পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জানুন বিস্তারিত
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। আপনারা অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন কিন্তু আপনি আসলেই জানেন ই না যে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট করতে দেওয়ার পর আপনার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার উপায় সম্পর্কে।
তাই আপনারা যারা আসলেই জানেন না পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তাদের জন্য এবং আপনার পাসপোর্ট করতে দেওয়ার পর আপনারা খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার উপায় এবং আপনার পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে সকল বিষয় সম্পর্কে।
পেইজ সুচিপত্র:পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জানুন
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমরা আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলাপ আলচনা করবো।
আপনারা অনেকেই জানেন না যে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তাই আমরা আপনাদের আজকে
জানাবো যে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে
কি কি লাগবে আমরা সম্পূর্ণ আলোচনা করবো।
আপনারা খুব সহজেই কোনো দালাল এর সাহায্য না নিয়ে খুব সহজেই পাসপোর্ট এর জন্য
আবেদন করতে পারবেন। আপনারা আপনার জন্ম নিবন্ধন এবং ভোটার আইডি কার্ড এর সাহায্য
আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আর আপনার পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে
তা নির্ভর করবে আপনার পাসপোর্ট কোন ধরনের হবে তার উপরে।
তাই আমরা আজকের পোস্ট এ আপনাদের সাথে আলাপ আলোচনা করবো আপনার আলাদা
ধরনের পাসপোর্ট করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। তো চলুন আরো
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট
হয়েছে কিনা চেক করার উপায় সম্পর্কে।
পাসপোর্ট সাধারণত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে।
- শিশুদের পাসপোর্ট।
- প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট।
- সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট।
শিশুদের পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
শিশুদের জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করার জন্য আপনার নিচে
দেওয়া ডকুমেন্টস প্রয়োজন
- শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- অনলাইন আবেদনের কপি
- আবেদন ফি
- 3R Size Photo
- টিকা কার্ড
আপনার শিশুদের জন্য পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই গার্ডিয়ানের ভোটার আইডি
কার্ডের কপি এবং জন্ম নিবন্ধন এর কপি প্রয়োজন হবে। যেহেতু যাদের বয়স ২০ বছরের
কম তাদের তাদের ভোটার আইডি কার্ড থাকে না, আর এজন্য শিশুর গার্ডিয়ান
এর ডকুমেন্টস প্রয়োজন। কিন্ত যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তারা
গার্ডিয়ান এর ডকুমেন্টস ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কি কি লাগতে পারে
আমরা অনেকেই জানি না। তাই আপনাদের সাথে আমরা আলোচনা করেছি প্রাপ্তবয়স্কদের
পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।
- ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি
- ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- অনলাইন আবেদন সারাংশ
- অনলাইন আবেদনের কপি
- আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট কার্ড অথবা সার্টিফিকেট
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি
- নাগরিক সনদপত্র
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- অনলাইনে আবেদন সারাংশ
- আবেদনের পরে অনলাইন আবেদনের কপি
- বিবাহিত হলে নিকাহনামা
- পিতা মাতার এনআইডি
- NOC অথবা GO
আপনারা যারা সরকারি চাকরি করেন এবং দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে
চাচ্ছেন তাদের জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করার জন্য NOC ও GO এই ডকুমেন্টস প্রয়োজন
হবে। আপনারা আপনাদের মন্ত্রণালয় কিংবা অভিদপ্তর থেকে আপনার NOC (No Objection
Certificate) (No Objection Certificate) ডকুমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং জমা দিতে
হবে।
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার উপায়
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। আমাদের
বিভিন্ন সময় জানার আগ্রহ জানে যে আমার পাসপোর্ট হয়েছে কি না অথবা আমাদের দেশে
এখন ভুয়া পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে দালালেরা। এজন্য
আমাদের পাসপোর্ট আসল না কি নকল তা চেক করার জন্য আমাদের জানা উচিত
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার উপায় সম্পর্কে।
আপনারা দুই মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন
- অনলাইনের মাধ্যমে
- এসএমএস এর মাধ্যমে
অনলাইনের মাধ্যমে
অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করার জন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে
https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status অথবা এই
লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার প্রয়োজন হবে আপনার আপনার পাসপোর্ট স্লিপ এর
Application ID বা Online Registration ID এবং আপনার জন্ম তারিখ DD-MM-YYYY
ফরমেটে।
- ধাপ ১ : এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status
- ধাপ-২ : Check Status বাঁটনে ক্লিক করুন
- ধাপ-৩ : তারপর আপনার সামনে আপশন আসবে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা Application ID এর আপনাকে সেখানে সেগুলো বসাতে হবে
- ধাপ-৪ : তারপর আপনার জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে DD-MM-YYYY ফরমেটে।
- ধাপ-৫ : i am not a robot ফরম ফিলাপ করুন
- ধাপ-৬ : তারপর আপনাকে চেক বাঁটন এ ক্লিক করতে হবে।
এসএমএস এর মাধ্যমে
এসএমএস এর মাধ্যমে আপনারা যারা আপনাদের পাসপোর্ট চেক করতে চান তারা পোস্ট
টি পড়তে থাকুন। আপনাকে এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট চেক করার জন্য
মেসেজ আপশন এ যেতে হবে এবং টাইপ করতে হবে START EPP
Application ID Number, এবং এই মেসেজ আপনাকে পাঠিয়ে দিতে হবে 6445
নম্বরে।
- উদাহারন স্বরূপ : SRART EPP 4321-98765548
এই এস এম এস পাঠানো র পর আপনাকে ফিরতি এস এম এস জানিয়ে দেওয়া হবে ই পাসপোর্ট
সম্বলিত সমস্ত তথ্য। আশা করা যায়, আপনারা এই পোস্ট এর মাধ্যমে অনলাইন এবং এস এম
এস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
পাসপোর্ট কয় প্রকার
পাসপোর্ট ৩ প্রকার।
- শিশুদের পাসপোর্ট।
- প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট।
- সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট।
ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
আপনারা অনেকেই জানেন না যে ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? তাই আপনাদের মনে
সাধারণত প্রশ্ন আসতেই পারে যে ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। তাই আমরা আজকে
আপনাদের জানাবো যে ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
বছর | পৃষ্ঠা | রেগুলার ডেলিভারি | এক্সপ্রেস ডেলিভারি | সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিন) |
---|---|---|---|---|
৫ | ৪৮ | ৪,০২০ | ৬,৩৩০ | ৮,৬২৫ |
৫ | ৬৪ | ৬,৩২০ | ৮,৬২৫ | ১২,০৭৫ |
১০ | ৪৮ | ৬৩২০ | ৮,৬২৫ | ১০,৩৫০ |
১০ | ৬৪ | ৮,০৫০ | ১০,৩৫০ | ১৩,৮০০ |
ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করার নিয়ম
আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন করার সুযোগ পেয়ে
যাবেন ই-পাসপোর্ট এর জন্য। এজন্য আপনাকে প্রথমে চলে যেতে হবে এই
ওয়েবসাইট অনলাইন পোর্টালে। তারপর আপনাকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করতে হবে তারপর
আপনাকে আবার ক্লিক করতে হবে অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু
বাটনে।
এই ভাবে আপনারা আপনাদের ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আবেদন
করার আগে আপনাকে ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ সম্পর্কে জানতে হবে। আর
এজন্য আপনাকে প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার
নাম সিলেক্ট করার পর ক্লিক করতে হবে এবং পরের ধাপে আপনাকে ই-পাসপোর্টের
মূল ফরমটি পূরণ করার পর জমা দিতে হবে।
৩ নাম্বার ধাপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ
এবং পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুযায়ী আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে
আপনার আপনাদের যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে টাকা
পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া আপনারা চাইলে অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো
এক ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে স্লিপের নম্বর নিতে পারবেন।
সকল কাজ সম্পূর্ণ হলে আপনারা ফাইনাল সাবমিট অপাশন এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে
আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে খুব দ্রুত চলে যাবে। আশা
করা যায়, আপনারা বুঝতে পেড়েছেন ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে আমরা অনেকেই জানি না। আমরা অনেকেই দেশের বাইরে
যেতে চাই। আবার এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো দেশে আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে
তাহলে সে দেশে চলে যেতে পারবেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে পাসপোর্ট
করতে কত টাকা লাগতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট করতে কত টাকা
লাগে?
বছর | পৃষ্ঠা | রেগুলার ডেলিভারি | এক্সপ্রেস ডেলিভারি | সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিন) |
---|---|---|---|---|
৫ | ৪৮ | ৪,০২০ | ৬,৩৩০ | ৮,৬২৫ |
৫ | ৬৪ | ৬,৩২০ | ৮,৬২৫ | ১২,০৭৫ |
১০ | ৪৮ | ৬৩২০ | ৮,৬২৫ | ১০,৩৫০ |
১০ | ৬৪ | ৮,০৫০ | ১০,৩৫০ | ১৩,৮০০ |
ই-পাসপোর্ট করার সুবিধা
ই-পাসপোর্ট করার রয়েছে নানা বিধ সুবিধা। আমরা অনেকেই জানি না ই-পাসপোর্ট
করার সুবিধা সম্পর্কে। আজকে আপনারা যারা জানেন না যে ই-পাসপোর্ট করার
সুবিধা কি কি তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক
ই-পাসপোর্ট করার সুবিধা গুলো কি কি? ই পাসপোর্ট হচ্ছে এক আধুনিক
পাসপোর্ট
এর কিছু প্রধান সুবিধা নিচে দেওয়া হল :
- উন্নত নিরাপত্তা
- খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া
- বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা
- ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা
- উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
লেখকের শেষকথা :পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্ট এ আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা
করেছি পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার
উপায় সম্পর্কে। আশা করা যায় পোস্ট টি আপনাদের উপকারে আসবে। যদি পোস্ট
ভালো লাগে তাহলে কম্নেত করুন। ধন্যবাদ
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url