শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণগুলো জানুন

 টাইফয়েড জ্বর কতদিন পর্যন্ত থাকে এবং সঠিক চিকিৎসা

শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করবো শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা এবং প্রতিকার সম্পর্কে। 

শিশুর-টাইফয়েড-জ্বরের লক্ষণ

টাইফয়েড জ্বর সাধারণত হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে। তাই আপনারা যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার গ্রহন করতে না পারেন তাহলে মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।তাই আজকে আমরা আলোচনা করব শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং প্রতিকার এবং টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম সম্পর্কে। 

পেজ সূচিপত্র: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ

শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তবে টাইফয়েড জ্বর হলে নিচের লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়। নিচে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো; 
  1. জ্বর: টাইফয়েড জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীরে  ১০১–১০৫°F পর্যন্ত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। 
  2. পেটের ব্যথা: শিশুর টাইফয়েড জ্বর হলে শিশুর পেটে অতিরিক্ত ব্যাথা অনুভূত হতে পারে অথবা পেটে অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর হলে নাভির চারপাশে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হতে পারে। 
  3. অরুচি: শিশুর টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শিশুর খাবারের প্রতি কোন রুচি থাকে না। কোন খাবার খেতে চাই না।
  4. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য: শিশুর টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শিশুর পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুর এই মারাত্মক জ্বর দেখা দেওয়ার ফলে কোন কোন শিশুর ডায়রিয়া হয়ে থাকে আবার কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় ভুগতে হয়। 
  5. শরীরের দুর্বলতা: শিশুদের টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শিশুদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাদের শরীর অনেক দুর্বল হতে পারে, শরীরে কোন শক্তি নাও থাকতে পারে এবং সব সময় ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। 
  6. বমি বা বমি বমি ভাব: শিশুদের টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শিশুরা মাঝেমাঝে বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে অথবা অনেক বেশি পরিমাণে বমি করতে পারে। 
  7. শরীরের ব্যথা: টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে। 
  8. মুখ শুকিয়ে যাওয়া: কিছু কিছু শিশুর টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে এবং মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখ লাল হতে পারে। 
  9. সর্দি-কাশি: শিশুদের টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে সর্দি-কাশি সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সর্দি কাশি টাইফয়েডের প্রধান লক্ষণ নয়। 
টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে সাধারণত উপরের উপসর্গগুলো দেখা যায়। তাছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হলে মাথা ব্যথার সমস্যা, সবসময় দুর্বলতা অনুভব করা এবং নিদ্রাহিনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কোন শিশুর এসব সমস্যা দেখা যায় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত তা না হলে পরবর্তীতে আর বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম

টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আমরা মারাত্ঙ্ক রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম।টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসার জন্য সাধারণত এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

নিচে টাইফয়েড জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করা হল: 
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
  • এমোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
  • সেফট্রাক্সন (Ceftriaxone)
  • এনরফ্লক্সাসিন (Enrofloxacin)
  •  ফ্ল্যাগিল (Metronidazole)
  • জ়োফ্লক্সাসিন (Gatifloxacin)
  • মেরোপেনেম (Meropenem)
আপনাদের যদি টাইফয়েড জ্বরের কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করা উচিত। কেননা টাইফয়েড জ্বরের জন্য সঠিক পরিমানে এন্টিবায়োটিক এবং ডোজ দেওয়া প্রয়োজন। এবং অপ্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই টাইফয়েডের লক্ষণ দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। 

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। টাইফয়েড জ্বর সাধারণত হয়ে থাকে সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে। এই জ্বর ছড়িয়ে থাকে সংক্রমিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে। নিচে কিছু টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে; 

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ

  1. জ্বর
  2. পেট ব্যথা
  3. অরুচি
  4. ডায়রিয়া
  5. কোষ্ঠকাঠিন্য
  6.  বমি বমি ভাব
  7. শরীরের দুর্বলতা
  8. মাথা ব্যথা
  9. শরীরব্যথা
  10. গা ঘিনঘিন করা
  11. সর্দি-কাশি
  12. ত্বকের ওপর র‍্যাশ

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার

টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে আপনাকে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ গ্রহন করা উচিত। নিচে টাইফয়েড জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: 

শিশুর-টাইফয়েড-জ্বরের লক্ষণ
টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় আপনারা নিচের অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারবেন: 
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
  • সেফট্রাক্সন (Ceftriaxone)
  • এমোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
  • এনরফ্লক্সাসিন (Enrofloxacin)
  • ফ্ল্যাগিল (Metronidazole)
  • মেরোপেনেম (Meropenem)
আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপরোক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে পারবেন। তাছাড়াও টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য বেশি পরিমাণে পানি, স্যুপ, নারকেল পানি এবং অন্যান্য ইলেকট্রোলাইট ড্রিঙ্ক বেশি বেশি পরিমাণে গ্রহন করা উচিত। 

তাছাড়াও টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীর ক্লান্ত থাকে যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।এবং বেশি বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে সাদা ভাত,  স্যুপ ইত্যাদি খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ এবং অম্লীয় বা বেশি মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। এবং রোগী এবং পরিবারের সদস্যদের
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এবং পানি এবং খাবার যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবনমুক্ত রাখা উচিত। এছারাও আপনারা  টাইফয়েড জ্বরের হাত থেকে বাঁচার জন্য টাইফয়েড ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে টাইফয়েড সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে এবং এই সমস্যা সমাধান হতে পারে। 

এছাড়াও আপনারা যদি সঠিক সময়ে টাইফয়েড ের এর চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে মারাত্মক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন; 
  • অন্ত্রের রক্তক্ষরণ
  • অন্ত্র ফেটে যাওয়া
  • সেপটিসেমিয়া
  • মস্তিষ্কের প্রভাব
তাই আপনাদের যদি টাইফয়েড জ্বর লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া উচিত না হলে এটি মারাত্মক সমস্যা রুপান্তর হতে পারে।তাই টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। 

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সঠিক খাবার গ্রহণ করা হলে খুব দ্রুত এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং এসব খাবার গ্রহণ করলে শরীরে শক্তি উৎপাদন বেশি হবে এবং কিছু কিছু খাবার টাইফয়েড জ্বর হলে এড়িয়ে চলা উচিত। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত: 

টাইফয়েড জ্বর হলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।যার ফলে আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি, নারিকেল পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। নারকেলের পানি গ্রহণ করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট পুনরুদ্ধার হবে এবং  স্যুপ খাওয়ার ফলে হজমে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। 
এছারাও আপনাকে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা আপনার পেট এবং শরিরের জন্য উপকারী এবং যেসব খাবার খাওয়ার ফলে শরিরে শক্তি উত্‌পাদন হবে। তাই টাইফয়েড জ্বর হলে সাদা ভাত বা পোলার ভাত খাওয়া উচিত। এছারাও বেশি পরিমানে পুষ্টিকর তরল খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এজন্য আপনারা টাইফয়েড এর সময় বেশি করে ওটমিল, দুধের স্যুপ খেতে পারেন। 

এছারাও আপনাদের যদি টাইফয়েড এর কোনো লক্ষ্মণ দেখা দেয় তাহলে আপনাদের উচিত বেশি বেশি পরিমানে সেদ্ধ সবজি গ্রহণ করা । কারণ, সেদ্ধ সবজি সহজে হজম হয় এবং আমাদের শরিরে ভিটামিন এর ঘাটতি পুড়ন করবে তাই আপনারা বেশি বেশি গাজর, আলু, মটর, এবং বাঁধাকপি ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন যা আপনার জন্য উপকারী। 

তাছারাও আপনারা প্রোটিনের জন্য বিভিন্ন খাবার যেমন মুরগির স্যুপ বা সেদ্ধ মাছ খেতে পারেন যা অতিরিক্ত মশলা এবং অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাছাড়া আপনাকে এমন কিছু ফল খেতে হবে যা খুব সহজে হজম হয় এবং শরিরে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে এজন্য কলা, আপেল, পাকা পেয়ারা ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন । 

টাইফয়েড জ্বরের সময় যেসব খাবার এড়ানো উচিত:

টাইফয়েড জ্বরের সময় কিছু খাবার এড়ানো উচিত যেগুলো আপনারা খেলে বিভিন্ন সমসসায় পড়তে পারেন। 
  • তেলযুক্ত বা মসলাদার খাবার
  • দুগ্ধজাত খাবার
  •  ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার
  • অতিরিক্ত তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত তেল ও লবণ
  • কাঁচা বা অপরিষ্কার খাবার
  • অপরিষ্কার পানি
  • অতিরিক্ত মিষ্টি ইত্যাদি। 
টাইফয়েড জ্বরের সময় উপরের খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কেনোনা এসব খাবারে নানারকম সমস্যা হতে পারে। তাই এসব খাবার পরিহার করা উচিত। 

টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়

টাইফয়েড জ্বর একটি মারাত্মক রোগ। তাই আমাদের অবশ্যই জানা উচিত টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে। আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়--

  • চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন: টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্য সাধারণত এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ মতো এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে। 
  • প্রচুর তরল পান করুন: টাইফয়েড জ্বর হলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি, লবণ পানি বা ইলেকট্রোলাইট সলিউশন বা স্যুপ, ডাল, ফলের রস ইত্যাদি পান করতে পারেন। এসব তরল খাবার খুব সহজে হজম হবে এবং শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। 
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম: টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন অলসতা এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমানে ঘুমাতে হবে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর দেখা দিবে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং শারীরিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। 
  • হালকা খাবার গ্রহণ: টাইফয়েড জ্বর শরীরে দেখা দিলে হালকা খাবার গ্রহণ করতে হবে। হালকা খাবার যেমন ভাত, খিচুড়ি, সেদ্ধ আলু, সেদ্ধ সবজি, সাদা ডাল ইত্যাদি খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। কারণ এসব খাবার খুব সহজেই হজম হয় এবং শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। তাছাড়াও সব ধরনের কাচা খাবার পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ: টাইফয়েড জ্বর একটু মারাত্মক রোগ। তাই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। এবং শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর জন্য জ্বর কমানোর ঔষধ ন্যাপা, প্যারাসিটামল ইত্যাদি ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। 
  • শরীরকে গরম রাখা: টাইফয়েড জ্বর দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ঔষধের পাশাপাশি গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। এবং যদি কখনো খুব বেশি গরম অনুভূত হয় তাহলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। 
  • সবসময় পরিষ্কার থাকা: টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার পরিবেশ এবং অপরিষ্কার খাবার। এজন্য আমাদের সবসময় খাবারের আগে সাবান  দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।এবং শৌচালয় ব্যবহার করার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।তাছাড়াও আমাদের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। 
  • নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ : টাইফয়েড জ্বর মারাত্মক রোগ। তাই প্রাথমিক অবস্থা থেকে এ রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এবং নিয়মিত চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।তাছাড়া শরীরের জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং এর সঙ্গে অন্য উপসর্গ দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া উচিত।
উপরের উপায়গুলো মেনে চললে  টাইফয়েড জ্বর ভালো হতে পারে। তাই আপনারা যদি টাইফয়েড জ্বর ভালো করতে চান তাহলে উপরের উপায় মেনে চলুন।
শিশুর-টাইফয়েড-জ্বরের লক্ষণ

টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নাম

টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নাম জানার জন্য অনেকে গুগলে সার্চ করেন। নিচে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হল টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নামগুলো: 

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার হিসাবে দুই ধরনের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। 
  1. অপিভ্যাকসিন(Typhoid Vi polysaccharide vaccine)
  2. টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (Typhoid Conjugate Vaccine)

অপিভ্যাকসিন

এটা টাইফয়েড জ্বরের সাধারণ ইনজেকশন ভ্যাকসিন যা শিশুর টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য দেওয়া হয় এবং এটা ৩ বছর শিশুদের জন্য কার্যকর। 

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন একটা উন্নত ভ্যাকসিন যা শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী এক ভ্যাকসিন। এই ভাক্সিন ৬ মাস থেকে ৩ বছরে্র শিশুদের জন্য উপকারী হতে পারে। 

লেখকের শেষকথা:শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে এছারাও আমরা আজকে আলোচনা করেছি টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম সম্পর্কে। আশা করা যায় পোস্ট টি আপনাদের উপকারে আসবে। যদি পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে একটা কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url