গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় জানুন

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় আপনারা অনেকেই জানার জন্য প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপনারা যদি অতিরিক্ত বিশ্রাম করে থাকেন তাহলে সেটি হতে পারে খুবই বিপদজনক। 
গর্ভাবস্থায়-বেশি-শুয়ে-থাকলে-কি-হয়
গর্ভাবস্থার সময় শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে। যার ফলে আমরা অনেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় বিশ্রাম নিতে পছন্দ করি। গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করা শিশু এবং মা উভয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন কিন্তু অতিরিক্ত বিশ্রাম নেওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে মারাত্ঙ্ক কিছু সমস্যা। তাই গর্ভাবস্থায় দিনে কতক্ষণ শুয়ে থাকা উচিত জানতে পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

পেইজ সুচিপত্র: গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় আপনারা অনেকে জানতে চান। গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে শুয়ে থাকলে দেখা দিতে পারে কিছু মারাত্মক সমস্যা যা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তাই সকল গর্ভবতী মায়েদের উচিত গর্ভাবস্থার সময় অতিরিক্ত শুয়ে না থাকা। অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে দেখা দিতে পারে কিছু সমস্যা। 

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে মারাত্মক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করা জরুরি কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে শুয়ে থাকলে সেখানে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তারা পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে নিচের সমস্যাগুলো দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

  • রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে দেখা দিতে পারে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা। রক্ত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সঠিক ভাবে চলাচল করতে পারে না। যার ফলে শিশু এবং মা এর মারাত্ঙ্ক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছারাও অনেক বেশি পরিমাণ শুয়ে থাকা অথবা বিশ্রাম গ্রহণ করার ফলে মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট ও রক্তচাপ কমে যেতে শুরু করে। 
  • পেশী দুর্বলতা: অনেক বেশি পরিমাণ শুয়ে থাকার ফলে আমাদের শরিরের পেশিগুল দুর্বল হতে শুরু করে। তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত বিশ্রাম না করে হালকা হাঁটাহাঁটি করা, অল্প কিছু পরিমাণ বেয়াম করা। বেয়াম করার ফলে আমাদের শরীর থাকবে সুস্থ এবং পেশি থাকবে সবল। এজন্য আমাদের শরিরের দুর্বলতা রোধ করার জন্য হালকা বেয়াম করা গুরুত্বপুর্ন। 
  • পিঠ ও কোমরের ব্যথা: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে দেখা দিতে পারে পিঠ ও কোমরের ব্যথা। আপনারা যদি শুয়ে থাকার সময় বিশেষ ভঙ্গি তে শুয়ে না থাকেন তাহলে এসব সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সঠিক ভঙ্গি তে শুয়ে না থাকার ফলে পিঠ ও কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। যার ফলে  পিঠ ও কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। 
  • ওজন বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের শরীর যদি অতিরিক্ত বিশ্রাম নিতে শুরু করেন এবং কোন কাজ না করে তাহলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ওজন বৃদ্ধি না করতে চাইলে নিয়মিত হাঁটা উচিত এবং আপনারা যদি গর্ভাবস্থার সময় কোন শারীরিক পরিশ্রম না করেন তাহলে মেটাবলিজমের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • হজমের সমস্যা: কোনো খাবার গ্রহণ করার পর পরই যদি আপনারা শুয়ে ্থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনাদের উচিত খাবার গ্রহণ করার পর শুয়ে না থাকা। এছাড়া আপনারা যদি অতিরিক্ত পরিমানে শুয়ে থাকেন তাহলে গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 
  • ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস বৃদ্ধি: অতিরিক্ত পরিমানে বিশ্রাম করার ফলে আমাদের মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমাদের উচিত বিশ্রাম করার পাশাপাশি হালকা বেয়াম করা। 
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমানে বিশ্রাম করার ফলে উপরের সমস্যা গুলো দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনারা যারা গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য নিচে গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি ও সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। 

গর্ভাবস্থায় দিনে কতক্ষণ শুয়ে থাকা উচিত

গর্ভাবস্থায় দিনে কতক্ষণ শুয়ে থাকা উচিত সেটা আমাদের সকলের ক্ষেত্রে জানা জরুরী। কেনোনা আমরা যদি গর্ভাবস্থায় দিনে কতক্ষণ শুয়ে থাকা উচিত সে সম্পর্কে না জানি তাহলে অতিরিক্ত পরিমানে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত। 

গর্ভাবস্থায় দিনে ৮-৯ ঘন্টা শুয়ে থাকা উচিত। তবে শুধু শুয়ে থাকলে আমাদের শরিরে বিভিন্ন মারাত্ঙ্ক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে ৮-৯ ঘন্টা বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি কিছু সময়  হালকা ব্যায়ামও গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা দিনে যখন বিশ্রাম করবেন এক টানা ৫-৬ ঘন্টা না ঘুমিয়ে মাঝে মাঝে একটু হাঁটা চলা করার চেষ্টা করা উচিত। 

তাছাড়া আপনারা যারা রাতে এক টানা ৮-৯ ঘন্টা ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে একটানা ৮-৯ ঘন্টা না ঘুমিয়ে মাঝরাতে ১০-১৫ মিনিট হাঁটা চলা করা উচিত। তাছাড়া আপনাদের যদি অতিরক্ত শুয়ে থাকার ফলে কোমর বা পিঠে ব্যথা হয় তাহলে ঘুমানর সময় পিঠ অথবা কোমর এর নিচে বালিশ দিয়ে রাখা উচিত। 

আপনাদের যদি অতিরিক্ত পরিমানে শুয়ে থাকার ফলে পা ফুলে যায় তাহলে পা একটু উঁচু করে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এছাড়া আপনাদের যদি অতিরিক্ত পরিমানে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে  একটু কাত হয়ে শোয়া উচিত। 

গর্ভাবস্থায় কিভাবে শুয়ে থাকা উচিত

গর্ভাবস্থায় কিভাবে শুয়ে থাকা উচিত সে সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই জরুরী। কেনোনা গর্ভাবস্থায় কিভাবে শুয়ে থাকা উচিত সে সম্পর্কে জানা না থাকলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমানে শুয়ে থাকলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম করা যাতে বাচ্চা এবং মা উভয় থাকে সুস্থ। 
  • শুয়ে থাকার সময় যদি আপনার পিঠে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে পিঠে র নিচে বালিশ দিয়ে শুয়ে থাকা উচিত। 
  • যদি পেথ বেথা অনুভূত হয় তাহলে একটু কাত হয়ে শোয়া উচিত। 
  • দিনের বেলায় এক টানা ৭-৮ ঘন্টা না ঘুমিয়ে দিনে ২ ঘন্টা করে ঘুমাবেন এবং ২০ মিনিট হাঁটা চলা করবেন। 
  • রাতের বেলায় মা্ঝ রাতে উঠে ২০ মিনিট হাঁটা চলা করা উচিত। 
গর্ভাবস্থায়-বেশি-শুয়ে-থাকলে-কি-হয়

গর্ভাবস্থার সময় সুস্থ থাকতে যা যা করা উচিত

গর্ভাবস্থার সময় সুস্থ থাকতে যা যা করা উচিত সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। 
গর্ভাবস্থার সময় সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করা জরুরী। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থার সময় সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে। 

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ : গর্ভাবস্থার সময় সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এজন্য গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে শাক-সবজি, মাছ মাংস, ডিম, ফলমূল ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও দিনে কমপক্ষে ৩-৫ লিটার পরিমাণ পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন: চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। 

বিশ্রাম গ্রহণ করা এবং ব্যায়াম করা: গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অতিরিক্ত বিশ্রাম করার ফলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক কিছু সমস্যা। এজন্য বিশ্রাম করার পাশাপাশি ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য হালকা হাঁটা চলা,  যোগব্যায়াম বা প্রেনাটাল ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও দিনে ছোট ছোট পরিমাণে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম করা জরুরী। 

এছাড়াও আপনাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে বাম দিকে শুয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বাম দিকে শুয়ে থাকার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন সঠিক পরিমাণে অব্যাহত থাকে। 

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা: গর্ভাবস্থার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিষ্কার থাকতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ, এবং গোসল করা জরুরী। এছাড়াও টয়লেট করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত এবং কাঁচা এবং অপরিষ্কার খাবার পরিহার করা উচিত। 

চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা: গর্ভাবস্থার সময় চিকিৎসার পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গর্ভাবস্থার সময় নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। এজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ, ব্লাড টেস্ট এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

মানসিক চাপ থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থার সময় মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা খুবই জরুরী। কেননা এ সময় অতিরিক্ত চাপ নেওয়া মারাত্মক ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এজন্য চাপমুক্ত থাকতে বই পড়া, গান শোনা বা প্রিয় কিছু করা উচিত। 

গর্ভাবস্থায় যেসব ব্যায়াম করা উপকারী

গর্ভাবস্থায় যেসব ব্যায়াম করা উপকারী সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গর্ভাবস্থায় কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং যখন বাচ্চা ডেলিভারি করা হয় তখন খুব সহজে ই ডেলিভারি সম্পন্ন করা যায়। 

হাঁটাচলা : গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু ভারী ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো সব সময় পরিহার করা উচিত। এজন্য গর্ভাবস্থায় সহজ এবং নিরাপদ ব্যায়াম বেছে নিতে হবে। এজন্য আপনারা দিনে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করতে পারেন। এছাড়া আপনারা গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করার জন্য দ্রুত হাঁটা সাঁতার কাটা, নাচ ও সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারবেন। 

এছাড়াও মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী ব্যায়াম রয়েছে। যে ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আপনারা আপনাদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য ইয়োগা, পিলাটেস, তাই-চি ও আপার বডি এক্সারসাইজ ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই ভারী ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে। 

 গর্ভাবস্থায় সঠিক রুটিন এবং ডায়েট প্ল্যান 

গর্ভাবস্থায় সঠিক রুটিন এবং ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা শিশু এবং মা উভয়ের জন্যই উপকারী। নিচে আপনাদের সঙ্গে  গর্ভাবস্থায় সঠিক রুটিন এবং ডায়েট প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করা হলো। 

গর্ভাবস্থার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এজন্য আপনাকে গর্ভাবস্থার সময় রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় রুটিন অনুযায়ী আপনার জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে এটি মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী। গর্ভাবস্থায় রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করলে বিভিন্ন ঝুঁকি রোধ করা যায়। 

এজন্য গর্ভাবস্থায় সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। মাঝে মাঝে দুপুরে একটু বিশ্রাম নিলে তা শরীরের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে হালকা ধরনের ব্যায়াম করা জরুরী। তবে অবশ্যই ভারী ধরনের ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 


এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ বেশি অনুভূত হতে পারে। এজন্য মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে ব্যায়াম করা, এবং আরো বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়াও গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত। 
গর্ভাবস্থায়-বেশি-শুয়ে-থাকলে-কি-হয়

সঠিক ডায়েট প্ল্যান

গর্ভাবস্থার সময় সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুযায় ী জীবন যাপন করলে তা খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে। এজন্য আপনারা সকালের খাবারে দুধ, দই, আটা রুটি, ফলমূল, বাদাম ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। দুপুরের খাবারে আপনারা রুটি, অথবা ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, মাছ ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। 

বিকালের দিকে আপনারা সালাদ, বাদাম, চিয়া সিট, দুধ ইত্যাদি খাবার খেতে পারবেন। এবং রাতের খাবারে আপনারা ভাত ভাত, রুটি, মাছ, মুরগির মাংস, ফলমূল ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এগুলো খাবার নিয়মিত গ্রহন করলে মা এবং শিশু দের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে। খাবারের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। 

গর্ভাবস্থার সময় আপনাকে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও, নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। এবং আপনি যদি ক্যাফেন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন তা সম্পূর্ণ কমিয়ে দিতে হবে। এবং কাঁচা জাতীয় খাবার সম্পন্ন পরিহার করতে হবে। এবং বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। 

লেখকের শেষ মন্তব্য: গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সে সম্পর্কে। আপনারা অনেকে এ প্রশ্ন জানার জন্য প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করতেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আলোচনা করেছি গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সে সম্পর্কে। আশা করা যায়, এ পোস্ট আপনাদের উপকারে আসবে। যদি পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url