মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী
আপনারা কি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর হচ্ছে মালয়েশিয়ার একটি সুন্দর এবং ঐতিহ্য সম্পূর্ণ একটি শহর।
কুয়ালালামপুর শহরটি সবসময় উৎসবের আমেজে মেতে থাকে। আপনারা যদি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরটি ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন মালয়েশিয়ার আধুনিকতার ছোঁয়া এবং মালয়েশিয়ার সকল ঐতিহ্য।
পেইজ সুচিপত্রঃ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী
- মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী
- কুয়ালালামপুরের দর্শনীয় স্থান
- কিভাবে যাবেন কুয়ালালামপুরে
- কুয়ালালামপুরে গিয়ে কোথায় থাকবেন
- কুয়ালালামপুর ভ্রমণ খরচ
- কুয়ালালামপুর কোথায় এবং কি শপিং করবেন
- কুয়ালালামপুরে কোথায় ও কি খাবেন
- মালয়েশিয়া ভ্রমনে কিছু টিপস
- লেখকের শেষকথা
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী
কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়ার রাজধানী। এখানে আপনারা যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পারবেন পাশাপাশি দেখতে পারবেন আধুনিকতার ছোঁয়া। কুয়ালালামপুর এর দর্শনীয় এক স্থান হচ্ছে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার যা দেখার জন্য প্রতেকদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন। কুয়ালালামপুর দক্ষিন এশিয়ার এক নামকরা শহর।
কুয়ালালামপুরের দর্শনীয় স্থান
কুয়ালালামপুর শহরটি অসংখ্য ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নিয়ে গঠিত। বালিশের কুয়ালালামপুর শহর জুড়ে রয়েছে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। এছাড়াও কুয়ালালামপুরে রয়েছে সুদৃশ্য পার্ক, ঐতিহাসিক মিনার, মুঘল ধাঁচের গম্বুজ এবং স্কাই স্কাপার। এছাড়াও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহর জুরেই দেখা মিলবে অসংখ্য সারি সারি রঙিন খাবারের দোকান।
আপনারা যদি হাতে সময় নিয়ে মালয়েশিয়া ভ্রমনে যান তাহলে ঘুরেদেখতে পারবেন শহরের সুন্দর সুন্দর ঐতিহাসিক স্থান এবং বিভিন্ন ধরনের জায়গা যেগুলো মনোমুগ্ধকর। কুয়ালালামপুর হচ্ছে মালয়েশিয়ার রাজধানী। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনীতে যা যা ঘুরে দেখবেন---
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার
টুইন টাওয়ার কুয়ালালামপুরের প্রধান আকর্ষণ। টুইন টাওয়ারে গিয়ে আপনারা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ঘুরে শেষ করতে পারবেন। আপনারা টুইন টাওয়ার ঘুরে দেখার জন্য আগে থেকেই টিকিট কাটার জন্য চেষ্টা করবেন হোক অনলাইনে অথবা অফলাইনে। এছাড়াও আপনারা টুইন টাওয়ারের আশেপাশে ঘুরে দেখার জন্য স্কাই ব্রিজ, অবজারভেশন ডেক এবং পেয়ে যাবেন একটা সুন্দর গিফট শপ।
টুইন-টাওয়ার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি অথবা পেপারে দেখেছি। এটা উচ্চতার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম টুইন টাওয়ার। আপনারা টুইন টাওয়ারের ৮৬ তলার উপরে থেকে পুরো কুয়ালালামপুরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা যদি অবজারভেশন ডেকে যেতে চান তাহলে আগে ভাগেই স্লট বুক করে রাখবেন।
ভ্রমন টিপস
- হোটেল নেওয়ার সময় এমন রুম নেওয়ার চেষ্টা করবেন যেখান থেকে আপনারা রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। রাতের বেলায় এই টাওয়ার দেখতে আরো অনেক বেশী সুন্দর হয়ে উঠে।
- এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার সোমবারে বন্ধ থাকে বাকি ৬ দিন খোলা থাকে। সকাল ১০ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার।
- এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার এ প্রবেশ ফি- ৮০ রিঙ্গিত।
ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম
মালয়েশিয়ার কলালামপুরের রয়েছে ইসলামিক ভবন এবং চমৎকার চমৎকার ক্যালিওগ্রাফি কার্পেট এবং গহনা। ইসলামী ঘাট মিউজিয়াম এখানে রয়েছে বিশ্বের সেরা ইসলামিক সব নিদর্শন। এখানে প্রায় প্রতেকেই মুসলিমদের ব্যবহৃত সব কার্পেট, ক্যালিগ্রাফি এবং বিভিন্ন ইসলামিক শিল্প দেখার জন্য ভীড় জমান।
এছাড়াও এই ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম এর বিল্ডিং এর গম্বুজের কাড়ুকার্য সবার নজর কেড়ে নেয়। আপনারা কুয়ালালামপুর ঘুরতে গেলে অবশ্যই ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম এ ঘুরতে যাবেন।
চায়না টাউনঃ
চায়না টাউন আপনারা ঘুরতে যেতে পারেন পুরাতন কুয়ালালামপুর শহর খুঁজে পাওয়ার জন্য। এই চায়না টাউন এ রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন সব নিদর্শন এবং চায়না শহরের এখ্ন প্রায় অনেকটাই উন্নত। চায়না টাউনে আপনারা ঘুরে দেখার জন্য আরো অনেক জায়গা পাবেন যেমন মিনারা টাওয়ার, সেন্ট্রাল মার্কেট, মারদেকা স্কোয়ার, জংসান বিল্ডিং এবং পেতালিং স্ট্রীট মার্কেট।
লেক গার্ডেনস
কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে সুন্দর এবং সবুজের চাদরে ঘেরা অপরূপ সুন্দর এই লেক গার্ডেনস। এই লেক গার্ডেনস প্রায় ১৭৩ হেক্টরের বিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এই জায়গা অনেক সুন্দর মনরম জায়গায় অবস্থিত। আপনারা এই লেক গার্ডেন এর আশেপাশে ঘুরার জন্য অনেক ভালো পরিবেশ পেয়ে যাবেন।
লেক র্গাডেনস অনেক সুন্দর একটা জায়গা। আপনারা যদি এই এখানকার লেক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরতে আসেন তাহলে আপণিও এর প্রেমে পড়ে যাবেন। এছাড়াও কুয়ালালামপুরে এল বার্ড পার্ক নামের একটা পার্ক রয়েছে যা ঘুরে দেখার মতো।
ন্যাশনাল মিউজিয়াম
আপনারা এই ন্যাশনাল মিউজিয়াম ঘুরতে আসলে দেখতে পারবেন মালয়েশিয়ার আগের এবং এখনকার সব ইতিহাস। এখানে বিভিন্ন গ্যালারীতে রয়েছে তে দেশের ভূতাত্ত্বিক বিভিন্নবৈশিষ্ট্য ও প্রাগৈতিহাসিক সময়ের ইতিহাস। আরো রয়েছে আধুনিক ইতিহাসের সব মন্দিরের প্রাচীর, রাজকীয় বিছানা
আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের নমুনা পোশাক দেখতে পারবেন। তাছাড়াও এই গার্ডেনের পাশে রয়েছে দুটি চমৎকার ছোট গ্যালারি আছে।
মানেরা কুয়ালালামপুর
এই মানেরা কুয়ালালামপুর এমন একটা টাওয়ার যেখান থেকে আপনারা উপভোগ করতে পারবেন পুড়ো কুয়ালালামপুরের সৌন্দর্য। এই টাওয়ারের উপরে রয়েছে সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও মানেরা কুয়ালা লামপুর এ সবাই খোলা আঁকাশের নিচে ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করেন। এছারাও এখানে রয়েছে ২৭৬ মিটার উঁচুতে অবস্থিত একটা অবজারভেশন ডেক।
এছাড়াও মানেরাতে আরো রয়েছে ৩০০ মিটার উচু স্কাই ডেক। যে জায়গা পর্যটকেরা অনেক পছন্দ করেন। এসব স্কাই ডেকে বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য বাচ্ছাদের প্রবেশের অনুমতি নেই।
মার্দেকা স্কোয়ার
মার্দেকা স্কোয়ার হল বর্গাকৃতি খোলামেলা এক বিশাল জায়গা যেখানে ৭৫ মিটার ফ্ল্যাগ পোল দিয়ে ঘেরা। এই জায়গায় মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এই মার্দেকা স্কয়ার জায়গার চারপাশ জুড়ে রয়ে্ছে সব উঁচু উঁচু দালান। যেগুলো দেখার জন্য সবসময় পর্যটকেরা ভীড় করেন। এসব বিল্ডিং এর মধ্যে আব্দুল হামিদ বিল্ডিং আকর্ষণীয়।
কে এল বার্ড পার্ক
এই পার্ক পুড়ো মালয়েশিয়ার মানুষদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। এই পার্কে রয়েছে প্রায় ৩০০০ এর ও বেশী পাখি এবং ২১ হেক্টর বিস্তৃত পাখিশালায়। এখানে প্রায় ২০০-২৫০ প্রজাতির পাখির দেখ পাওয়া যাবে। এই কে এল বার্ড পার্ক আবার চার ভাগে বিভক্ত। এই চার ভাগের প্রথম দুই ভাগে পাখিরা ছায়ার নিচ দিয়ে অবাধে চলাচল করে
এবং তীয় ভাগের পাখিরা হলো হর্নবিল যাদের ঠোঁট অনেক বড় হয়ে থাকে। আর চতুর্থ ভাগে পাখিদের সংরক্ষণ করার জায়গা। আপনারা এইখানে ঘুরতে গেলে অনেক কিছু দেখতে পারবেন এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কে এল ফরেস্ট ইকো পার্কঃ
এই পার্ক অনেক পুড়নো একটা পার্ক। অনেক আগে থেকেই এখানে সব পোকামাকড় সংরক্ষণ করা হয়। এই পার্কটি সংরক্ষিত জঙ্গল যাকুয়ায়ালালামপুর এর মাঝখানে অবস্থিত। এই পার্কে আপনারা বিভিন্ন রকমের জন্তু এবং পাখির দেখা পাবেন। এই পার্ককে আবার অনেকেই আনারসের পাহাড় বলে থাকে।
এছাড়াও এখানকার উঁচু ক্যানোপির পাশ দিয়ে রাস্তা অনেক সুন্দর। সেই রাস্তা দেখেই আপনার ভালো লাগবে দুইপাশে সব সুন্দর গাছ অনেক ভালো লাগার মতো পরিবেশ। এছাড়াও কুয়ালালামপুরে রয়েছে ডিয়ার পার্ক, অর্কিড গার্ডেন, বাটারফ্লাই পার্ক ও সিন সযে সি ইয়া টেম্পল আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গা থেকে।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী টিপস
- এই পার্ক প্রতিদিন খোলা থাকে
- এই পার্কে আপনারা সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫.৩০ পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন
- এই পার্কে প্রবেশের জন্য ৪০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত দেওয়া লাগবে
- কে এল টাওয়ার থেকে খুব কাছে অবস্থিত এই কে এল ফরেস্ট ইকো পার্ক
কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টারঃ
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরটির মাঝখানে অবস্থিত কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার।এই এলাকাটি পুরোটাই জমকালো শপিং মল এবং অনেক বড় বড় চোখ ধাঁধানো রেস্টুরেন্টে পরিপূর্ণ এই কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার। কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টারে রয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত সব নামিদামি ব্যান্ডগুলোর দোকান।
কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার রয়েছে গুচি, রোলেক্স, লুই ভিটন, নাইকি এবং আরো সব নামীদামী ব্যান্ডের চেইন শপ। কুয়ালালামপুর এর পুরো শহরটাই সব সময় ক্রেতা ও পর্যটকদের কারণে সব সময় উৎসবের আমেজে মেতে থাকে। প্রতেক বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এই সিটি সেন্টার এলাকায় মালয়েশিয়া-ডে পালন করার জন্য মালয়েশিয়ানরা ভীড় জমান এই সিটি সেন্টার এলাকায়।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী টিপস
- এই সিটি সেন্টার এলাকাটি এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তাই আপনারা এখানে আসতে ট্যাক্সি, পাবলিকবাস, অথবা ট্রেনে করে আসতে পারবেন। এতে আপনাদের খরচ কম লাগবে।
- সিটি সেন্টার এলাকায় শপিং করতে আসলে অবশ্যই খরচ করার মতো টাকা নিয়ে আসতে হবে। এখানকার প্রত্যেকটা দোকান অনেক এক্সপেন্সিভ থাকে। যার ফলে সব কিছুর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
- আপনারা যদি রিজনেবল প্রাইসে শপিং করতে চান তাহলে চলে আসতে পারেন লিটল ইন্ডিয়া বা চায়না টাউন এলাকায়। এখানে আপনারা অনেক কম দামে শপিং করতে পারবেন।
- সিটি সেন্টারে আশেপাশে রয়েছে অনেকগুলো স্ট্রিট ফুডের দোকান যেখান থেকে আপনারা কম খরচে দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারবেন।
কিভাবে যাবেন কুয়ালালামপুরে
ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনারা পেয়ে যাবেন এয়ার এশিয়া বিমান, এছাড়াও আপনারা পাবেন ইউনাইটেড এয়ার, ইউ এস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, ও মালয়েশিয়ান এয়ার। ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত যেতে আপনাদের সময় লাগতে পারে ৩-৩.৩০ ঘন্টা। কুয়ালালামপুর শহরটি মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ৮০ কিলো দূরে অবস্থিত।
তাই আপনাদের মালয়েশিয়া থেকে কুয়ালালামপুর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বাস অথবা ক্যাবে করে যাওয়া লাগবে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো--
কুয়ালালামপুরে গিয়ে কোথায় থাকবেন
কুয়ালালামপুরে আপনারা থাকার জন্য অনেক হোটেল অথবা রিসোর্ট পেয়ে যাবেন যেগুলোতে আপনারা কোন রকম সমস্যা ছাড়া আনন্দে থাকতে পারবেন। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কতগুলো হোটেল হচ্ছে যেমন- প্যাসিফিক রিজেন্সি হোটেল, রয়্যাল চুলান বুকিত বিন্তাং, ফুরামা বুকিত বিন্তাং, দা ফেডারেল কুয়ালালামপুর, বেরজায়া টাইমস স্কোয়ার,
এছারাও সিম্মস ইন, মেলিয়া কুয়ালালামপুর, কনকর্ড হোটেল, বিন্তাং ওয়ারিসান হোটেল, হোটেল সেন্ট্রাল এ আপনারা অনেক কম খরচে থাকতে পারবেন। আপনারা এই হোটেলগুলোতে দুইজন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকতে পারবেন। আবার কুয়ালালামপুরে বেশ কিছু স্টুডিও এপার্টমেন্ট রয়েছে থাকার জন্য যেগুলোতে আপনারা অনেক কম টাকায় থাকতে পারবেন।
এই স্টুডিও এপারমেন্ট গুলোতে আপনারা কয়েকজন মিলে থাকতে পারবেন অনেক কম খরচে কিন্তু হোটেলে আপনারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন এখানে সেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তাই আপনারা যদি মালয়েশিয়া এক্সপ্লোর করতে যান তাহলে অবশ্যই হোটেলে অথবা রিসোর্টে উঠার চেষ্টা করবেন। পর্যটকেরা সবচেয়ে বেশি বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পছন্দ করেন।
আপনারা যদি বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেলে থাকতে চান তাহলে আপনারা কে এল টাওয়ার অথবা টুইন টাওয়ারের আশেপাশে হোটেলগুলোতে থাকতে পারেন। এই হোটেলগুলোর জানালা দিয়ে আপনারা খুব সুন্দর টুইন টাওয়ারের ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। এখন আপনাদের এমন কিছু হোটেল সম্পর্কে জানাবো যেগুলতে আপনারা কম টাঁকার মধ্যে রাত্রিযাপন করতে পারবেন--
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনীতে উপরের এই হোটেলগুলোতে আপনাদের থাকার জন্য খরচা হতে পারে ৪-৫ হাজার টাকা।
কুয়ালালামপুর ভ্রমণ খরচ
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ বিভিন্ন রকম হতে পারে এবং এয়ারলাইন্সের খরচ বিভিন্ন হতে পারে। তবে আপনারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর পর্যন্ত যাওয়া এবং আসার রিটার্ন টিকেট পেয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়া-আসা খরচা সহ তিন রাত চার দিন সহ মোট খরচা হতে পারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনী---তবে ভিসার খরচ কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
কুয়ালালামপুর কোথায় এবং কি শপিং করবেন
যেসব মানুষ কেনাকাটা করতে খুব পছন্দ করেন তাদের জন্য পারফেক্ট জায়গা হচ্ছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। এইখানে আপনারা শপিং করার জন্য অনেক শপিংমল পেয়ে যাবেন। যেমন- প্যাভিলিওন কুয়ালালামপুর, সুরিয়া কেএল, মাইল্ড ভ্যালি মেগা মল এ আপনারা সব ধরনের এক্সপেন্সিভ এবং এক্সক্লুসিভ জিনিস পত্র পেয়ে যাবেন কিন্তু এখানে জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি পড়বে।
এছাড়াও অন্যান্য খুচরা জিনিসপত্র কেনার জন্য আপনারা যেতে পারেন বাংসার,চায়না টাউনেরপেতালিং স্ট্রীট মার্কেট ও সেন্ট্রাল মার্কেট এবং পুবিকার মতো মার্কেটগুলোতে। এই মার্কেটগুলোতে আপনারা পেয়ে যাবেনস্যুভেনিয়র, হ্যান্ডি ক্র্যাফটসের মতো জিনিসপত্র। আর কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে ভালো গিফট শপ পেয়ে যাবেন ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামে।
ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামের গিফট শপে আপনারা পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি জিনিসপত্র এবং নানা ধরনের ইসলামিক সব বইপত্র।
কুয়ালালামপুরে কোথায় ও কি খাবেন
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরটি জুড়ে রয়েছে রঙিন রঙিন সব খাবার দোকান। বিশেষ করে এখানকারজালান আলোর (Jalan Alor) স্ট্রীট ফুডের জন্য বিখ্যাত। রাস্তার ধারে এসব দোকানগুলো বিকালের দিকে খোলা হয় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত এসব দোকান খোলা থাকে। এসব খাবারের দোকানে সব সময় অনেক ভিড় জমে থাকে।
এই দোকানগুলো টেবিল এবং চেয়ার দিয়ে সাজিয়ে রেস্টুরেন্টের মত করা হয় মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য। এইখানে আপনারা পেয়ে যাবেন মালেশিয়ান খাবার, চাইনিজ এবং থাই খাবার। এছাড়াও আপনারা খাওয়ার জন্য পেয়ে যাবেন পুডিং, গ্রিল ফিস এবং সাতে। এই খাবারগুলো অনেক মজাদার হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা হওকারস স্টলস এ পেয়ে যাবেন কফি ও সুস্বাদু নানা ধরনের জুস।
এছাড়াও কুয়ালালামপুরে একটু রেস্টুরেন্ট রয়েছে যার নাম হচ্ছে প্লেন দা সিটি। এই হোটেলটি সম্পূর্ণ প্লেনের মতো আকৃতির ডিজাইন করা। এই রেস্টুরেন্টে আপনারা পেয়ে যাবেন বিভিন্ন রকমের মজাদার সব খাবার আইটেম। এছাড়াও মালয়েশিয়াতে কাঁঠালের মত দেখতে এক ধরনের ফল পাওয়া যায় যার নাম ডুরিয়ান।
আবার মালয়েশিয়া আপনারা ডুরিয়ান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের চকলেট, কফি, স্ন্যাকস, কুকিস, কেক এবং আইসক্রিম পেয়ে যাবেন যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাছাড়াও ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামের আশেপাশে রয়েছে কতগুলো খাবারের দোকান সেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন খাবার খেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভ্রমনে কিছু টিপস
- কুয়ালালামপুর ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত
- কুড়ালামপুর শহরটি ঘুরে দেখার জন্য আপনারা পেয়ে যাবেন বিশেষ এক ট্রাভেল পাস যেটা দিয়ে ঘুরতে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে।
- আপনি যদি জানুয়ারি মাসে কুয়ালালামপুর ঘুরতে আসেন তাহলে স্থানীয়দের থাইপুসাম উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন অবশ্যই।
- সব সময় চেষ্টা করবেন থাকার হোটেল যাতে টুরিস্ট স্পটের মাঝখানে হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই কুয়ালালামপুরের সকল জায়গা ভ্রমণ করতে পারবেন।
- কে এল ফরেস্ট ইকোপার্ক ঘোরার সময় ইকো পার্কের একটা ম্যাপ সাথে রাখার চেষ্টা করবেন
- স্ট্রিট ফুড খেতে চাইলে সন্ধ্যার পর বের হতে পারেন
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ কাহিনী সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য মালয়েশিয়া সংক্রান্ত সকল তথ্য তুলে ধরেছি। কিভাবে আপনারা কুয়ালালামপুর যাবেন কুয়ালালামপুর গিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরতে হবে আপনাকে।
এছাড়াও কিভাবে যাবেন কুয়ালালামপুর। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমন কাহিনীতে গিয়ে কোথায় ভ্রমন সার্থক হবে না সকল বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন অথবা যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url