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
১. নির্মাণ শিল্প
কুয়েতে নির্মাণ শিল্প খাতে প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কারণ কুয়েতে
প্রতিনিয়ত বড় বড় অবকাঠামো, ব্রিজ, দালান কোঠা এবং বিশাল বিশাল ভবন
নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এসব নির্মাণ শিল্প তৈরি করতে
মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, এবং
ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কুয়েতে বিশেষ করে সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
২. স্বাস্থ্য সেবা
কুয়েতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কুয়েতে বিশেষ
করে ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং
অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মের চাহিদা সবচেয়ে শীর্ষে। তাই আপনার যদি
স্বাস্থ্যসেবা খাতে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে কুয়েতে খুব ভালো বেতনের কাজ পেয়ে
যাবেন।
৩. তেল ও গ্যাস শিল্প
তেল ও গ্যাস শিল্পে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক প্রয়োজন হয়ে থাকে। এর কারণ
হচ্ছে কুয়েত একটি তেল উৎপাদনকারী দেশ। তাই তেল ও গ্যাস শিল্পের জন্য
প্রচুর পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান এবং শ্রমিকের
প্রয়োজন হয়ে থাকে। এবং এ শিল্পের জন্য বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে
থাকে।
৪. আইটি ও প্রযুক্তি
আইটি ও প্রযুক্তি খাতে কুয়েতে চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ
করে সফটওয়্যার ডেভেলপার, সাইবার সিকিউরিটি, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
এদের ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কুয়েত আধুনিকায়ন করার জন্য এসব কাজে
চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫. হোটেল এবং পর্যটন শিল্প
হোটেল এবং পর্যটন শিল্পে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক প্রয়োজন হয়ে থাকে। হোটেলে
বিভিন্ন মানুষদের সুবিধা প্রদান এবং তাদের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করার
জন্য প্রচুর শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে
হোটেল ম্যানেজার, রুম সার্ভিস, কুক এবং
ট্যুর গাইডদের চাহিদা অনেক বেশি।
৬. শিক্ষা
কুয়েতে শিক্ষা খাতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষকের
চাহিদা সবচেয়ে শীর্ষে।তাছাড়াও কদর রয়েছে শিক্ষক ও একাডেমী
প্রশিক্ষকদের। এবং এসব দেশে শিক্ষা প্রদান করার জন্য অনেক বেতন দেওয়া হয়ে
থাকে।
তাছারাও কুয়েতে
মেকানিক, ড্রাইভিং, ক্লিনার, কোম্পানি জব, গৃহস্থালীর কাজ, বিক্রয়
কর্মী
ইত্যাদি কাজের চাহিদা কুয়েতে সবচেয়ে বেশি। তাই আপনারা যদি কুয়েতে কাজের জন্য
যেতে চান তাহলে এসব কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। কুয়েতে সবচেয়ে বেশি
প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে। তাই আপনার দক্ষতা থাকলে খুব
সহজেই যেকোন কাজ পাবেন।
কুয়েত ভিসার দাম কত
কুয়েত ভিসার দাম কত যারা কুয়েত যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই জানা
জরুরী। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আপনারা তিন ভিসার মাধ্যমে যেতে
পারবেন। আপনারা ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভিজিট ভিসার
মাধ্যমে কুয়েতে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে
২০-৩০ কুয়েতি দিনার প্রদান করতে হবে। যা বাংলাদেশী টাকায়
প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
দাম কিছুটা কম -বেশি হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে এই ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার জন্য
বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় এবং অনেক ফি প্রদান করতে হয়।
আপনারা যদি স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে যেতে চান তাদের প্রায়
১০ থেকে ১৫ কুয়েতি দিনার প্রদান করতে হবে।যা প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
তাছাড়া আপনারা যদি ভিজিট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাদের ৪-১০ কুয়েতি দিনার
ফি প্রদান করতে হবে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫-১০ হাজার টাকা।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত তা আমাদের বিভিন্ন সময় জানার প্রয়োজন
হয়। কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন বিভিন্ন পেশা ও দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন
হতে পারে। কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলাপ
আলোচনা করা হলো:
কর্মী ভিসা (নির্মাণ শ্রমিক, সাধারণ শ্রমিক)
কুয়েতে সাধারণ শ্রমিকদের বেতন হয়ে থাকে প্রায় ৭০-৮০ কুয়েতি দিনার
যা বাংলাদেশি টাকায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে। যারা বাসা বাড়িতে কাজ করে থাকে অথবা বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ করে
থাকেন তাদের বেতন নির্ধারণ করা হয় কাজের ধরন এবং চাকরির অবস্থান
অনুযায়ী।
মধ্যম স্তরের পেশা
কুয়েতে যারা মাধ্যমিক স্তরের কাজ করে থাকে যেমন অফিস সহকারি, সেলস
রিপ্রেজেন্টেটিভ তাদের বেতন সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয়ে
থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে। কুয়েতে মাধ্যমিক স্তরের কাজ করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা
,অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা।
উচ্চ পেশা (ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার, বিশেষজ্ঞ)
কুয়েতে যারা উচ্চ লেভেলের পেশায় কাজ করে থাকে তাদের বেতন অনেক বেশি
থাকে। কুয়েতে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০
কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশ টাকায় প্রায় দুই
থেকে চার লক্ষ টাকা। কুয়েতে এসব পেশায় কাজ করার জন্য উচ্চশিক্ষা এবং
দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য
কুয়েতে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন অনেক কম হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা বাসা
বাড়িতে কাজ করে অথবা দৈনন্দন কাজে নিয়োজিত তাদের বেতন অনেক কম হয়ে
থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের বেতন হয়ে থাকে ৫০ থেকে ৬০ কুয়েতি দিনার
যা বাংলাদেশী টাকায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
কুয়েতের কাজের বেতন নির্ভর করে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে। তাই আপনারা
যদি কুয়েতে যাওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোন এক কাজে দক্ষতা ও
অভিজ্ঞতা অর্জন করুন পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করুন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত যারা কুয়েতে কোম্পানি ভিসা যেতে যাচ্ছেন
তাদের অবশ্যই জানা জরুরী। আমরা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে কোম্পানি ভিসার
মাধ্যমে কুয়েতে যেতে চাই। কিন্তু আমরা যদি না জানি কুয়েতে কোম্পানি
ভিসার বেতন কত হয়ে থাকে তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে
পারি।
আপনার যদি যোগ্যতা অন্যদের থেকে বেশি থাকে তাহলে আপনার বেতন অন্যদের থেকে
কিছুটা বেশি থাকবে। কুয়েতে সাধারণত কোম্পানি ভিসার বেতন ৩০
থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য
বিস্তারিত দেখানো হলো কুয়েতে কোম্পানি ভিসার কোন কাজের বেতন কত।
কুয়েতে একজন শ্রমিক অথবা হেলপারের কোম্পানির বেতন হয়ে থাকে ১০০ থেকে
দেড়শ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০-৬০ হাজার টাকা। কুয়েতে
যারা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন তাদের কোম্পানি নির্ধারিত বেতন
হয়ে থাকে ১২৫-১৫০ কুয়েতি দিনার। যারা বিভিন্ন এসি,
অথবা রেফ্রিজারেটর মেরামত করেন তাদের বেতন ১৩৫ কুয়েতি দিনার
হয়ে থাকে।
তাছাড়া কুয়েতে যারা ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন তাদের কোম্পানি নির্ধারিত
বেতন হয়ে থাকে ১২৫ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৫০০০
টাকা। এছাড়াও একজন ড্রাইভার প্রত্যেক মাসে কোম্পানি থেকে বেতন পেয়ে
থাকেন ১৩৫ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে।
এছাড়াও একজন ওয়েল্ডার এবং প্লাম্বার এর বেতন হয়ে থাকে ১১০-১২০ কুয়েতি
দিনার যা প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তাছাড়া যারা উচ্চ লেভেলে কাজ করে থাকেন
ইঞ্জিনিয়ার এদের বেতন সাধারণত হয়ে থাকে ৫০০ থেকে ১০০০ কুয়েতি
দিনার। এবং যারা স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজ করেন যেমন
ডাক্তার, আর্কিটেক্ট এদের বেতন হয় ৯০০-২০০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত।
তাছাড়াও কুয়েতের বেতন কাঠামো বিভিন্ন কারনে কম বেশি হতে পারে। কুয়েতের
বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কাজ করলে বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও
কুয়েতের চাহিদা সম্পন্ন কিছু খাত রয়েছে যেগুলোতে অন্যান্য
খাতের চেয়ে বেতন বেশি হয়ে থাকে যেমনতেল, গ্যাস, নির্মাণ, বা প্রযুক্তি
খাত। তাছাড়া যাদের দক্ষতা বেশি থাকে তাদের বেতন বেশি হয়ে
থাকে।
কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত
কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের
ধরন, প্রতিষ্ঠান আপনার দায়িত্বের উপরে। তবে কুয়েতে ক্লিনারের
বেতন সাধারণত অনেক কম হয়ে থাকে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো কুয়েতে
ক্লিনারের বেতন কত সে সম্পর্কে;
কুয়েতে যারা গৃহস্থালী ক্লিনার, অফিস ক্লিনার বা নির্মাণ সাইটের ক্লিনার
হিসাবে কাজ করেন তাদের বেতন হয়ে থাকে ৬০-১০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী
টাকায় 20 থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে বাসা বাড়ি ক্লিন করার চেয়ে অফিস
ক্লিন করলে বেতন সাধারণত কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। এবং কিছু কিছু কোম্পানিতে
ক্লিনার হিসেবে কাজ করলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়।
কোম্পানি থেকে থাকার ব্যবস্থা, খাবার সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করা হয়ে
থাকে। এছাড়াও যারা নির্মাণ সাইটের ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন তাদের বেতন
হয়ে থাকে ৬০-৮০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি টাকায় 15 থেকে 25 হাজার টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত আমাদের বিভিন্ন সময় জানার প্রয়োজন
পড়ে। আমরা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যেতে
চাই। কিন্তু আসলে আমরা জানিনা কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত। তাই
আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত সে
সম্পর্কে।
কুয়েতে গাড়ির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কারণে ড্রাইভারের চাহিদা প্রচুর হয়ে
থাকে। আপনারা যদি কুয়েতে গিয়ে ডাইভিং করতে চান তাহলে আপনারা সেখানে
গিয়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি
ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা। বর্তমান সময়ে কুয়েতে
ড্রাইভিং ভিসা বেতন হয়ে থাকে আশি থেকে এক লক্ষ টাকা।
কুয়েতে যারা ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন তাদের ভেতর হয়ে থাকে ৯০-১
লাখ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত কাজ করলে আরো বেশি থাকা
অর্জন করা সম্ভব হয়। এবং যাদের ড্রাইভিং এ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি
তাদের বেতন সাধারণত ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ পর্যন্ত হয়ে
থাকে। আপনারা যদি কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার
মোট খরচ হতে পারে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা।
কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত
কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত তা নির্ভর করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং
প্রতিষ্ঠানের উপরে। কুয়েতের কাজের বাজারে এমন কিছু পেশা রয়েছে যেগুলোর
চাহিদাও সবচেয়ে বেশি এবং এবং বেতনের পরিমাণ হয়ে থাকে
সর্বোচ্চ। নিচে কুয়েতের সর্বোচ্চ বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো;
কুয়েতে একজন ডাক্তার অথবা চিকিৎসক প্রায় ১-২ হাজার কুয়েতি দিনার বেতন পেয়ে
থাকেন যা আমাদের দেশের টাকা য় প্রায় ৪-৭ লাখ টাকা। তাছাড়া কুয়েতে
একজন ইঞ্জিনিয়ার যারা তেল, গ্যাস অথবা নির্মাণ শিল্পে কাজ করে থাকেন
তাদের বেতন হয়ে থাকে ৮০০-৩০০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশি
টাকায় তিন থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যারা কুয়েতে শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন অথবা বড় বড় কোম্পানির
ম্যানেজার অথবা সিও হিসেবে কাজ করেন তাদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়ে
থাকে। এদের বেতন ২-৭ হাজার কুয়েতি দিনার হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায়
৭- ২৪ লাখ টাকা। তাছাড়া কুয়েতে যারা আইটি বিশেষজ্ঞ অথবা সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন--
তাদের বেতন হয়ে থাকে ১-২ হাজার কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০-৬০
লাখ টাকা। তাছাড়া যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তাদের বেতন ও
তুলনামূলক বেশি থাকে। কুয়েতের কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের
বেতন হয়ে থাকে ১৫০০-৩০০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৫
থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
কুয়েতের সর্বোচ্চ বেতন প্রদান করা হয় উচ্চ দক্ষতা অভিজ্ঞতার
উপরে। কুয়েতে যারা তেল, গ্যাস, আইটি ইত্যাদি সেক্টরে কাজ
করেন তারাই সর্বোচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন।
কুয়েতের টাকার মান আমাদের বিভিন্ন সময় জানার প্রয়োজন হয়ে
থাকে। কুয়েতের মুদ্রা একটি শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে
পরিচিত। কুয়েতের টাকাকে বলা হয় কুয়েতি দিনার। কুয়েতের এক দিনার
বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৮৮ টাকা। নিচে কুয়েতের টাকার মান নিয়ে আলাপ আলচনা
করা হল;
ক্রমিক নম্বর | কুয়েত দিনার (KWD) | বাংলাদেশি টাকা (BDT) |
---|---|---|
1 | 1 দিনার | 388 টাকা |
2 | 10 দিনার | 3880 টাকা |
3 | 100 দিনার | 38804 টাকা |
4 | 500 দিনার | 194023 টাকা |
5 | 1000 দিনার | 388046 টাকা |
6 | 5000 দিনার | 1940231 টাকা |
7 | 10,000 দিনার | 3880463 টাকা |
8 | 50,000 দিনার | 19402317 টাকা |
লেখকের শেষকথা: কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাথক, আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলচনা করেছি কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েত ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনাদের উপকারে আসবে। আমরা সবসময় আপনাদের সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। পোস্টে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url