"কীভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াবেন? জানুন কার্যকর উপায়!"

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আজকের এই পোস্ট এ আমরা আলোচনা করবো পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে।পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অবশ্যই ভালভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

পড়াশোনায়-মনোযোগী-হওয়ার-উপায়

তাই আপনারা যাতে পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী হতে পারেন সেজন্য আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কিছু কার্যকর উপায় সম্পর্কে।তাই আপনারা যারা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজের জীবন গড়তে চান তাদের অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত। 

পেইজ সুচিপত্র: পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা এই পোস্ট এ আলোচনা করবো। অনেক মানুষের পড়তে বসলেই মন অন্য দিকে চলে যায়। এজন্য আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানাতে আজকের এই পোস্ট। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিচের নিয়ম মেনে চলুন--

কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে পড়তে বসলেই নানারকমের চিন্তাভাবনা মাথার ভেতর ঘুরপাক খাই, ফোন চাপতে ইচ্ছা করে আর ফোন হতে নিলে সময় কোনোদিক দিয়ে চলে যায় তা বুজতেই পারি না আর পড়তে বসলেই সময় আর যেতেই চায় না। আপনারও যদি এরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে পোস্টটি আপনার জন্যই। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার সঠিক স্থান নির্বাচন করুন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার সঠিক স্থান নির্বাচন করুন কেনোনা যেসব জায়গায় পড়তে বসলে আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবেন সেইসকল স্থান নির্বাচন করুন। যেসকল জায়গায় আপনি সারাদিন সুয়ে বসে থাকেন ,বিশ্রাম করেন সেই সকল স্থান পরিত্যাগ করুন । কারণ সেই জায়গা দেখলে আপনার আর পড়তে ইচ্ছা হবে না। 

পড়াশোনায় মনযোগী হতে হলে আলো বাতাস আসে এইরকম জায়গা নির্বাচন করতে হবে কেননা আলো আসার ফলে আপনার চোখের উপর চাপ কম পড়বে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সঠিক থাকে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগী হতে আপনার স্থান নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজন্য বুঝে বুঝেশুনে করার স্থান নির্বাচন করবেন যাতে আপনি মনোযোগী হতে পারেন পড়াশোনায় ।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন কেনোনা আপনাকে লক্ষ্য নির্ধারণ রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে এমন যাতে আমরা তা সহজেই পুরন করতে পারি। আমরা অনেক সময় উৎসাহে অনেক বড় পরিকল্পনা করি।  তা পরে পুরণ না হলে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক কমে যায় 

তাই শুরুতে সহজ পদক্ষেপ নিয়ে শুরু করতে হবে তারপর ধীরে ধীরে তা কঠিন রূপান্তর হবে আর এভাবেই লক্ষ অনুযায়ী চলতে পারলে আমরা পড়াশোনা অনেক বেশি মনোযোগী হতে পারব এবং আমাদের রেজাল্ট অনেক ভালো হবে। এজন্য আপনি আপনি আপনার লক্ষ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারেন। 

এতে আপনি ছোট ছোট পদক্ষেপ নেবেন এবং তা পূরণ করবেন। এভাবে ছোট ছোট পদক্ষেপ পার করতে করতে আপনি অনেক বড় লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।ধরুন আপনি ইংরেজিতে ৮০ নাম্বার পাওয়া আপনার প্রধান লক্ষ্য।এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইংরেজি বইয়ের অর্ধেক পাঠ্যপুস্তক করে ফেলার জন্য সিদ্ধান্ত নিন।

এছাড়াও আপনি এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন যে আপনি এই সপ্তাহে তিনটি বিষয়ে পারবেন। আবার পরের সপ্তাহে তিনটি বই পড়বেন এভাবে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং তা মেনে চলুন এতে আপনি সহজেই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবেন।এবং এতে আপনার রেজাল্ট অনেক ভালো হবে। এজন্য সবসময় লক্ষ্য নির্ধারণ করে পড়াশোনা করুন। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে পড়ুন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে পড়ুন কেনোনা একটানা পড়লে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়  এজন্য কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নেওয়া উচিত পর পর বি্রতি নিয়ে পড়লে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে এবং পরা মনে থাকে  বিরতিতে চা খেতে পারেন। তাই ৩০-৪০ মিনিট পর পর ১০-১২ মিনিটের জন্য বিরতি নিতে পারেন বিরতিতে হালকা ঘুম হাঁটাহাঁটি করতে পারেন । 

এরকম কিছু কৌশল আছে  আপনি বিরতিতে ব্যায়াম করতে পারবেন। বিরতিতে হালকা য়ে নিতে পারেন কিংবা পাঁচ থেকে দশ মিনিট হাটাহাটি করতে পারেন । পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিরতি নিয়ে না বললে আপনি ঠিকভাবে পড়া মনে রাখতে পারবেন না। আপনার অনেক সমস্যা হবে পড়া মনে রাখতে। 

কোন কিছু অনেকক্ষণ করলেও আপনার মস্তিষ্কে তা থাকবে না তা আপনি খুব সহজে ভুলে যাবেন। এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর কিছুক্ষন বিরতি নেওয়ার জন্য । আপনার মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকবে আপনি যদি বিরতি নিয়ে পড়েন তাছাড়া আপনার মনোযোগ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এজন্য পড়াশোনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এক ঘন্টা পর পর কিছুক্ষনের জন্য বিরতি নিন ।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন কেনোনা, পড়ার সময় হাতে থাকা ফোন দূরে রাখুন কেননা আপনার হাতে ফোন আসলেই আপনার পড়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে যাবে।আর ফেসবুক ইউটিউব এ প্রবেশ করলেই ২-৩ ঘন্টা সময় শেষ সময় কোনদিক দিয়ে শেষ হয়ে যাবে তা বুজতেই পারবেন না।

ফোন আপনার কাছে থাকলে ফোনে নোটিফিকেশনে আসা মাত্র  আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে আপনারা পড়তে ইচ্ছা হবে না । আর এক পরি সন্তান অনুযায়ী দেখা গেছে একজন সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী গড়ে প্রতিদিন ২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট ফেসবুক ইউটিউব ইউটিউব এইসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কল করে সময় ব্যয় করে। 
পড়াশোনায়-মনোযোগী-হওয়ার-উপায়
অথচ এই সময় পড়াশোনায় কাজে লাগালে তার অনেক ভালো রেজাল্ট হতো এবং ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত হতে পারত। এজন্য অবশ্যই পড়ার সময় ফোন থেকে দূরে থাকবেন এবং ফোনে একটি অ্যাপ ব্যবহার করুন যাতে আপনি একটু নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ফোন ব্যবহার করতে না পারেন নির্দিষ্ট সময় পর যাতে ফোন অন হয় এরকম একটি অ্যাপ ব্যবহার করুন । 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য নিজেকে নিজেই পুরস্কার দিন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য নিজেকে নিজেই পুরস্কার দিন কেমন নিজে নিজে একটা টার্গেট ফিক্সড করুন যে আমি গণিতে ৬০ পাইলে আমি একটা জিনিস পাবো সেটি হতে পারে আপনার প্রিয় টেক-আউট খাবারের অর্ডার দেওয়া ,ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা ইত্যাদি কিংবা চকোলেট সেটা যেকোনো কি্ছুই হতে পারে এর ম্যাধমে আপনি পড়াশোনার জন্যে আরো বেশী উৎসাদিত হবেন । 

আপনি ছোটখাটো উদযাপন করেন নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করেন এতে আপনার পড়ার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে যাবে । আপনি লক্ষণ নির্ধারণ করুন লক্ষ করুন তারপর নিজে নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করুন এভাবে আপনার লক্ষ্য খুব সহজে পূরণ হয়ে যাবে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে নিজে নিজেকে পুরস্কৃত করা একটি ভালো উপায় এতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য সহজ দিয়ে শুরু করুন

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য সহজ দিয়ে শুরু করুন কেনোনা আপনার কাছে যেগুলো সহজ মনে হয় সেগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন পরে আস্তে আস্তে কঠিন বিষয় ও সহজ মনে হবে রুটিন বানিয়ে নিন এই সময় আপনি বাংলা পড়বেন তারপর ইংলিশ তারপর অংক এইভাবে ৩০-৪০ মিনিট একটানা পড়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিন।

এতে মন ভালো থাকবে আপনাকে সবার আগে আপনার টার্গেট ফিক্সড করতে হবে ।রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে অবশ্যই ভালো কিছু আশা করা যায় । আপনি সবসময় সহজ দিয়েশুরু করবেন । সহজ কোন বিষয় পূরণ করার পর আপনি আস্তে আস্তে তার থেকে হালকা কঠিন পড়াতে চলে যাবে তারপর সেটা শেষ করার পর তার থেকে একটু কঠিন পড়ায় চলে যাবেন ।

এভাবে আপনি খুব সহজে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবেন। পড়াশোনায় মনোযোগের ক্ষেত্রে সহজে শুরু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি সহজ থেকে ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে কঠিনে চলে যাবেন এভাবে আপনি খুব ভালো একজন ছাত্র হিসেবে পরিণত হবেন।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য পরিমিত ঘুমান

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য পরিমিত ঘুমান কেনোনা ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লিয়ার রাখে।যার ফলে পড়াশোনায় অনেক বেশি মনোযোগী হওয়া যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান এতে শরীর সুস্থ থাকে এবং মণ ভালো থাকবে দিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।পর্যাপ্ত ঘুমালে শরীর সুস্থ থাকবে তখন যা করা হবে তাই ভালো হবে। 

ঘুম কম হলে আমাদের মনোযোগ বিনষ্ট হয় আবার বেশি ঘুমও আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি করে ফেলায় এজন্য ঘুম দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে । পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীর হালকা থাকে এবং ফ্রেশ থাকে যার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সব কিছু মনে রাখতে পারে। এজন্য আপনারা যদি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান তাহলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ঘুমাতে হবে। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য একসঙ্গে একাধিক কাজ করা যাবে না। যেকোনো এক কাজ করতে হবে মনোযোগ দিয়ে তাহলে ভালো হবে একসাথে অনেকগুলা কাজ করলে মনোযোগ নষ্ট হয় পড়ে কোন কাজই সম্পন্ন করা যায় না। আপনি যখন পড়তে বসবেন তখন অন্য কোন কাজ আপনার করা যাবে না । 

কোন কাজ করার সময় যেকোনো এক ফোকাস করতে হবে। যেকোনো এক বিষয় মনোযোগ দিলে আপনি ওই কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন।এজন্য আপনি যদি অবশ্যই পড়াশোনায় মনোযোগ দেন তাহলে আপনি একসঙ্গে কখনোই একাধিক কাজ করবেন না যে কোন এক কাজ করবেন এবং পড়ার সময় অন্য কোন চিন্তাভাবনা মাথায় নিয়ে আসা যাবে না। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য মনোযোগ নষ্ট হবে এমন জিনিস সরিয়ে ফেলা

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য মনোযোগ নষ্ট হবে এমন জিনিস সরিয়ে ফেলা উচিত। আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে এমন জিনিসপত্র হাতের কাছে না রাখাই ভালো। এতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে আপনি কখ্নোই টিভি আছে এমন রুমে পড়তে বসবেন না। তাছাড়াও আপনাকে সব সময় আকর্ষণ করে এমন জিনিস পড়তে বসার সময় সরিয়ে ফেলা উচিত। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়তে বসা

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়তে বসা উচিত কেনোনা আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়তে বসলে আপনি তা সহজেই পুরন করতে পারবেন। আত্মবিশ্বাস থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব।আপনি যখন পড়তে বসবেন তখন সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়তে বসবেন যে আমি আমার লক্ষ্য পূরণ করব আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়তে বসলেআপনি খুব সহজেই তা পূরণ করতে পারবেন। 

আত্মবিশ্বাস জিনিসটি আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি আত্মবিশ্বাস থাকে আপনি সকল কাজ খুব সহজেই কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই করতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি কোনদিনই কোন দিন সফল হতে পারবেন না। এজন্য সবসময় আত্মবিশ্বাসের সাথে সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

আর আপনারা যখন পড়তে বসবেন তখন নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই বিষয়টি শেষ করতে পারবেন। তাই পড়াশোনা ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস রাখা খুবই জরুরী। শুধু পড়াশোনা ক্ষেত্রে নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস জিনিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার খান

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার খান কেনোনা পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করুন সবসময় এতে শরীর সুস্থ থাকবে মণ ভালো থাকবে ব্রেইন ভালো থাকবে এজন্যা ফল্মুল শাকসবজি ডিম দুধ কলা ডাল গরুর মাংস মাছ সবুজশাক খান বেশী করে পুষ্টি ও সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং আপনার মস্তিষ্ককে ভালো রাখবে ।

এজন্য পড়াশোনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এতে আপনার সবকিছুই ভালো থাকবে। শরীর মন ভালো না থাকলে আপনি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে আপনাকে ভালো খাবার খেতে হবে । পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার পড়াশোনা মনে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য একটা বিষয় পড়ার পর তা লেখার অভ্যাস করা

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য একটা বিষয় পড়ার পর তা লেখার অভ্যাস করা উচিত অন্যান্য সব বিষয় থেকে এই একটা বিষয় সবচেয়ে বেশী কার্যকরী। কেননা আপনি যদি একটি বিষয় মুখস্ত করলেন কিছুক্ষন পর আপনি তা ভুলে যাবেন। কিন্তু আপনি একটি বিষয় প্রমাণ করে দেখেন আপনি একটি যিনিস ২থেকে ৩ মিনিট পড়ার পর 

তা দুই থেকে তিনবার লিখবেন দেখবেন ওই বিষয়টা আপনার মুখস্ত হয়ে  গেছে এজন্য কোনো বিষয় পড়ার পর তা দুই তিনবার লেখা উচিত।এই উপায় অবলম্বন করলে আপনি অনেক ভালো ছাত্র হতে পারবেন।এজন্য আপনি যদি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। এতে আপনি যে পরা পড়বেন তা মনে থাকবে। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ফজরের পর পড়তে বসতে হবে

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ফজরের পর পড়তে বসতে হবে কেনোনা ফজরের নামাজের পর পড়তে বসলে আপনি তখ্ন মনযোগ সহকারে পড়তে পারবেন।কোন কোলাহল নাই শান্ত পরিবেশ। সকাল সকাল পড়লে পড়া মনে থাকে ভালো এজন্য আপনি যদি ভালভাবে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে আর সকালে ঘুম থেকে উঠলে মন ও ভালো থাকবে । 
পড়াশোনায়-মনোযোগী-হওয়ার-উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক কিছু উপায় সম্পর্কে। তাই বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সাধারণত সালাত, দোয়া এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে করা হয়। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আপনাকে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। আপনাকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে যাতে আপনার পড়াশোনা ভালো হয়। 

তাছাড়াও পড়াশোনায় মনোযোগ হওয়ার জন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে একান্তে দোয়া করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে আপনার আবেদন জানাতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত ইস্তেগফার করতে হবে। এছাড়াও পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তাছাড়াও আপনাকে পড়াশোনার জন্য একটি পরিকল্পনা সাজাতে হবে। আপনাকে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করতে হবে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি সুন্দর একটি পরিকল্পনা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন। তাছাড়া আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লামের জীবনে অনুসরণ করতে হবে। 

তিনি তার জীবনে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন এবং ধৈর্য ধরেছেন। তিনি ধৈর্য ধরার ফল পেয়েছেন এজন্য আমাদের উচিত সবসময় ধৈর্য ধারণ করা। তাছাড়াও আপনাকে সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। এগুলো সাধারণত পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়। 

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া বাংলা উচ্চারণ :"
  • সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম।"
অর্থ : (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (২/৩২)

শেষকথাঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হয়েছে। এই উপায়গুলো মেনে চললে আপনারা মনোযোগী হতে পারবেন এবং আশা করি ভালো ফলাফল করতে পারবেন। আপনাদের কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url